হুমায়ুন কবীর বালু
হুমায়ুন কবীর বালু (৪ অক্টোবর ১৯৪৭ - ২৭ জুন ২০০৪) ছিলেন একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।[১]
হুমায়ুন কবীর বালু | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৭ জুন ২০০৪ | (বয়স ৫৬)
পেশা | সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ |
দাম্পত্য সঙ্গী | আক্তার জাহান রুমা (বি. ১৯৭৬; মৃ. ১৯৮৪) আরা কবীর (বি. ১৯৮৬; মৃ. ২০০১) |
সন্তান | ৩ |
জন্মসম্পাদনা
বালু ১৯৪৭ সালের ৪ঠা অক্টোবর পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) গোপালগঞ্জ জেলার বড়ফা গ্রামে সরদার বাড়ি জন্মগ্রহণ করেন।
কর্মজীবনসম্পাদনা
দৈনিক জনমূর্তি সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৮৪, ১৯৯৮ এবং ২০০৩ সালে খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ১৯৯০ সালে খুলনা জোনাল নিউজপেপার এডিটরস অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও ১৯৯৮ সালে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য হন।
১৯৭৬ সালে খুলনা শহর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি পাকিস্তান শাসনের সময় স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নেয়ার জন্য জেলে গিয়েছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। দক্ষিণের খুলনা শহরে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকারী তিনি প্রথম ব্যক্তি।
ব্যক্তিগত জীবনসম্পাদনা
তিনি ১৯৭৬ সালে আক্তার জাহান রুমার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। রুমা ১৯৮৪ সালে মারা যান। পরে তিনি ১৯৮৬ সালে আরা কবীরকে বিয়ে করেন। আরা কবীর ২০০১ সালে মারা যান। তার সন্তানেরা হলেন আসিফ কবীর, হোসেন মেহেরুবা, আশিক কবীর।
হুমায়ুন কবীর বালু ২০০৪ সালের ২৭শে জুন ৫৬ বছর বয়সে খুলনা শহরে তার নিজের বাড়ির সামনে বোমা হামলায় মারা যান।
পুরস্কারসম্পাদনা
- রাষ্ট্রপতি পদক (১৯৯২) খুলনা প্রেস ক্লাব
- স্বর্ণ পদক ড.আশরাফুল সিদ্দিকী ফাউন্ডেশন (১৯৯৩)
- সাংবাদিকতায় একুশে পদক (২০০৯)
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "একুশে পদকপ্রাপ্ত সুধীবৃন্দ ও প্রতিষ্ঠান" (PDF)। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২২ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৯।