হুদা কায়া

তুর্কি রাজনীতিবিদ

হুদা কায়া হচ্ছেন একজন তুর্কি সাংবাদিক, লেখক, কর্মী এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (এইচডিপি) রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৬০ সালের ৯ অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের জুন থেকে তিনি তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তথা তুর্কি পার্লামেন্টের সদস্য। তিনি ইস্তাম্বুল নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছেন।

হুদা কায়া
তুরস্কের মহান জাতীয় সভার সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৭ জুন ২০১৫
সংসদীয় এলাকাইস্তাম্বুল (১) (জুন ২০১৫, নভেম্বর ২০১৫)
ইস্তাম্বুল (২) (২০১৮)
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1960-10-09) ৯ অক্টোবর ১৯৬০ (বয়স ৬৩)
ইস্তাম্বুল, তুরস্ক
রাজনৈতিক দলপিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি)

পিতামাতার বিবাহ বিচ্ছেদের পর কায়া তার তুর্কি জাতীয়তাবাদী বাবা এবং সৎ মায়ের পরিচর্যায় বেড়ে ওঠেন। তিনি ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত তার প্রকৃত মায়ের সাথে দেখা করেননি। তিনি ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করেন। পরবর্তীতে ইরাকি নাগরিককে বিয়ে করেন। তিনি তিন কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জননী। [১] পরবর্তীতে তিনি স্বামীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদ করতে চেয়েছিলেন এবং তিনি ইস্তাম্বুল থেকে মালাতিয়ায় চলে যান। সেখানে তার একটি ছোট দোকান ছিল, এবং তিনি স্থানীয় রেডিও এবং সংবাদপত্রের সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেলেন।

তার রাজনৈতিক সক্রিয়তার মূল অংশে, কায়া হেডস্কার্ফ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তিনি হেডস্কার্ফ নিষেধাজ্ঞাকে একজন নারীর স্বাধীন ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলে বিবেচনা করেছিলেন। ১৯৯৮ সালে হেডস্কার্ফ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার জন্য তাকে ২ বছরের জন্য কারাগারে বন্দী রাখা হয় এবং তার লেখা একটি নিবন্ধের জন্য তাকে নিন্দা করা হয়। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ সালের মধ্যবর্তী সময়ে তিনি বেশ কয়েকবার কারাবরণ করেন। এই পাঁচ বছরের মধ্যে তিনি মোট ৩ বছর কারাভোগ করেন। আইনগত অসুবিধার কারণে তিনি তুরস্ক ছেড়ে পাকিস্তানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু পাকিস্তানে যাওয়ার এক বছর পর তিনি নিজ দেশে ফিরে আসেন। [১]

কুর্দিপন্থী সংবাদপত্র ওজগুর গুন্ডেমের জন্য তার করা কাজের ফলে তিনি বাম-পন্থী পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এইচডিপি) যোগদান করেন এবং জুন ২০১৫ এর সাধারণ নির্বাচনে তার ইস্তাম্বুল নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে তুর্কি পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন। [২] ২০১৫ সালের নভেম্বরের স্ন্যাপ-ইলেকশন [৩] এবং ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি নিশ্চিত হন। [৪] তুরস্কের ক্যাসেশন কোর্টের রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউটর বেকির শাহিন ১৭ মার্চ ২০২১ তারিখে সাংবিধানিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, যাতে কায়া এবং ৬৮৬ জন অন্যান্য এইচডিপি রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক কার্যকলাপের জন্য পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দাবি করা হয়। [৫] পিকেকের সাথে দলগুলোর কথিত সাংগঠনিক যোগাযোগের কারণে এইচডিপি বন্ধ করার অনুরোধের সাথে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। [৫][৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Who is who in Turkish politics" (পিডিএফ)Heinrich Böll Stiftung। পৃষ্ঠা 128–129। ১৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৯ 
  2. Şafak, Yeni (২০১৯-১১-১৫)। "İstanbul Seçim Sonuçları 2015 - Genel Seçim 2015"Yeni Şafak (তুর্কি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৫ 
  3. Şafak, Yeni (২০১৯-১১-১৫)। "İstanbul Seçim Sonuçları 2015 - Genel Seçim Kasım 2015"Yeni Şafak (তুর্কি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৫ 
  4. Şafak, Yeni (২০১৯-১১-১৫)। "İstanbul Seçim Sonuçları - Genel Seçim 2018 İstanbul Sonucu"Yeni Şafak (তুর্কি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৫ 
  5. "HDP indictment seeks political ban for 687 members, including Demirtaş, Buldan and Sancar"Bianet। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-১৯ 
  6. "Turkish prosecutor seeks political ban on 687 pro-Kurdish politicians"www.duvarenglish.comGazete Duvar। ২০২১-০৩-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-১৯