পাকিস্তানের সিনেট নির্বাচন, ২০১৮
২০১৮ সালের ৩রা মার্চ পাকিস্তানের সংসদ ভবনের উচ্চকক্ষ সিনেটের ৫২টি আসনে নির্বাচন হয়। নির্বাচিত সদস্যদের কার্যকাল হল ৬ বছর।[১] এই নির্বাচনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) সর্ববৃহৎ দল হিসেবে উঠে আসে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে উঠে আসে। এই নির্বাচনে ভোট কেনা বেচা নিয়ে বিবাদ তৈরি হয়। পাকিস্তানি নির্বাচন কমিশনের দ্বারা মুসলিম লীগের সদস্যারা নির্দলীয় ঘোষিত হয়।[২]
| |||||||||||||||||||||||||||||
১০৪টির মধ্যে ৫২টি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ৫৩টি আসন | |||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||||||||||||||||||||||||
|
১২ মার্চ ২০১৮ সালে, চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্বাচন হয়। সাদিক সাঁজরানী এবং সেলিম মান্ডভিবল্ল যথাক্রমে চেয়ারম্যান এবং ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। [৩]
প্রেক্ষাপট সম্পাদনা
পাকিস্তান আইনসভার উচ্চকক্ষ হল সিনেট। এই কক্ষে ১০৬টি আসন রয়েছে। নির্বাচিত সদস্যদের কার্যকাল: ৬ বছর।
২০১২ সালে নির্বাচিত সিনেট সদস্যদের পরিবর্তনের জন্য ২০১৮ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সিনেট সদস্য নির্বাচিত হয়।
২৮ জুলাই ২০১৭ সালে, এই নির্বাচনের পূর্বে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর প্রধানমন্ত্রীর কার্যকাল থেকে বহিস্কার করে। [৪]
নির্বাচন সম্পাদনা
এই পরোক্ষ নির্বাচন এ ভোটদাতারা, তাঁদের পছন্দ অনুসারে প্রার্থীদের ক্রমানুযায়ী সাজায়। ভোটদাতার প্রথম পছন্দের প্রার্থী ১০০ পয়েন্ট পায়। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড সাজিয়ে রেখেছে। সেই মানদণ্ড প্রত্যেক প্রার্থীকে মেনে চলতে হয়। যে কোন প্রার্থী মানদণ্ড মানতে ব্যর্থ হলে, তাঁর অর্জিত পয়েন্ট অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। [৫]
প্রার্থী সম্পাদনা
মোট ১৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৩ জন সিন্ধ থেকে, ২৬ জন খয়বের পাখতুনখও, ২৪ জন্য FATA থেকে, ২৩ জন বালচিস্থান থেকে, ২০ জন পাঞ্জাব থেকে এবং ৫ জন ইসলামাবাদ থেকে ৫২টি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে।
ফলাফল সম্পাদনা
মুসলিম লীগ সমর্থিত নির্দলীয়রা(স্বতন্ত্র) সবচেয়ে বেশি আসন লাভ করে। তাঁরা ৫২টির মধ্যে ১৫টি আসন লাভ করে। তাঁরা পাঞ্জাব থেকে ১১টি এবং ইসলামাবাদ থেকে ২টি আসন লাভ করে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি দ্বিতীয় স্থান লাভ করে ১২টি আসন লাভ করে। এর মধ্যে ১০টি আসন হল সিন্ধের। তৃতীয় দল হিসেবে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ উঠে আসে। তাঁদের মোট আসন সংখ্যা: ৬টি।
ফলাফলের পর, পাকিস্তান পিপলস পার্টির বিরুদ্ধে ভোট কেনাবেচার অভিযোগে উথাপন করা হয়।
দলিত সম্প্রদায়ের প্রথম সিনেটের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন, কৃষ্ণ কোহলি। [৬]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ https://www.dawn.com/news/1213847
- ↑ https://www.geo.tv/latest/183165-pml-n-candidates-can-contest-senate-polls-as-independent-ecp
- ↑ https://www.dawn.com/news/1394784/pml-n-defeated-opposition-candidates-sanjrani-mandviwalla-take-senates-top-slots
- ↑ https://en.dailypakistan.com.pk/03-Oct-2017/what-has-actually-changed-in-election-reform-bill-2017
- ↑ https://www.dawn.com/news/1392528/untangling-the-mystery-all-you-need-to-know-about-senate-elections
- ↑ https://tribune.com.pk/story/1650887/1-pakistan-elects-first-female-dalit-senator/