হুগলী কলেজিয়েট স্কুল
হুগলী কলেজিয়েট স্কুল (স্থানীয়ভাবে কলেজিয়েট স্কুল নামে পরিচিত), হল হুগলী জেলার চুঁচুড়ার অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রাচীনতম ও ঐতিহাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।[২] ১৮১২ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা যায় এটি মূলত প্রাচীনকালে ডাচদের দ্বারা নির্মিত।[৩]
হুগলী কলেজিয়েট স্কুল | |
---|---|
অবস্থান | |
, , ৭১২১০১ | |
তথ্য | |
ধরন | সরকারি বিদ্যালয় |
নীতিবাক্য | তমসো মা জ্যোতির্গময় (আমাকে নিয়ে চলো অন্ধকার থেকে আলোই – "যখন জাগতিক বস্তুসকল আমাকে আকর্ষণ করে, তখন সেই অন্ধকার কে দূর করো যা আত্মাকে আচ্ছন্ন করে।") |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮১২ |
অবস্থা | সক্রিয় |
বিদ্যালয় বোর্ড | ডব্লিউবিবিএসই ও ডব্লিউবিসিএইচএসই |
শিক্ষাবিষয়ক কর্তৃপক্ষ | পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
বিদ্যালয় নম্বর | 17074[১] |
প্রধান শিক্ষক | তপন কুমার গোস্বামী |
লিঙ্গ | বালক বিদ্যালয় |
শ্রেণি | প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী |
ভাষা | বাংলা ও ইংরেজি |
ক্যাম্পাস | শহর |
রং |
|
অন্তর্ভুক্তি | |
ওয়েবসাইট | www |
সর্বশেষ হালনাগাদ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ |
এটি ঊনবিংশ শতাব্দীতে ফিশারের স্মৃতির উদ্ধৃতি থেকে আরও বেশি পরিচিতি পায়।
“ | "১৮১৭ সালে ইমামবাড়া সাথে সংযুক্ত একটি ছোট স্কুলের অস্তিত্বের কথা জানানো হয়েছিল।"[৪] | ” |
সূত্র থেকে জানা যায়, হুগলী ব্রাঞ্চ স্কুলের মতোই হুগলী কলেজের সংশ্লিষ্ট[৫] কলেজিয়েট স্কুলও মুহাম্মদ মহসিনের সৃষ্ট তহবিল মহসিন ফান্ডের অর্থে স্থাপিত।[৬][৭]
ইতিহাস
সম্পাদনাহুগলী কলেজিয়েট স্কুল পশ্চিমবঙ্গ স্কুলশিক্ষা দফতরের অধীনস্থ উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছেলেদের বাংলা মাধ্যমের বিদ্যালয়। হুগলী-চুঁচুড়ায় অবস্থিত স্কুলটি পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ ও পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত।
হুগলী কলেজ নামে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নাম দু-একবার পরিবর্তিত হয়েছিল। 'হুগলী কলেজ' হওয়ার পর বিদ্যালয়টি 'হুগলী কলেজিয়েট স্কুল' নামে পরিচিত হয়। বিদ্যালয়ের অবস্থানও পরিবর্তিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বিদ্যালয়ের চারটি ভবন আছে। সেগুলি হল – মহসিন ভবন, বিদ্যাসাগর ভবন, বঙ্কিমচন্দ্র ভবন এবং প্রফুল্লচন্দ্র ভবন।
অবস্থান
সম্পাদনাগঙ্গা নদীর শাখানদী হুগলী নদীর তীরে এই ঐতিহাসিক স্কুল মহসিন কলেজের ঠিক পাশেই অবস্থিত (হাঁটার দূরত্ব)।
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী
সম্পাদনা- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮ – ১৮৯৪)
- দ্বারকা নাথ মিত্র (১৮৩৩ – ১৮৭৪)
- অক্ষয়চন্দ্র সরকার (১৮৪৬ – ১৯১৭)
- ব্রহ্মবন্ধব উপাধ্যায় (১৮৬১ – ১৯০৭) (১৮৭৪ সালে হুগলী কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি)
- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪ – ১৯৫০)
- অরুণচন্দ্র দত্ত (১৮৯৫ - ১৯৭০)
চিত্রশালা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "হুগলী কলেজিয়েট স্কুল কোড"। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Heritage Walk Map – Dutch in Bengal – dutchinchinsurah" (পিডিএফ)। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ মিত্র, সুধীর কুমার। হুগলী জেলার ইতিহাস (সংস্কৃত ভাষায়)। ১ (প্রথম সংস্করণ)।[পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন]
- ↑ India, National Archives of (১৯২০)। Selections from Educational Records (ইংরেজি ভাষায়)। Superintendent of Government Printing। পৃষ্ঠা ১৯০। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
In 1817 the existence of a small school attached to the Imambarah was reported.
- ↑ রচনা চক্রবর্তী (২০১২)। "হুগলি মোহসীন কলেজ"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "আমরা ভুলেই থাকব? তিনি বিদায় নিয়েছেন, দুই শতাব্দী আগে। আমরা তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দিইনি। হাজি মহম্মদ মহসিনের মৃত্যুদিনে লিখছেন কাজি মাসুম আখতার"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ২৮ নভেম্বর ২০১৩। ১৩ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ Basu, Yogendracandra (১৯৭৬)। Yogendrachandra Basu racanabali। Granthamela। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।