১৭৯৭ রিওবাম্বা ভূমিকম্প

১৭৯৭ রিওবাম্বা ভূমিকম্প ৪ ফেব্রুয়ারি ১২:৩০ ইউটিসিতে সংঘটিত হয়েছিল। ইকুয়েডরের রিওবাম্বা শহরসহ আন্তঃআন্দীয় উপত্যকার অনেক শহরে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল।

১৭৯৭ রিওবাম্বা ভূমিকম্প
ইউটিসি সময়??
তারিখ *৪ ফেব্রুয়ারি, ১৭৯৭
[[Category:EQ articles using 'date' or 'time'
(deprecated)]]
মাত্রা৮.৩ এমএল
ভূকম্পন বিন্দু১°৩৬′ দক্ষিণ ৭৮°৩৬′ পশ্চিম / ১.৬° দক্ষিণ ৭৮.৬° পশ্চিম / -1.6; -78.6
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাইকুয়েডর
হতাহত৬,০০০-৪০,০০০
Deprecated See documentation.

এ ভূমিকম্পে প্রায় ৪০,০০০ ব্যক্তির জীবনহানি ঘটে। মার্কালি স্কেলে এটির মান ছিল ১১ ও রিক্টার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৮.৩।[১] ইকুয়েডরের ইতিহাসে এটি সর্বাপেক্ষা মারাত্মক দুর্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।[২] ১৮০১-০২ মৌসুমে আলেকজান্ডার ফন হামবোল্ট এ ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণার জন্য এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন।[৩]

ক্ষয়-ক্ষতি সম্পাদনা

এলাকার উল্লেখযোগ্য ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল যা কিটোর পূর্বাংশে ও রিওবাম্বার ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। গুয়ারান্দা, আম্বাতো, লাতাকাঙ্গা নগর এবং সাকুইসিলিবানোস শহরেও এর প্রভাব পড়ে।[৪] তন্মধ্যে রিওবাম্বা ও কুইরো শহরে ব্যাপক ভূমিধ্বস হয়। টাঙ্গুরাহুয়া আগ্নেয়গিরির কাছে বহমান পাসতাজা নদী প্রায় আশি দিন বাঁধ আকারে ছিল।[৫]

হামবোল্টের বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, এ ভূমিকম্পে অপরিমেয় ক্ষতিসাধিত হয়েছে। অনেকের মৃতদেহ লিকান নদীর অপর প্রান্তে অবস্থিত কালকা পাহাড়ের কয়েকশত ফুট উঁচুতে দেখতে পাওয়া যায় যা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নয়।[৬]

তিনি ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার ব্যক্তির প্রাণহানির কথা বলেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় সর্বাধিক ছয় হাজার ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানা যায়।[৭]

ভূমিকম্পটি তিন থেকে চার মিনিটব্যাপী স্থায়ী ছিল।[৮]

ফলাফল সম্পাদনা

রিওবাম্বা শহরটি এর পূর্বেকার অবস্থানের প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বাংশে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ঐ স্থানে ছোট্ট শহর কাজাবাম্বা গড়ে উঠেছে।[৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. NGDC। "Comments for the Significant Earthquake"। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১০ 
  2. Chunga, K.। "Seismic Hazard Assessment for Guayaquil City (Ecuador): Insights from Quaternary Geological Data" (পিডিএফ)। ১৭ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১০ 
  3. Lavilla, E.O. (২০০৪)। "Under the Southern Cross: Stories around Humboldt and Bonpland's trip to the New Continent" (পিডিএফ)Latin American Applied Research34: 203–208। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১০ 
  4. Winter, T.; Avouac J-P. & Lavenu A. (১৯৯৩)। "Late Quaternary kinematics of the Pallatanga strike-slip fault (Central Ecuador) from topographic measurements of displaced morphological features" (পিডিএফ)Geophysical Journal International115: 905–920। ডিওআই:10.1111/j.1365-246X.1993.tb01500.xবিবকোড:1993GeoJI.115..905W। ১৯ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১০ 
  5. Lyell, Charles (১৮৩০)। "XXIII"। Principles of Geology (পিডিএফ) (1 সংস্করণ)। John Murray। পৃষ্ঠা 410। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১০ 
  6. Wood, H.O. (১৯১১)। "The observation of earthquakes: A guide for the general observer"Bulletin Seismological Society of America1 (2): 65–67। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১০ 
  7. IISEE (২৫ ডিসেম্বর ২০০৮)। "Catalog of Damaging Earthquakes in the World - Search parameters"। ২১ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১০ 
  8. Amodio, E. (২০০৫)। "Las furias del temblor. Análisis comparativo de dos sismos históricos: Quito, febrero 1797 y Cumaná, diciembre 1797" (পিডিএফ)Revista Geográfica Venezolana (Spanish ভাষায়): 119–141। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১০ 
  9. Kunstaetter, R.; Kunstaetter, D. (২০০৭)। Footprint Ecuador and Galápagos (6 সংস্করণ)। Footprint Travel Guides। পৃষ্ঠা 244। আইএসবিএন 978-1-904777-93-9। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১০