হুকের সূত্র

পদার্থের স্থিতিস্থাপকতা বিষয়ক সূত্র

হুকের সূত্র পদার্থবিজ্ঞানের একটি সূত্র যা বলে যে, স্প্রিংকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে (x) প্রসারিত কিংবা সংকুচিত করতে যে বল (F) প্রয়োগ করতে হয় তা ঐ দূরত্বের সমানুপাতিক - অর্থাৎ Fs = -kx যেখানে k হলো সমানুপাতিক ধ্রুবক এবং x এর মান স্প্রিংটির স্থিতিস্থাপক সীমার চেয়ে কম। ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী রবার্ট হুকের নামানুসারে এই সূত্রটির নামকরণ করা হয় হুকের সূত্র।

হুকের সূত্র: বলের অনুপাতিক প্রসার
বোর্ডেন টিউব হুকের নীতি উপর ভিত্তি করে। গ্যাস চাপের দ্বারা তৈরি বলটি ভিতরের কুণ্ডলিত ধাতব নলের উপরের প্যাচ খুলতে এটা চাপের অনুপাতিক একটি পরিমাণ।
অনেক যান্ত্রিক ঘড়ি এবং ঘড়ির মূল অংশে ভারসাম্য চাকাটি হুকের নীতির উপর নির্ভর করে। যেহেতু কুন্ডলির স্পিং দ্বারা উৎপন্ন টর্কের চাকা দ্বারা পরিণত কোণ আনুপাতিক হয়। ইহার আন্দোলন একটি প্রায় ধ্রুবক সময়।

সূত্রের বিবৃতি সম্পাদনা

হুকের সূত্রের বিবৃতি হলো, "As the extension, so is the force", যার অর্থ বাংলায়, "স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে বস্তুর পীড়ন এর বিকৃতির সমানুপাতিক।"

ইতিহাস সম্পাদনা

১৬৭৬ সালে রবার্ট হুক বস্তুর পীড়ন আর বিকৃতি এর মধ্যে একটি সম্পর্ক খুঁজে পান। তিনি তার সেই সূত্রটি আমেরিকার একটি খবরের কাগজে ল্যাটিন ভাষায় একটি ধাঁধার মাধ্যমে প্রকাশ করেন, ধাঁধাটি ছিল এইরকম, "cciiinosststuv", তিনি বলেন এই শব্দটিকে ভালোভাবে সাজালে একটি অর্থপূর্ণ বাক্য পাওয়া যায়। অনেকে এই ধাঁধা সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অবশেষে ১৬৯৪ সালে, প্রায় ১৮ বছর পর তিনি নিজেই ধাঁধা পুনরুদ্ধার করে দিলেন। সমাধানটি ছিলো এরকম, "ut tensio,sic vis"। ইংরেজিতে যার অর্থ, "as the extension, so is the force"। বাংলায় বস্তুর সম্প্রসারণ প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক। এখান থেকেই হুকের সূতের বিবৃতি নেওয়া হয়েছে অর্থাৎ "স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে বস্তুর পীড়ন বিকৃতির সমানুপাতিক। "

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

রূপান্তর সূত্র
সমজাতীয় সমদৈশিক রৈখিক স্থিতিস্থাপক পদার্থগুলোর স্থিতিস্থাপক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এর মধ্যে যে কোনও দুটি মডিউল দ্বারা স্বতন্ত্রভাবে নির্ধারিত হয়। ত্রিমাত্রিক উপাদান (ছকের প্রথম অংশ) এবং দ্বিমাত্রিক উপাদান (ছকের দ্বিতীয় অংশ) উভয়ের জন্যই দেওয়া এই সূত্রগুলো অনুসারে স্থিতিস্থাপক মডিউলের অন্য যে কোনোটি গণনা করা যেতে পারে।
ত্রিমাত্রিক সূত্র             টীকা
         
         
         
         
         
           
         
         
           

এখানে দুটি বৈধ সমাধান রয়েছে।
যোগ চিহ্ন বাড়লে  .

বিয়োগ চিহ্ন বাড়লে  .

         
          ব্যবহার করা যাবে না যখন  
         
         
         
         
দ্বিমাত্রিক সূত্র             টীকা
         
         
         
         
         
         
         
          ব্যবহার করা যাবে না যখন