২০০২ রঘুনাথ মন্দির জঙ্গি হামলা

২০০২ রঘুনাথ মন্দির জঙ্গি হামলা বলতে ভারতের জম্মুতে অবস্থিত রঘুনাথ মন্দিরে ২০০২ সালে ঘটে যাওয়া দুটি আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ঘটনাকে বোঝায়। মন্দিরটি হিন্দু দেবতা রামের মন্দির। মন্দিরটি ১৮৬০ সালে রাজা রণবীর সিং নির্মাণ করিয়েছিলেন।

মার্চ মাসের জঙ্গি হামলা

সম্পাদনা

২০০২ সালের ৩০ মার্চ দুজন আত্মঘাতী জঙ্গি মন্দিরে হামলা চালায়। এই হামলায় ৩ জন নিরাপত্তা রক্ষী সহ মোট ১১ জন মারা যান এবং ২০ জন আহত হন।[] সকাল ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় জঙ্গিরা এসে রক্ষীদের গুলি করে হত্যা করে। তারপর তারা মন্দিরে ঢুকে গিয়ে একটি গ্রেনেড ছোঁড়ে এবং দর্শনার্থীদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষণ করে। কার্তুজ ফুরিয়ে গেলে একজন হামলাকারী নিজের শরীরে লাগানো আত্মঘাতী বোমাটি ফাটিয়ে দেয়।[] ভারতের তৎকালীন বিদেশ মন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জঙ্গি হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেন। তিনি সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেন ও বলেন, ইসলামাবাদ সীমান্তে নজরদারির জন্য কিছুই করেনি।[]

নভেম্বর মাসের হামলা

সম্পাদনা

২০০২ সালেরই ২৪ নভেম্বর রঘুনাথ মন্দিরে দ্বিতীয়বার আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে।[][] এই সময় দুজন জঙ্গি মন্দিরের মধ্যে ঢুকে ১৪ জন দর্শনার্থীকে হত্যা করে। এই ঘটনায় ৪৫ জন আহত হন।[][] প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জঙ্গিরা মন্দিরে ঢুকে গ্রেনেড ছোঁড়ে ও এলোপাথারি গুলি চালায়।[][] ভারত এই বিস্ফোরণের জন্য পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবাকে দায়ী করে। ভারতের তৎকালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী লস্কর-ই-তৈবার নেতা হাফিজ মুহাম্মদ সইদকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে এই হামলায় অভিযুক্ত করেন।[১০]

সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স রক্ষী যতীন্দ্রনাথ রাই, অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ডার দেব সিং, হেড কনস্টেবল ই. জি. রাও, হেড কনস্টেবল টি. এ. সিং, এবং নিহত কনস্টেবল কে. কে. পাণ্ডে এই সংঘর্ষে বিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন।[১১] কে. কে. পাণ্ডেকে মরণোত্তর রাষ্ট্রপতি পুলিশ শৌর্য পদক দেওয়া হয়। অন্যদের পুলিশ শৌর্য পদক দেওয়া হয়।[১১][১২]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা