হিদেকো মিজুনো

জাপানি ম্যাঙ্গা শিল্পী

হিদেকো মিজুনো (মিজুনো হিদেকো, জন্ম ২৯ অক্টোবর ১৯৩৯ শিমোনোসেকি, ইয়ামাগুচি, জাপানে) প্রথম সফল জাপানি শোজো মাঙ্গা শিল্পীদের একজন। [১] তিনি টোকিওয়া-সো নিবাস( ওসামু তেজুকার একজন সহকারী ছিলেন। তিনি ১৯৫৫ সালে একটি আক্কাকে কোমা পনি গল্পের মাধ্যমে পেশাদার জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি ১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকে একজন বিশিষ্ট শোজো শিল্পী হয়ে ওঠেন। হোয়াইট ট্রোইকা দিয়ে তার সফলতার যাত্রা শুরু হয়, যার উপর ভিত্তি ১৯৬৩ সালে মার্গারেট নামক এক ধারাবাহিক প্রস্তুত হয়েছিল।

মিজুনো ফায়ারের(১৯৬৯-১৯৭১) জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত! এটি একজন বালকের গল্প নিয়ে রচিত প্রথম শোজো মাঙ্গার একটি, যার জন্য তিনি ১৯৭০ সালের শোগাকুকান মাঙ্গা পুরস্কার জিতেছিলেন। তার হানি হানি নো সুতেকি না বোকেন (১৯৬৬) একটি অ্যানিমে টেলিভিশন সিরিজ হিসাবে রূপান্তরিত হয়েছিল যা সিবিএন কেবল নেটওয়ার্কে ইংরেজিতে হানি হানি নামে প্রচারিত হত।

দেড় বছর ধরে, মিজুনো জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজ করেছে এবং একই সময়ে শোজো ক্লাবের জন্য এঁকেছেন। ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত তার প্রথম মাঙ্গা, আক্কাকে কোমা পোনি একটি ছোট মেয়ে এবং একটি টাট্টু ঘোড়ার গল্প নিয়ে রচিত ছিল। যখন তার প্রকাশক মাজুয়ামা একটি সংবেদনশীল নায়িকার সাথে একটি আবেগপ্রবণ মাঙ্গার প্রত্যাশা করছিলেন মিজুনো একটি মারকুটে নায়িকার সাথে একটি পশ্চিমা-অনুপ্রাণিত মাঙ্গা প্রদান করেছিল। যদিও সেই মাঙ্গা প্রকাশকের প্রত্যাশার সাথে মেলেনি, তবুও এটি প্রকাশিত হয়েছিল। [২]

১৯৫৬ সালে মিজুনো প্রথমবার টোকিওতে যান যেখানে তিনি তেজুকার সাথে দেখা করেন। তারপর তিনি পূর্ণরূপে মাঙ্গাকা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। [২] পরের বছর তিনি তার প্রথম সিরিজ, জিন নো হানাবীর প্রকাশ করেন, যা সফল হয়। [২] ১৯৫৮ সালে, তেজুকার আমন্ত্রনে, তিনি টোকিওতে চলে যান যেখানে তিনি টোকিও-সো অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন এবং দুই লেখক শোতারো ইশিনোমোরি এবং ফুজিও আকাতসুকার সাথে কাজ করেছিলেন। তারা একসাথে শোজো ক্লাব ম্যাগাজিনের জন্য ইউ. মিয়া ছদ্মনামে দুটি মাঙ্গা রচনায় সহযোগিতা করেছিলেন। [২] [৩] তিনি মাত্র এক বছর টোকিওয়া-সোতে অবস্থান করেছিলেন।

মিজুনো ১৯৬০ সালে হার্প অফ দ্য স্টারস তৈরি করেছিলেন যা ছিল নর্স পুরাণ থেকে প্রভাবিত প্রেম বিষয়ক মাংগা। [৪]

মিজুনো ফায়ারের(১৯৬৯-১৯৭১) জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন। এটি ছিল প্রথম শোজো মাঙ্গার একটি [৫] যার জন্য তিনি ১৯৭০ সালের শোগাকুকান মাঙ্গা পুরস্কার জিতেছিলেন। [৬] মিজুনো পিঙ্ক ফ্লয়েডের মতো প্রগতিশীল রকের ভক্ত ছিলেন। [৭] ফায়ার ধারাবাহিক রুপে প্রকাশিত হবার পর মিজুনো সিংগল মাদার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। [৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Toku, Masami (২০০৪)। "The Power of Girls' Comics: The Value and Contribution to Visual Culture and Society"। ৩ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০০৯Girl's manga were first depicted by female mangaka in the 1950s. Watanabe, Maki, and Mizuno are the most successful girl's mangaka who visualized girls' dreams and desires in their graphic novels. 
  2. Toku 2015
  3. Pinon ও Lefebvre 2016
  4. "Profile and Interview with Hideko Mizuno"। International Perspectives on Shojo and Shojo Manga: The Influence of Girl CultureRoutledge। ২০১৫। পৃষ্ঠা 160–167। আইএসবিএন 9781317610755 
  5. Schodt, Frederik L. (১৯৮৩)। Manga! Manga! The World of Japanese Comics। Kodansha। 
  6. 小学館漫画賞: 歴代受賞者 (জাপানি ভাষায়)। Shogakukan। ৫ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০০৭ 
  7. オンライン, クロワッサン (২ অক্টোবর ২০১৬)। "少女漫画の歴史を生きる、伝説の漫画家・水野英子さん77歳。 | トピックス"クロワッサン オンライン (জাপানি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২১ 
  8. "【自作再訪】「ファイヤー!」の主人公アロンは私の分身 水野英子さん「とことん純粋に生きるということ」"産経ニュース (জাপানি ভাষায়)। SANKEI DIGITAL INC। ১৬ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২১