২০১৩ পলাশ গণধর্ষণ
২০১৩ পলাশ গণধর্ষণ দ্বারা ২০১৩ সালের ২৩ মে বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় সংঘটিত একটি গণধর্ষণের ঘটনাকে নির্দেশ করা হয়।
তারিখ | ২৩ মে ২০১৩ |
---|---|
সময় | দুপুর ২:৩০ |
অবস্থান | পলাশ, নরসিংদী, বাংলাদেশ |
ফলাফল | ৬ জন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত |
আহত | ১ (নারী শিকার) |
সাব্যস্ত | আশিকুর রহমান ইলিয়াস রুমিন রবিন ইব্রাহিম আব্দুর রহমান |
রায় | দোষী |
দণ্ডাজ্ঞা | গণধর্ষণ |
ঘটনা
সম্পাদনা২০১৩ সনের ২৩ মে বেলা আড়াইটার দিকে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় প্রাণ আরএফএল কোম্পানিতে কর্মরত এক নারী শ্রমিক (২০) কর্মস্থল থেকে কোম্পানির নিজস্ব মেস বাগপাড়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে জনতা জুটমিল ফটকের সামনে থেকে পলাশ উপজেলার বাগপাড়ার আশিকুর রহমান (৩৫), ইলিয়াস (২১), রুমিন (২০), রবিন (২০), ইব্রাহিম (২২) ও আব্দুর রহমান (২৪) তাকে তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে।[১] এরপর তাকে ছেড়ে দেয় আসামিরা।
পরদিন ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ঘটনাটি প্রাণ আরএফএল কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক এএসএম সাদেকুল ইসলামকে জানান। পরে ওই নারী বাদী হয়ে পলাশ থানায় মামলা দায়ের করেন।[১]
বিচার
সম্পাদনা২০১৩ সালে ১৫ অগাস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পলাশ থানার তৎকালীন এসআই বিপ্লব কুমার দত্ত আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরবর্তীতে পালাক্রমে ধর্ষণ ও ভিডিও করার দায়ে আদালত উক্ত ছয় আসামির ফাঁসির রায় দেয়। দণ্ডিত প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়।[১][২][৩] এরপর আসামিরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল আবেদন করলে চারজন, আশিকুর রহমান (৩৫), ইলিয়াছ মিয়া (২১), মো. রুমিন (২০) ও মো. রবিন (২০)-এর মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন ও বাকি দুজন মো. ইব্রাহিম (২২) ও আবদুর রহমান (২৪)-কে খালাস দেয় হাইকোর্ট।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "ধর্ষণ করে ভিডিও: নরসিংদীতে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড"। বিডিনিউজ২৪.কম। ২৩ আগস্ট ২০১৬। ২৭ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২৩।
- ↑ "ধর্ষণের দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড"। প্রথম আলো। ২৩ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "গণধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড"। বাংলা ট্রিবিউন। ২৩ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "গণধর্ষণ : হাইকোর্টে চার আসামির যাবজ্জীবন, খালাস ২"। ঢাকা পোস্ট। ২৬ এপ্রিল ২০২২।