হেসা আল জাবের

কাতারি ইঞ্জিনিয়ার ও রাজনীতিবিদ

ড. হেসা আল জাবের একজন কাতারি প্রকৌশলী, একাডেমিক এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৩ সালে আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি কর্তৃক দেশের নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর প্রথমবারের মতো কাতারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি কাতার রাষ্ট্রের তৃতীয় মহিলা হিসেবে মন্ত্রী পদে নিযুক্ত হন।

হেসা আল জাবের
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৬ জুন ২০১৩
সার্বভৌম শাসকতামিম বিন হামাদ আল থানি
প্রধানমন্ত্রীআবদুল্লাহ ইবনে নাসের ইবনে খলিফা আল থানি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাকাতারি
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষা সম্পাদনা

ড. হেসা কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশল বিভাগে স্নাতক এবং জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন, ডি.সি. থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেছেন।[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

২০০৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এবং মন্ত্রী হওয়ার আগে, ড. হেসা এটির মহাসচিব পদে ছিলেন। মহাসচিব হিসেবে তার কার্যভারের সময় ড. হেসা কাতারের টেলিযোগাযোগ বাজারের উদারীকরণে তত্ত্বাবধান করেছেন এবং পছন্দ ও প্রতিযোগিতার যুগে এগিয়ে এসেছেন। প্রযুক্তির সুবিধা সমস্ত খাতে পৌঁছাতে সচেষ্ট হওয়ায় ড. হেসা আইটিসির মাধ্যমে কাতারের আরও সমেত সমাজ গঠনে অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন।[১]

তিনি দেশের জাতীয় ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক, কাতার জাতীয় ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা সহ কাতারের আইসিটি অবকাঠামোর আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছেন। উপরন্তু, তিনি কাতারের স্যাটেলাইট কোম্পানি (এস'হাইলসাত) প্রতিষ্ঠায় একটি অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন, যা ২৯ আগস্ট ২০১৩-এ কাতারের প্রথম স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপনে ভূমিকা রেখেছিল। এছাড়া, তিনি আইসিটির মাধ্যমে কাতার সরকারের আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টা, ব্যাবস্থাগুলি আরো সুসজ্জিত করা, জনগনের কাছে সরকারকে আরো স্বচ্ছ এবং সুগম করার প্রচেষ্টা চালান।[১]

কাতার সহায়ক প্রযুক্তি কেন্দ্র (মাদা) তৈরির ক্ষেত্রে ড. হেসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, যা কাতারের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবাদান করে এবং পেশাদার প্রযুক্তি পরিষেবা ও সমাধানগুলির একটি নেতৃস্থানীয় সরবরাহকারী এটি।[১]

আইসিটি উন্নয়নের ব্যাপক জ্ঞান দিয়ে ড. হেসা প্রাসঙ্গিক আরব ও বিশ্বব্যাপী সম্মেলন ও সমিতির বিভিন্ন কাজের কাগজপত্র ও গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছেন।[১]

পুরস্কার / স্বীকৃতি সম্পাদনা

তার জনসেবার স্বীকৃতিস্বরূপ, ২৪ ডিসেম্বর ২০০৮-এ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক "ন্যাশনাল ফিগার অব দ্য ইয়ার" সম্মানিত হন, যা মূলত দেয়া হয় তাদের যারা সেই বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। ২০১২ সালে তাকে এরাবীয়ান বিজনেস ৩০তম প্রভাবশালী আরব নারী হিসেবে উল্লেখ করে।

২০১৩ সালে, আরবিয়ান বিজনেস ম্যাগাজিনে বিশ্বব্যাপী ৫০০ জন প্রভাবশালী আরবের মধ্যে তিনি তালিকায় ছিলেন, তারপরে ২০১৩ সালের এরাবিয়ান বিজনেস ম্যাগাজিনের ১০০জন প্রভাবশালী আরব নারীর তালিকাতে ২০ তম স্থান পান। সম্প্রতি ইন্টারনেট হল অফ ফেম অ্যাডভাইজরি বোর্ড তাকে বিশ্বের আটজন ইন্টারনেট নেতার একজন হিসেবে উল্লেখিত করে। বিশ্বব্যাপী সোশ্যাল মিডিয়া নিউজকে আখ্যায়িত করা মাশেবল, ২০০০-এর দশকে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির সাথে কাজ করা আটজন সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক মহিলাদের তালিকায় তাকে স্থান দেয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "About the minister"। ictQATAR। ২৩ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৫  This article incorporates text from this source, which uses the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 Unported License.
  1. "Dr. Hessa Al Jaber". ICT. Retrieved 17 August 2013.
  2. "New Emir appoints female Cabinet member in Qatar government shake-up". Doha News. Retrieved 17 August 2013.
  3. "Revealed: 100 Most Powerful Arab Women 2012". Arabian Business. Retrieved 17 August 2013.
  4. "Hessa Al Jaber". World Economic Forum. Retrieved 17 August 2013.
  5. "Qatar: woman appointed to key communications ministry ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মে ২০১৯ তারিখে". ANSAmed. 27 June 2013. Retrieved 17 August 2013.
  6. Attwood, Ed (30 June 2013). "Introducing Qatar’s new Emir ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে". Arabian Business. Retrieved 18 August 2013.