২০১৩ শাপলা চত্বর বিক্ষোভ

২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে বিক্ষোভ

২০১৩ শাপলা চত্বর বিক্ষোভ হল ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ ই মে বাংলাদেশের ঢাকায় সংঘটিত ঘটনাসমূহ, যার মাধ্যমে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের তৎকালীন সদ্যপ্রসূত ইসলামী অরাজনৈতিক জোট হেফাজতে ইসলামের গণসমাবেশ ও আন্দোলন।[][][] এই আন্দোলনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইসলামিক নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে অপ্রীতিকর মন্তব্য করার শাস্তি হিসেবে একটি ব্লাসফেমি আইন প্রনয়ন এবং প্রকাশ্য নারী পুরুষের অনৈসলামিক মেলামেশা ও কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারকে আহবান জানানো।[][১০][১১]

২০১৩ শাপলা চত্বর বিক্ষোভ
২০১৩ সালের বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতার অংশ
শাপলা চত্ত্বর, মতিঝিল
তারিখবিকাল, ০৫ মে ২০১৩ থেকে ভোর, ০৬ মে ২০১৩ পর্যন্ত
অবস্থান
কারণ২০১৩ সালের বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতা
লক্ষ্য
  • ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন;
  • ইসলামের সমালোচনার উপর নিষেধাজ্ঞা.
পদ্ধতি
  • অবস্থান ধর্মঘট
  • শাপলা চত্বরের দখল
ফলাফল
পক্ষ
নেতৃত্ব দানকারী
ক্ষয়ক্ষতি
নিহত
  • ১০০০-৩০০০ (বিরোধী দলের দাবি)
  • ১০-১২ (সরকারের দাবি)
  • ৫০-৬০ (নিরপেক্ষ সূত্র/দাবি)[][][][]

বিক্ষোভ দমনে পুলিশ অপারেশন সিকিউর শাপলা নামে অভিযান চালায়।[১২] ৬ই মে'র ভোররাতে সরকার উস্কানিমূলক আচরণের অভিযোগে বিরোধীদলীয় গোষ্ঠীর মালিকানাধীন দুটি চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশন এবং ইসলামিক টিভি সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়, যেগুলো অপারেশানের কার্যকলাপ সরাসরি সম্প্রচার করছিলো।[১৩][১৪][১৫] মতিঝিলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন সোমবার সকালে হেফাজতের লোকদের রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জ, হাঁটহাজারী এবং বাগেরহাট সহ দেশের বেশ কিছু স্থানে হেফাজতকর্মীদের দাবীকৃত হত্যার প্রতিবাদে মিছিল হয়।[১৬][১৭][১৮] বিভিন্ন সূত্র থেকে অপারেশনে সঙ্ঘটিত হতাহতের সংখ্যা ও পরিস্থিতিকে বিভিন্নভাবে তুলে ধরা হয়। অনেকগুলো সূত্র থকে ৩০ জনেরও অধিক নিহত হওয়ার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।[১৬][১৭][১৮][১৯][২০] হেফাজত দাবি করে যে তাদের হাজারেরও অধিক কর্মী অভিযানে নিহত হয়েছে যা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অধিকার'র জুন মাসের প্রতিবেদন, এবং সরকারি বিবৃতিসহ কোন মুক্ত গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় নি।[১৬][২১][২২] ১৯ আগস্ট, ২০২৪ এ মানবাধিকার সংগঠন অধিকার ২০১৩ সালের ৫ এবং ৬ মে, ৬১ জন নিহত উল্লেখ করে ব্যক্তিদের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করে।[২৩] ২০২৫ সালের ২৫ মার্চ জিটিভি এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদনে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের ২০১৩ সালের মে মাসের উপাত্তের সাথে পূর্বের ও পরবর্তী অন্যান্য মাসের গড় উপাত্তের মৃতের সংখ্যার পার্থক্যের বরাতের ভিত্তিতে বলে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ৩৩০ জন।[২৪]০৪ মে ২০২৫ এ শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশে ৯৩ জন শহীদের তথ্য প্রকাশ করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। [২৫]

পটভূমি

সম্পাদনা

১৩ দফা দাবি

সম্পাদনা

২০১১ সালে এই সংগঠনটি, সর্বক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে গঠিত নারী উন্নয়ন নীতির তীব্র বিরোধিতা করে।[২৬][২৭] ২০১৩ সালে তারা ইসলাম ও রাসুলকে কটূক্তিকারী নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসি দাবি করে ব্যাপক আন্দোলন ও সমাবেশ শুরু করে। এ প্রেক্ষিতে তারা ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করে।[২৮][২৯][৩০] হেফাজতে ইসলামের এই দাবির কয়েকটি দফা সমালোচিত হলে পরবর্তীতে তারা সংবাদ সম্মেলনে ১৩ দফার ব্যাখ্যা প্রদান করে।[৩১]

হেফাজতে ইসলামের বক্তব্য অনুযায়ী তাদের দাবিসমূহ হলো:

  1. সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কুরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করা।
  2. আল্লাহ্, রাসুল ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।
  3. শাহবাগ আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক এবং রাসুল এর নামে কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।
  4. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
  5. ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।
  6. সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
  7. মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।
  8. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা।
  9. রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা।
  10. পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
  11. রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র রাসুলপ্রেমিক জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা।
  12. সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দানসহ তাঁদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।
  13. অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসাছাত্র ও রাসুলপ্রেমিক জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান।[২৮][৩২]

হিউম্যান রাইটস্‌ ওয়াচের সতর্কতা

সম্পাদনা

২০১৩ সালের ৩ মে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারকে একটি চিঠি দেয়।[৩৩] চিঠিতে বলা হয়, আগামী দিনে যদি বিক্ষোভ হয়, তাহলে সরকারকে বিক্ষোভকারীদের উপর অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা উচিত নয়। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সামরিক বাহিনীর হাতে নিহত নিরপরাধ মানুষদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করার জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি, এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের ব্যবস্থা করতেও বলা হয়।[৩৩]

প্রতিবাদ

সম্পাদনা

হেফাজতে ইসলাম ৫ মে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করেছিল, যেখানে তারা ইসলাম ও ইসলামী নবী মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যাপারে বিদ্রুপাত্মক মন্তব্যকারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছিল।[][১০][১১][৩৪] ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত কর্মীরা ভোর থেকে ঢাকার ছয়টি প্রবেশপথে অবস্থান নিয়েছিল ।[] বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর অনুমতি নিয়ে হেফাজত কর্মীরা ঢাকায় প্রবেশ করে এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।[] হেফাজতে ইসলাম এর কর্মীরা শাপলা চত্বরে যাওয়ার জন্য গুলশান রাস্তা ব্যবহার করছিলেন। পথিমধ্যে, সশস্ত্র আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা করেছে।[৩৫][৩৬] সুরক্ষার জন্য, আন্দোলনকাররা ইট দিয়ে পাল্টা হামলা করেছে।[৩৫] সংঘর্ষের সময়, সম্ভবত হেফাজত কর্মীদের দ্বারা, দুইজন টেলিভিশন সাংবাদিক আহত হন।[৩৫][৩৭] বিকেল ৩টার দিকে, হেফাজত নেতারা বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, সে সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদেরকে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।[৩৮] বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জানিয়েছে যে, হেফাজত সদস্যদের সমাবেশ করার এবং তাদের উদ্দেশ্য প্রকাশ করার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে।[৩৫] অশান্তির সময়, হেফাজত কর্মীরা মতিঝিলের বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির অফিসগুলোতে হামলা করেছে বলে অভিযোগ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা।[৩৯][৪০] হেফাজত দাবি করেছে যে তাদের কর্মীরা নিরস্ত্র ছিল এবং গুলশান, পুরানা পল্টন, বাইতুল মুকাররম এবং কমিউনিস্ট পার্টির অফিসের সামনে পুলিশ এবং বাংলাদেশ ছাত্র লীগ কর্মীদের দ্বারা হামলা করা হয়েছে।[৪১] হেফাজত সমর্থকরা তাদের সমাবেশের সময় অন্তত ৫০টি গাড়ি এবং বেশ কয়েকটি ভবন ভাঙচুর করে বলে দাবি করে আওয়ামী লীগ ।[৪২] তারা পল্টন, ঢাকায় আওয়ামী লীগের সদর দফতরের সামনে অন্যদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে এবং বাইতুল মুকাররম মসজিদের কাছে বেশ কয়েকটি বইয়ের দোকানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ ।[৪৩]

সন্ধ্যায় অনেক বিক্ষোভকারী শহর ছেড়ে চলে গিয়েছিল, কিন্তু প্রায় ৫০,০০০-৭০,০০০ জন তখনও শাপলা চত্বরে অবস্থান করছিল।[১৯] সেখানে তারা নামাজ পড়েছিল এবং তাদের ধর্মীয় নেতাদের বক্তব্য শুনেছিল।[] প্রায় ২:১৫ অবধি ৬ মে, নিরাপত্তা বাহিনী এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়।[৪৪] ২:৩০ নাগাদ প্রায় ৫০০০ সদস্যের নিরাপত্তা বাহিনী "অপারেশন শাপলা" বা "অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট" শুরু করে তাদের অপসারণের জন্য।[][১৯] বাহিনীগুলিতে বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব এবং বিজিবি সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।[] প্রথমে তারা মেগাফোন ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্বক এলাকা ছেড়ে যেতে বলেছিল। তারপর, দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুল এবং বাংলাদেশ ব্যাংক চৌরাস্তা হয়ে তিন দিক থেকে এগিয়ে যাওয়া নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট এবং শব্দ বোমা ব্যবহার করেছিল।[] বেশিরভাগ লোক এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু অন্যরা পাশের গলি এবং ভবনে লুকিয়ে ছিল, সেখানে কিছু আন্দোলনকর্মী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছিল।[] হেফাজত অভিযোগ করেছে যে মরদেহগুলি পরে আবর্জনা পরিবহনকারী ট্রাক দ্বারা তুলে নিয়ে শহরের বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।[] মাওলানা আহমদ শফি রহ. কে ঢাকার একটি মাদ্রাসা থেকে চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।[১০] পুলিশ জোর দিয়ে বলেছে যে তিনি গ্রেফতার হননি, বরং স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছিলেন।[১০]

পরের দিন সকালে, দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। নারায়ণগঞ্জে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিক্ষোভ করে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে। প্রত্যুত্তরে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে ২৭ জনকে হত্যা করে।[১৬] হাটহাজারী উপজেলায় পুলিশের গুলিতে ছয়জন নিহত হয়, আর বাগেরহাটে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে এক হেফাজত সদস্য নিহত হন।[১৬]

সরকারি হিসেবে, এই অভিযানে কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ ১১ জন হতাহত হয়,[২১] অন্যদিকে ডেইলি স্টার ৫ জনের মৃত্যুর খবর জানায়।[৩৩] বিরোধী দলগুলো প্রথমে দাবি করে ২০০০-৩০০০ জন প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছে, অন্যদিকে হেফাজতের দাবি ছিল ১০০০ মৃত্যু।[][৩৩] হিউম্যান রাইটস ওয়াচ হেফাজতের দাবিগুলোর সাথে দ্বিমত পোষণ করে।[২১][৩৩]

কিছু ভুক্তভোগী ছিলেন পথচারী, যাদের মধ্যে বায়তুল মোকাররমের নিকটবর্তী কয়েকজন দোকানদারও ছিলেন। তবে, নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন হেফাজতের সমর্থক, যাদের মধ্যে শিশুরাও ছিল। তাদের কেউ মাথায় আঘাতে, আবার কেউ গুলির আঘাতে নিহত হন।[] ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন যে মৃতদের অনেকেরই মাথায় গুলি করা হয়েছে।[১৯] প্রতিশোধমূলক আক্রমণে একজন পুলিশ সদস্যও হামলার শিকার হন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অনুযায়ী, প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিতভাবে মৃত ২৫-৩০টি লাশ শনাক্ত করে।[] এর মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ কর্মী ও সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান, যিনি ২৪টি মৃতদেহ দেখেন।[১৯][৪৫][৪৬] দ্য গার্ডিয়ান ২২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে, অপরদিকে আলজাজিরা পরিচালিত একটি তদন্তে জানা যায় যে প্রতিবাদের পর ঢাকায় রাষ্ট্র-পরিচালিত কবরস্থানে গুলির আঘাতে নিহত ১৪ জন "দাড়িওয়ালা ব্যক্তির" মরদেহ দাফন করা হয়।[৪৭] মানবাধিকার সংস্থা অধিকার ৬১ জন নিহতের খবর জানায়, কিন্তু তাদের পরিবারের নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে নিহতদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি।যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, মোট মৃত্যু সংখ্যা কোনোভাবেই ৫০-এর কম নয়।[৪৮] অনাথ শিশুসহ অনেক ব্যক্তি নিখোঁজ ছিলেন, যা হতাহতের সংখ্যার অমিলের একটি কারণ হতে পারে।[]

বিভিন্ন মতের কারণে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিক্ষোভের মৃত্যুর তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন সংস্থার আহ্বান জানায়।[৪৬][৪৯][৫০] অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সরকার-এর প্রতি আহ্বান জানায়, যাতে পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়টি তদন্ত করতে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি অবিলম্বে গঠন করা হয়।[]

১৯ আগস্ট ২০২৪-এ, অধিকার সংস্থা বিক্ষোভে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিহত ৬১ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে।[৫১]

প্রতিক্রিয়া

সম্পাদনা

অভ্যন্তরীণ

সম্পাদনা

গণহত্যার অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায়, পুলিশ দাবি করে যে তাদের অভিযানে "কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি", অন্যদিকে ১৪ জন রাজনৈতিক নেতা এটিকে "রক্তপাতবিহীন" বলে উল্লেখ করেন।[] বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি সরকারি পরিসংখ্যানে ভুল থাকার খবরগুলোকে তেমন গুরুত্ব দেননি এবং আরও বলেন যে "দেশের বেশিরভাগ মানুষ এমনকি মনেও করে না যে এই বিষয়ে কোনো বিতর্ক ছিল।"[৪৭] ১৯শে জুন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করে বলেন:

...এবং সেই দিনের ঘটনা সম্পূর্ণরূপে টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে, আপনারা দেখেছেন কীভাবে তারা তাদের শরীরে লাল রং মেখেছে এবং পুলিশ এসে ডাকলে তারা উঠে পালিয়েছে... আমরা দেখেছি মৃতদেহগুলোও দৌড়ে পালিয়েছে! সেখানে এ ধরনের নাটক তৈরি করা হয়েছে।[৫২]

তিনি তার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়াকে এই হামলার জন্য দায়ী করে বলেন, "তিনি (খালেদা) হলেন উস্কানিদাতা, তিনিই আদেশ জারি করেছেন।"[] আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদরা কামরুল ইসলাম, বিএনপি, জামায়াত এবং আইএসআই-কে বিক্ষোভের সমর্থনে থাকার জন্য দোষারোপ করেন।[] অভিযানকালে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক হামলার শিকার হওয়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের মিছিলে নিয়ে আসার কারণেও হেফাজতে ইসলাম সমালোচিত হয়। [৫৩][৫৪][৫৫][৫৬]

বিরোধী দল

সম্পাদনা

বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই হামলাগুলোকে ২৫শে মার্চের পাকিস্তানি দমনপীড়নজালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের সাথে তুলনা করে।[৩৩] বিএনপি নেতা এম কে আনোয়ার এটিকে "ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড" বলে অভিহিত করেন।[] এর প্রতিক্রিয়ায়, গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ নগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের বাড়িতে অভিযান চালায়।[]

হেফাজতে ইসলাম

সম্পাদনা

কিছু হেফাজত কর্মী হত্যাকাণ্ডের পর "প্রতিশোধ" নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করলেও,[৩৩] হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী শান্ত থাকার আহ্বান জানান[৫৭] এবং ২০১৩ সালের ১২ই মে সারা বাংলাদেশে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেন।[]

অন্যান্য

সম্পাদনা

১০ জুন ২০১৩ সালে, মানবাধিকার গোষ্ঠী অধিকার একটি তথ্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে ৬১ জন নিহত হওয়ার দাবি করে।[] তবে তারা নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে নিহতদের পরিবারের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে নিহতদের নাম প্রকাশে বিরত থাকে।[৫৮][৫৯] আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) "তাদের (হেফাজতে ইসলাম) সঙ্গে আরও কৌশলগত এবং দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য" একটি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানায়।[৬০]

আন্তর্জাতিক

সম্পাদনা

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সরকারকে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথে বসতে অনুরোধ করেন।[৩৩] মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনা সতর্ক করে বলেন, সকল গোষ্ঠী এবং ব্যক্তির প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে।[৩৩]

সরকার কর্তৃক হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি বিনষ্টসহ অন্যান্য অভিযোগে মোট ১২টি মামলা দায়ের করা হয়।[৬১] তবে, হেফাজতে ইসলাম এসব অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে।[৫৭]

২৭ জুন, মার্কিন আইন সংস্থা মার্টিন এফ. ম্যাকমাহন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুটি সংগঠন — হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশি-আমেরিকানস ইন গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি — এর পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে মামলা দায়ের করে।[৬২] মামলাগুলো দায়ের করা হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ২৫ জন মন্ত্রী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে, যাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়।[৬৩] ব্রাসেলসভিত্তিক বাংলাদেশি আইনজীবী আহমেদ জিয়াউদ্দিন, যিনি বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্যকে প্রভাবিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত, তিনি বলেন - "আমি এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিশ্চিত নই এবং আমি নিশ্চিত যে ওয়াশিংটন-ভিত্তিক সংস্থাগুলোর কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।[৬৪] তাদের উদ্দেশ্য সম্ভবত রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করা, কারণ আইসিসিতে অভিযোগ দাখিল করার অর্থ এই নয় যে মামলার কার্যক্রম অবিলম্বে শুরু হবে।"[৬৫]

১০ই আগস্ট, পুলিশ অধিকারের কার্যালয়ে অভিযান চালায় এবং এর সাধারণ সম্পাদক আদিলুর রহমান খানকে গ্রেপ্তার করে। এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায় যে তারা ৬১ জনের মৃত্যুর তালিকা খুঁজে পায় এবং সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করে।[৬৬] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে এই গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং অবিলম্বে তার মুক্তির জোর দাবি জানায়।[৬৭]

২০২৪ সালে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হলে, বিক্ষোভকালে নির্বিচারে গুলিবর্ষণের ফলে সৃষ্ট প্রাণহানির অভিযোগে তার এবং তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে ১৮ ও ২০ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি গণহত্যা মামলা দায়ের করা হয়।[৬৮][৬৯]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "মতিঝিল অভিযানের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় অ্যামনেস্টি"। উইকলি হলিডে। উইকলি হলিডে। ১০ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৭  অজানা প্যারামিটার |সংখ্যা= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |আর্কাইভ-ইউআরএল= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  2. "হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সমাবেশ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন"অধিকার। ১০ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৪ 
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :0 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  4. "Assembly of Hefazate Islam Bangladesh and Human Rights Violations"Odhikar। ১০ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৪ 
  5. "Blood on the Streets: The Use of Excessive Force During Bangladesh Protests"Human Rights Watch। Human Rights Watch। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  6. "Hefajat men flee Motijheel"দ্য ডেইলি স্টার (Bangladesh)। মে ৬, ২০১৩। ২৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৪ 
  7. "Govt trashes loss of thousands of lives rumour"দ্য ডেইলি স্টার (Bangladesh)। ১০ মে ২০১৩। ২৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৪ 
  8. ""Bangladesh clashes rage over blasphemy law""। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  9. "Press note on Motijheel reflects party views instead of govt: Dudu"Weekend Independent। মে ১২, ২০১৩। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১৩ 
  10. "At least 32 dead as Bangladesh Islamists demand blasphemy law"Dawn। মে ৬, ২০১৩। ২৪ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১৩ 
  11. Rahman, Anisur (মে ৫, ২০১৩)। "Radical Islamists lay siege to Dhaka"Gulf News। ১০ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১৩ 
  12. "যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার"সংগ্রাম। দৈনিক সংগ্রাম। ৯ মে ২০১৩। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৫ 
  13. "diganta islamic tv taken off air"। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৫ 
  14. "Controversy over Shapla Square Casualty"The Independent। ৯ মে ২০১৩। ২৩ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  15. "Riot police battle Islamists in Dhaka Bangladesh"BBC news। BBC। ২০১৩-০৫-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-২১ 
  16. "27 more killed"দ্য ডেইলি স্টার। ৭ মে ২০১৩। ৭ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৩ 
  17. Paul, Ruma। "At least 20 dead in Islamist protests in Bangladesh"Yahoo News। ২৯ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৩ 
  18. "BNS bears Hefajat brunt"। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৫ 
  19. "Bangladesh protest violence leaves more than 30 people dead"। guardian.co.uk। ২০১৩-০৫-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-২০ 
  20. "Clashes over Islam blasphemy law kill 27 in Bangladesh"MSN। ২০১৩-০৬-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-২০ 
  21. "HRW rebuts genocide claim"bdnews24.com। ১১ মে ২০১৩। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৩ 
  22. "HRW bins genocide claim by BNP, Hefazat"The Daily Sun। ২৬ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৩ 
  23. "২০১৩ সালে হেফাজতের সমাবেশে নিহতদের তালিকা প্রকাশ"। ৩ ডিসে ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  24. "জিটিভির অনুসন্ধানে শাপলা চত্বর গণহ*/ ত্যার র*হ*স্য উন্মোচন! কতজন নি*হ*ত, জড়িত কারা? | Gtv News"জিটিভির অফিশিয়াল ইউটিউব পাতা। ১৪ মার্চ ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২৫ 
  25. https://web.archive.org/web/20250709072802/https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2025/05/05/1513365
  26. "Bangladesh: 1 dead in clash over women's rights – AP Online | HighBeam Research"। ১১ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৩ 
  27. "New Age | Newspaper"। ২০১৩-০৬-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-১২ 
  28. Correspondent, Staff; Chittagong (২০১০-০২-২৬)। "All detainees set free in Ctg"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-৩০ 
  29. "BanglaSongbad24.com"। ২০১৩-০৪-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-০৭ 
  30. Chowdhury, Moinul Hoque। "Govt must accede to our demands: Hifazat"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-৩০ 
  31. "হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট"। ২০১৩-০৭-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-১৯ 
  32. "হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি"। দৈনিক প্রথম আলো। ৫ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  33. "Motijheel massacre spawns unintended consequences" (1)। Weekly Holiday। Weekly Holiday। ১০ মে ২০১৩। ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ 
  34. "Bangladesh Islamists rally against bloggers"BBC News। ৬ এপ্রিল ২০১৩। 
  35. https://odhikar.org/assembly-of-hefazate-islam-bangladesh-and-human-rights-violations/
  36. https://www.hrw.org/report/2013/08/01/blood-streets/use-excessive-force-during-bangladesh-protests
  37. https://bdnews24.com/bangladesh/2013/05/05/2-scribes-beaten-up-by-hifazat
  38. https://bdnews24.com/bangladesh/2013/05/11/hrw-rebuts-genocide-claim
  39. https://bdnews24.com/bangladesh/2013/05/05/hifazat-men-burn-cpb-office
  40. https://www.thedailystar.net/news/how-could-they-do-it
  41. https://web.archive.org/web/20170118050147/http://www.weeklyholiday.net/homepage/pages/UserHome.aspx?ID=2&date=05%2F10%2F2013
  42. https://bdnews24.com/bangladesh/2013/05/05/hifazat-sets-vehicles-on-fire
  43. https://bdnews24.com/bangladesh/2013/05/06/hifazat-burns-quran-hadith-in-blind-rage
  44. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :8 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  45. "'কে বলেছিল যে এটি তদন্ত করা হবে?' বাংলাদেশ এবং মে ২০১৩ সালের হত্যাকাণ্ড"। সিজফায়ার ম্যাগাজিন। ৫ মে ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  46. বার্গম্যান, ডেভিড; নেলসন, ডিন (৬ মে ২০১৩)। "ঢাকায় ইসলামী উগ্রপন্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ৩৬ জন নিহত"দ্য টেলিগ্রাফ। লন্ডন। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৩ 
  47. "ভিডিও দ্বারা বাংলাদেশে বিক্ষোভের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হতে পারে"আল জাজিরাআল জাজিরা। ১৪ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  48. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :11 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  49. "বাংলাদেশ: প্রতিবাদে মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে স্বাধীন সংস্থা গঠন প্রয়োজন"হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। নিউ ইয়র্ক। ১১ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৩ 
  50. "বাংলাদেশে প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ২৭ জন নিহত"বিবিসি নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৩ 
  51. "শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশ: অধিকার নিহতদের তালিকা প্রকাশ করেছে"ঢাকা ট্রিবিউন। ১৯ আগস্ট ২০২৪। 
  52. "Parliamentary speech of Sheikh Hasina 19 June 2013"। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৫ 
  53. চৌধুরী, কামরান রেজা (২৩ মে ২০১৩)। "সংসদ সদস্যদের 'হেফাজত' শব্দে এলার্জি"ঢাকা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৪ 
  54. "বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্বেগ প্রকাশ"দ্য ডেইলি সান। ঢাকা। ২৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৪৫ মে শাপলা চত্বরের হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ। টেলিভিশনের ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হেফাজত বিপুল সংখ্যক কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী, যাদের বেশিরভাগই ১৮ বছরের নিচে, সমাবেশ ও ঢাকার ছয় প্রবেশমুখে অবরোধে নিয়ে আসে। বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানের পর অনেক আতঙ্কিত শিশুদের শাপলা চত্বরের বিশৃঙ্খলা থেকে বের হতে দেখা যায়। পরবর্তীতে কিছু শিশু গণমাধ্যমকে জানায় যে তারা শিক্ষক কর্তৃক নির্দেশে রাজধানীতে এসেছিল এবং কর্মসূচির প্রকৃত উদ্দেশ্য জানত না। 
  55. রজু, মোহাম্মদ নোরুল আলম (১ ডিসেম্বর ২০১৩)। "শিশুদের এই সবের বাইরে রাখুন"ঢাকা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৪ 
  56. ইসলাম, জাইমা (১১ জানুয়ারি ২০১৪)। "শিশু আইন-২০১৩: সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও একটি মাইলফলক"। দ্য ডেইলি স্টার। ১৪ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৪ 
  57. "হেফাজত কুরআন পোড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে"। ইত্তেফাক। ইত্তেফাক। ১০ মে ২০১৩। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  58. "অধিকারের হেফাজত তালিকা গোপনে"দ্য ডেইলি স্টার। ১৮ আগস্ট ২০১৩। ২১ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৪ 
  59. "অধিকার রিপোর্ট: হেফাজত মৃত্যুর ঘটনায় নানা প্রশ্ন"প্রিয় নিউজ। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৩। ২১ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৪ 
  60. "৫ মে ২০১৩ তারিখে সংঘটিত রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও সহিংসতা নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের উদ্বেগ"আইন ও সালিশ কেন্দ্র। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  61. "হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা"বিডিনিউজ২৪.কম। ৬ মে ২০১৩। 
  62. "শেখ হাসিনা ও আরও ২৫ জনের বিরুদ্ধে আইসিসিতে মামলা"রিয়েল-টাইম নিউজ নেটওয়ার্ক। ১ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৩ 
  63. "প্রধানমন্ত্রী ও আরও ২৪ জনের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ দায়ের"দ্য ডেইলি স্টার। ৩০ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৩ 
  64. "একটি জাতির জন্মের বিচারের গল্প"দ্য ইকোনমিস্ট। ১৫ ডিসেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৩ 
  65. "হাসিনা ও আরও ২৪ জনের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ দায়ের"ঢাকা ট্রিবিউন। ২৯ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৪ 
  66. "একটি তালিকা যেটি প্রশ্নবিদ্ধ"দ্য ডেইলি স্টার। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৩। 
  67. মারি হার্ফ (১২ আগস্ট ২০১৩)। "বাংলাদেশি মানবাধিকার কর্মী আদিলুর রহমান খানের গ্রেপ্তার"। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতর। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩ 
  68. "২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে 'গণহত্যা' মামলায় হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা"ঢাকা ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৮ 
  69. "২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে 'গণহত্যা'র অভিযোগে হাসিনা, শাহরিয়ার কবির, ইমরান এইচ সরকার অভিযুক্ত"ঢাকা ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা