২০২৩ আফগানিস্তান শৈত্যপ্রবাহ
১০ জানুয়ারী, ২০২৩ এ আফগানিস্তানে একটি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছিল। পার্বত্য অঞ্চলে তাপমাত্রা −৩৩ °সে (−২৭ °ফা) তে পৌঁছায় এবং ৩০ সেন্টিমিটার (১২ ইঞ্চি) তুষারপাত হয়। শৈত্যপ্রবাহে কমপক্ষে ১৬০ জন মারা যায়। এটি ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি ও ঘূর্ণিঝড় মোখার পর ২০২৩ সালের সবচেয়ে মারাত্মক আবহাওয়া ঘটনা। উপরন্তু এই শীতলতায় প্রায় আশি হাজার গবাদি পশু মারা যায়।[১]
 ২৮ জানুয়ারীতে আফগানিস্তানের স্যাটেলাইট চিত্র | |
| ধরন | শৈত্য প্রবাহ |
|---|---|
| গঠন | ১০ জানুয়ারী |
| বিলুপ্তি | ১৭ জানুয়ারী |
| সর্বনিম্ন তাপমাত্রা | −৩৩ °সে (−২৭ °ফা) |
| সর্বোচ্চ তুষারপাত বা বরফ বিবৃদ্ধি | ৩০ সেন্টিমিটার (১২ ইঞ্চি) |
| প্রভাবিত অঞ্চল | আফগানিস্তান |
প্রভাব
সম্পাদনাতাপমাত্রা −৩৩ °সে (−২৭ °ফা) তে নেমে আসে,[২] উচ্চ পর্বতে ৩০ সেন্টিমিটার (১২ ইঞ্চি) তুষারপাত,[৩] বিভিন্ন প্রদেশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্তত ১৬২ জনের মৃত্যু হয়।[১] হেরাত প্রদেশে গরম করার কাজে গ্যাস থেকে উৎপন্ন কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ার জন্য অন্তত ১৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।[৪] আবহাওয়ার কারণে ৭৭ হাজারের এরও বেশি গবাদি পশু মারা যায়।[৫][৬] সারাদেশে ৫০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।[৭]
ত্রাণ
সম্পাদনাআফগানিস্তান যখন দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হচ্ছিল তখন ঠান্ডা স্ন্যাপ এসে অর্ধেকেরও বেশি আফগান জনসংখ্যাকে আক্রান্ত করে। ২০২১ সালের তালেবান আক্রমণ এবং আফগানিস্তানের ইসলামিক এমিরেট পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর দেশটি একটি পরিয়া রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল, যার ফলে সীমিত বিদেশী সাহায্য পাওয়া যায়।[২]
মানবিক ত্রাণ প্রচেষ্টা সাহায্য প্রদান করে যার মধ্যে গরম উপকরণ এবং ত্রাণ তহবিল অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৬] নারীদের মানবিক সহায়তা প্রদানের উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে বিদেশী ত্রাণ প্রচেষ্টা জটিল হয়ে পড়ে। ১৭ জানুয়ারি স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সহায়তার জন্য এই বিধিনিষেধগুলি শিথিল করা হয়, ফলে আন্তর্জাতিক রেসকিউ কমিটি, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং কেয়ার ইন্টারন্যাশনালের মতো বেসরকারি সংস্থাগুলি পুনরায় কাজ শুরু করে।[২][৮] সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা বলেন যে নিষেধাজ্ঞাগুলি প্রত্যাহার করা হবে না।[৯]
সামরিক হেলিকপ্টার তুষার দ্বারা বিচ্ছিন্ন নাগরিকদের জন্য ত্রাণ প্রদানের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল, কিন্তু তারা আফগানিস্তানের পার্বত্য অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারেনি।[৯]
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "Afghanistan cold snap kills over 160, Taliban officials say – DW – 01/28/2023"। DW (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-৩০।
- ↑ ক খ গ "Dozens of people killed as cold wave sweeps Afghanistan"। Al Jazeera। ১৮ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Afghanistan: Adverse weather forecast across southern and south-central regions Jan. 18"। Crisis24। ১৭ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Afghanistan - Cold wave (DG ECHO, UN, AMD, media) (ECHO Daily Flash of 20 January 2023)"। ReliefWeb। ২০ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "'The Coldest In Recent Years': At Least 70 Killed By Cold Snap In Afghanistan"। Radio Free Europe। ১৮ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ ক খ Popalzai, Ehsan; Magramo, Kathleen (২০২৩-০১-২০)। "At least 78 people die as winter temperatures plunge in Afghanistan, Taliban says"। CNN (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-২৪।
- ↑ "Cold wave kills over 100 in Afghanistan"। ThePrint। ২৩ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "NGOs resume some Afghan operations with women workers"। Al Jazeera (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-২৪।
- ↑ ক খ Doucet, Lyse (২৪ জানুয়ারি ২০২৩)। "Afghanistan: Freezing weather kills at least 124 people"। BBC।