১৬ ডিসেম্বর (চলচ্চিত্র)

২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র

১৬ ডিসেম্বর ২০০২ সালের ভারতীয় হিন্দি ভাষার রোমাঞ্চকর অ্যাকশন চলচ্চিত্র । চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন মণি শঙ্কর । ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিকে পারমাণবিক বোমা দিয়ে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রের উপর ভিত্তি করে ১৬ ডিসেম্বর চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। চলচ্চিত্রটির শিরোনাম ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর(যেটি বাংলাদেশের বিজয় দিবস) । ঐতিহাসিক এই দিনে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মুক্তির দলিল স্বাক্ষরিত হয়েছিল।[১]

১৬ ডিসেম্বর
পরিচালকমণি শঙ্কর
প্রযোজকঅঞ্জলি জোশী
অরুণিমা রায়
রচয়িতামণি শঙ্কর
শ্রেষ্ঠাংশেড্যানি ডেনজংপা
গুলশান গ্রোভার
মিলিন্দ সোমান
দীপনিতা শর্মা
সুশান্ত সিং
অদিতি গোবিত্রীকর
সুরকারকার্তিক রাজা
চিত্রগ্রাহকঅজয় ভিনসেন্ট
মুক্তি
  • ২২ মার্চ ২০০২ (2002-03-22)
স্থিতিকাল১৫৮ মিনিট
দেশভারত
ভাষাহিন্দি

কাহিনী সম্পাদনা

মেজর জেনারেল বীর বিজয় সিং (ড্যানি ডেনজংপা), বিক্রম (মিলিন্দ সোমান), শিবা (দীপানিতা শর্মা), এবং ভিক্টর (সুশান্ত সিংহ), যারা ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের রাজস্ব পরিষেবা বিষয়ক কর্মকর্তা। তাদের কাজ দুর্নীতিগ্রস্ত উচ্চপদস্থ অফিসারদের হত্যা করা এবং চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া,একই সাথে একটি সংস্থার প্রধানের একাধিক বড় অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত করার জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের মাঝে কিছুটা রোম্যান্স শেয়ার করেছেন বিক্রম ও শিবা। এরা দলটির হাই-টেক/প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম যেমন মিনি স্পাই ক্যামেরা, কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং অন্যান্য যোগাযোগের ডিভাইসগুলি পরিচালনা এবং রক্ষনাবেক্ষণ করেন । বিভিন্ন এনকাউন্টারের মাধ্যমে তারা আবিষ্কার করেন যে টাকাটি একটি সুইস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হচ্ছে। একই ব্যাংকের অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের শাখায় কর্মরত এক ভারতীয় কর্মচারী সোনাল জোশী (অদিতি গোবিত্রিকার) র মাধ্যমে তারা নিউজিল্যান্ডে অ্যাকাউন্টটি তদন্ত করে এবং টাকাগুলো একজন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীর কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানা যায়। খানজার নামক এক সংস্থা সন্ত্রাসী দোস্ত খান (গুলশান গ্রোভার) এর সাথে একত্রে কাজ করে। এই সংস্থাটি রাশিয়ার তৈরি পারমাণবিক বোমা ভারতে পাচার করতে সাহায্য করে। দোস্ত খান '১৬ ডিসেম্বর' দিনে পারমাণবিক বোমাটি বিস্ফোরনের পরিকল্পনা করেছিলেন।

যদিও পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন একনায়ক সরকার একাত্তরে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের(পশ্চিম ফ্রন্টে) সময় ভারতে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করেছিলেন, কিছু কঠোর কট্টরপন্থী পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণে তিক্ত ও ক্ষুদ্ধ ছিল, কারণ তারা শেষ নিঃশ্বাস অবধি ভারতীয়দের সাথে লড়াই চালিয়ে যেতে চেয়েছিল । তারা নিঃশব্দে পিছু হটে এবং পরবর্তীতে প্রতিবেশী ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর জন্য তাদের সাম্প্রদায়িক সৈন্যদের একটি দল গঠন করে।

কট্টরপন্থী পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা দোস্ত খানের নেতৃত্বে, যিনি একাত্তরের যুদ্ধের শেষে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন, সন্ত্রাসীরা নয়াদিল্লির কেন্দ্রস্থলে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে। তারা এটিকে বাদ্যযন্ত্র হিসাবে ছদ্মবেশ দিয়ে সংগীত প্রতিযোগিতায় নিয়ে যায়। বীর বিজয় সিং এই পরিকল্পনার বিষয়টি জানতে পেরে সে শহরের উপগ্রহ এবং অগণিত ভিখারিদের সাথে নিয়ে রিমোট রেডিয়েশন সেন্সরগুলির সাহায্য নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পারমাণবিক বোমার অবস্থানটি সন্ধান করার পরিকল্পনা করেন।

কমান্ডো অপারেশনে তারা বেশিরভাগ সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করা হয় এবং পরবর্তীতে বোমা টাকে নিষ্ক্রিয় করা হয়।

অভিনয়ে সম্পাদনা

গান সম্পাদনা

# Title Singer(s)
1 "দিল মেরা এক তারা" সাধনা সরগম
2 "ম্যান চিজ বার্ন হুন" শান
3 "আই এম এ কুল ক্যাট" শান,সুভিক্ষা
4 "দিল ইয়ে তেরা" কেকে
5 "দুয়ান‌ দুয়ান সা" মিলিন্দ সোমান, চিত্রা
6 "চিম চিমিয়া" স্বপ্না অবস্তী

প্রতিক্রিয়া সম্পাদনা

ডিসেম্বর ভারত এবং বিদেশে সমালোচকদের বেশিরভাগ ইতিবাচক পর্যালোচনা পেয়েছে।

রেডিফ ডটকমের রনজিটা কুলকার্নি চলচ্চিত্রটিকে ৫/৫ তারকা দিয়ে লিখেছেন "প্রথম বারের মতো পরিচালক মণি শঙ্কর একটি দুর্দান্ত কাজ করেছেন।এতে চারটি গান রয়েছে যার মধ্যে তিনটি ব্যাকগ্রাউন্ডে, তবে এটি অবশ্যই রুটিন গান এবং নাচের সূত্র অনুসরণ করে না। ১৬ ডিসেম্বর আপনাকে মজা দেওয়ার পাশাপাশি আপনাকে ভাবিয়েও তুলবে।"

ডিএনএ সিনেমাটিকে ৫/৫ তারকা দিয়ে বলেছিল যে, হিন্দি গুপ্তচর চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে অন্যতম, এটিকে তারা ভারতের মিশন: ইম্পসিবল বলে উল্লেখ করেছেন।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের র্যাচেল সল্টজ লিখেছেন, "১৬ ডিসেম্বর বক্স অফিস হিট নাও হতে পারে তবে এটি আমাদের যে সাধারণ প্রেমের গল্প হয় তা থেকে অবশ্যই আলাদা" আমিরাত ২৪/৭ এর স্নেহা মে ফ্রান্সিস লিখেছেন "তারকিবে অভিষেকের পরে,মিলিন্দ সোমান এই ছবিতে ভালো অভিনয় করেছেন।"

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা