২৩ মে, ২০১৬ তারিখে ইয়েমেনে বোমা হামলা

২০১৬ সালের ২৩শে মে তারিখে ইয়েমেনের অ্যাডেন শহরে ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট দ্বারা পরিচালিত দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৪৫ জন শক্তিশালী সেনা নিহত হয়।[] প্রথম আক্রমণের সময়, সামনে সারিবদ্ধভাবে দা*ড়ানো বিশ জন সেনাকে হত্যা করা হয়। দ্বিতীয় হামলাটি হয় সেনা ঘাঁটির ভেতরে, এতে পঁচিশ জন সেনা নিহত হয়।[] ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট এ হামলার দায় স্বীকার করে।[] ইয়েমেনের মুকাল্লা শহরে, ২০১৬ সালের ইয়েমেনের পুলিশের উপর বোমা হামলার আগে এই হামলা হয়েছিল, যাতে ৪৮ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ৬০ জনেরও বেশি আহত হয়।

২৩ মে ২০১৬ সালে ইয়েমেনে বোমা হামলা
এডেন অশান্তি এবং ইয়েমেনি গৃহযুদ্ধ (২০১৪-বর্তমান)-এর অংশ
স্থানএডেন, ইয়েমেন
তারিখ২৩ মে ২০১৬
লক্ষ্যআর্মি রিক্রুট, সম্ভাব্য আর্মি রিক্রুট
হামলার ধরনএকাধিক বোমা হামলা, আত্মঘাতী বোমা হামলা
ব্যবহৃত অস্ত্রবোমা হামলা
নিহত৪৫+ (+২, বেশি)
আহত৬০+
অপরাধীইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট
কারণসন্ত্রাসী হামলা

সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেন সরকারের সাময়িক রাজধানী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এডেন শহরকে। দেশটির রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ হুতি বিদ্রোহীদের হাতে রয়েছে। ইয়েমেনের জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের অবস্থান করা এডেন শহরে ওই বোমা হামলা চালানো হয়। দরজা দিয়ে ঢোকার মুখে গাড়ি বোমা হামলা। ইয়েমেনের এডেন শহরের সেনা ঘাঁটিতে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জন্য সারিতে অপেক্ষমাণ ব্যক্তিদের ওপর ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট দলের ব্যক্তি আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা চালায়। এ হামলা ছিল অমানবিক ও মানবতা বিরোধী। বন্দরনগরী এডেনের খোরমাকাসার এলাকায় সেনাবাহিনী একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বাড়ির সামনে এ হামলা চালানো হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পাশে সেনাবাহিনীর একটি বেসে দ্বিতীয় হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় বহু লোক আহত হন।[]স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আদেন আল-ঘাদে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সেনা সদস্যরা তাদের নিহত সেনাদের মরদেহ নিয়ে যাচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার দৃশ্যও প্রচারিত করে।

ইয়েমেনে শিয়া-সুন্নীর দ্বদ্ধের কারণে এ হামলা। সুন্নীকে সমর্থন করে সৌদি আরব এবং শিয়াকে সমর্থন করে ইরান।

বোমা হামলার ফলাফল

সম্পাদনা

সৌদি আরবের সহায়তায় হাদি সরকারের আস্থাভাজন সেনাবাহিনী হুসি বিদ্রোহীদের শহর থেকে সরিয়ে দিয়ে এডেন শহরে ঘাঁটি গাড়ে। হুসি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যকার সংঘর্ষে যে শূন্যতা তৈরি হয়, তাতে আল-কায়েদাসহ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করে।[] ফলে ইয়েমে যুদ্ধ দীর্ঘ স্থায়ী হয়। যা আজও চলমান।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা