হোসেনউদ্দীন হোসেন

হোসেনউদ্দীন হোসেন (জন্ম: ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪১ - মৃত্যু: ২০ মে ২০২৪) একজন বাংলাদেশি প্রাবন্ধিক ও ঔপন্যাসিক। প্রবন্ধ/গবেষণা শাখায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০২১ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন।[১]

হোসেনউদ্দীন হোসেন
জন্ম (1941-02-28) ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪১ (বয়স ৮৩)
জাতীয়তাবাংলাদেশি
পেশাপ্রাবন্ধিক ও ঔপন্যাসিক
পুরস্কারবাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (২০২১)

হোসেনউদ্দীন হোসেন ২০ মে ২০২৪, সোমবার, বিকাল ০৪:৪০ এ মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ( সি এম এইচ ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ ও ফুসফুসের সমস্যায় ভূগছিলেন। এর আগে ২০১৯ সালে তার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে গল ব্লাডারে পাথর ধরা পড়ে। ১৪ মে ২০২৪ তারিখ অসুস্থবোধ করলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।

২১ মে ২০২৪, মঙ্গলবার যোহরের নামাজের পর ঝিকরগাছা বি এম মাধ্যমিক বিদ্যলয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

হোসেনউদ্দীন হোসেন ১৯৪১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[২] নিজ গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পর তিনি ঝিকরগাছা উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন।[২] পরে ১৯৫৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ১৯৫৫ সালে তার প্রথম কবিতা কলকাতার দৈনিক পত্রিকা লোকসেবকে প্রকাশিত হয়।[২] পরবর্তীতে তার বিভিন্ন প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা ঢাকা ও কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হওয়া শুরু করে। ১৯৬৫ সালে তিনি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।[২] তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে, নষ্ট মানুষ, অমৃত বৈদেশিক, সাধুহাটির লোকজন, ইঁদুর ও মানুষেরা, প্লাবন এবং একজন নুহ, ভলতেয়ার ফ্লবেয়ার কলসত্ব ত্রয়ী উপন্যাস ও যুগমানস, ঐতিহ্য আধুনিকতা ও আহসান হাবীব, বাংলার বিদ্রোহ, সমাজ সাহিত্য দর্শন প্রবন্ধ, রণক্ষেত্রে সারাবেলা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, লোকলোকোত্তর গাঁথা কিংবদন্তি, বনভূমি ও অন্যান্য গল্প, অনন্য রবীন্দ্রনাথ।[২]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ১৫ জন"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০২২ 
  2. "খ্যাতিমান হতে যে কর্মসাধনার দরকার তা মফস্বলে থেকেও করা যেতে পারে: হোসেনউদ্দীন হোসেন"যুগান্তর (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০২২