১৯৩৮ ব্রিটিশ এভারেস্ট পর্বত অভিযান
১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ব্রিটিশ এভারেস্ট পর্বত অভিযান হচ্ছে ব্রিটিশদের সপ্তম এভারেস্ট পর্বত অভিযান।
দলের সদস্য
সম্পাদনাএই অভিযানে নেতৃত্ব দেন প্রথম নন্দাদেবী শৃঙ্গ জয়কারী পর্বতারোহী হ্যারল্ড উইলিয়াম টিলম্যান। এছাড়াও দলে ছিলেন এরিক শিপটন, ফ্রাঙ্ক স্মাইথ, ওডেল, পিটার লয়েড এবং ক্যাপ্টেন অলিভার। শেরপা মালবাহক হিসেবে দলে ছিলেন তেনজিং নোরগে, আং শেরিং, আং জিংমে, ওয়াংদি নরবু, রিনজিং, লোবসাং, লাকপা তেনজিং, ওলো ভুটিয়া প্রভৃতি।[১]
মূল শিবির স্থাপন
সম্পাদনাদলটি দার্জিলিং থকে শুরু করে সিকিম হয়ে তিব্বতে পৌঁছয়। এপ্রিলে রংবুক মঠ পেরিয়ে আরো উঁচুতে মূল শিবির স্থাপন করা হয়। নর্থকল বা উত্তর গিরিবর্ত্মকে এড়িয়ে এভারেস্ট পর্বত আরোহণ করার দ্বিতীয় পথ খোঁজার উদ্দেশ্যে মূল শিবির থেকে টিলম্যান, তেনজিং নোরগে, আং শেরিং, আং জিংমে লোলা গিরিবর্ত্মে পৌঁছন। কিন্তু সেখানকার আবহাওয়া খারাপ থাকায় তারা মূল শিবিরে ফিরে আসেন।[১]
হিমানী সম্প্রপাতের কবলে
সম্পাদনামূল শিবির থেকে একটা দল পূর্ব রংবুক হিমবাহ ধরে, অপর একটি দল মূল রংবুক হিমবাহ ধরে যাত্রা করে। মূল রংবুক হিমবাহ ধরে যাত্রাকারী দলের অলিভার, টিলম্যান, তেনজিং নোরগে, ওয়াংদি এবং আরো দুজন শেরপা হিমানী সম্প্রপাতের কবলে পড়লেও কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই বেরিয়ে আস্তে সক্ষম হন।[১]
নর্থকল পেরিয়ে
সম্পাদনা২২,০০০ ফুট উচ্চতার নর্থকলে চার নম্বর শিবির স্থাপন করে এরিক শিপটন, ফ্রাঙ্ক স্মাইথ, তেনজিং নোরগে, আং শেরিং, ওয়াংদি নরবু, রিনজিং, লোবসাং, লাকপা তেনজিং এবং ওলো ভুটিয়া উত্তর পূর্ব দিক দিয়ে উঠে ২৫,৮০০ ফুট উচ্চতায় পঞ্চম শিবির স্থাপন করেন। চার থেকে পাঁচ নম্বর শিবিরে আসার পথে দুজন শেরপা অসুস্থ হয়ে পড়লে তেনজিং নোরগে পুনরায় নেমে প্রয়োজনীয় তাঁবু ও জ্বালানী নিয়ে ঐ একই পথ ঐ দিনে আবার উঠে আসেন। পরের দিন ২৭,০০০ ফুট উচ্চতা অব্দি আরোহণ করে ষষ্ঠ শিবির স্থাপন করা হয়।[১]
অবতরণ
সম্পাদনাবরফের আধিক্য ও প্রচন্ড তুষারপাত দেখে ষষ্ঠ শিবির থেকে নেমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবতরণের সময় নর্থকলে চার নম্বর শিবিরে দলের শেরপা সদস্য পাশাং ভুটিয়া পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হলে টিলম্যান তাকে নিরাপদে মূল শিবিরে ফিরিয়ে আনেন।[১]
টাইগার উপাধি প্রদান
সম্পাদনাএই অভিযানের পর টিলম্যান সরকারী ভাবে টাইগার উপাধি প্রচলন করেন। এই অভিযানে যে সমস্ত শেরপারা ষষ্ঠ শিবির পর্যন্ত আরোহণ করেন, তাদের প্রথম টাইগার উপাধি ও পদক দেওয়া হয়।[১]