হাসকেল গ্রন্থাগার ও অপেরা হাউজ
হাসকেল মুক্ত গ্রন্থাগার এবং অপেরা হাউজ আমেরিকা এবং কানাডার সীমান্তে অবস্থিত যার মালিকানা দুই দেশের। হাসকেল লাইব্রেরিকে অনন্য করে তুলেছে এই সীমারেখা। রেখাটির বিস্তৃতি খুব অল্প হকেও যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডাকে আলাদা করে দিয়েছে। গ্রন্থাগারটির জন্যে দুটি ঠিকানা ব্যবহৃত হয়: ৯৩ ক্যাসওয়েল এভেন্যু, ডার্বিলাইন, ভার্মন্ট এবং ১ রুয়ে চার্চ (গির্জার রাস্তা), স্ট্যানস্টেড, কুইবেক। অপেরা হাউজটি ৭ জুন ১৯০৪ সালে উদ্বোধন করা হয় এবং ১৯৭০ সালে উভয়দেশ একে ঐতিহ্যবাহী ভবন হিসেবে ঘোষণা করে।
হাসকেল গ্রন্থাগার ও অপেরা হাউজ | |
---|---|
স্থানীয় নাম Bibliothèque et salle d'opéra Haskell | |
অবস্থান | স্ট্যান্সটেড, কুইবেক ডার্বি লাইন, ভারমন্ট |
স্থানাঙ্ক | ৪৫°০′২০.৮১″ উত্তর ৭২°৫′৫১.৭০″ পশ্চিম / ৪৫.০০৫৭৮০৬° উত্তর ৭২.০৯৭৬৯৪৪° পশ্চিম |
নির্মিত | ১৯০৪/০৫ |
স্থপতি | নেট বিয়াক এবং জেমস বল |
স্থাপত্যশৈলী | Romanesque Revival, ভিক্টোরীয়, Queen Anne Revival |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | Haskell Free Library and Opera House National Historic Site of Canada |
মনোনীত | ১৫ নভেম্বর ১৯৮৫ |
মনোনীত | ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ |
সূত্র নং | 76000143[১] |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | Édifice Haskell Free Library and Opera House |
ধরন | Classified heritage immovable |
মনোনীত | ২২ ডিসেম্বর ১৯৭৭ |
সূত্র নং | 93138[২] |
গ্রন্থাগার
সম্পাদনাহাসকেল লাইব্রেরির মধ্য দিয়ে কালো দাগ চলে গিয়েছে। একদিকে ভার্মন্টের ডার্বি লাইন আর অন্যদিকে কুইবেকের স্ট্যান্ডস্টিড। সামান্য মাস্কিং টেপের চিহ্ন রেখেই দুটো দেশের সীমারেখা এঁকে দেওয়া হয়েছে। হাসকেল লাইব্রেরির গ্রন্থাগারিককে ফরাসি আর ইংরেজি দুটো ভাষাতেই পারদর্শী হতে হয়। গ্রন্থাগারের ভাগাভাগির সাথে সাথে এর বইগুলোরও ভাগ হয়ে গিয়েছে। গ্রন্থাগারের সামনের দরজা, বুলেটিন বোর্ড আর শিশুদের বই পড়েছে আমেরিকার ভাগে। আর বাদবাকি সব বর্ডারের অন্যপাশে। কেউ বর্ডারের পাশে শুয়ে, কেউ বসে, কেউ আবার পরিবার সহ, কেউ একা, কেউ নানা রকম স্টাইল করে ছবি তুলে যাচ্ছে এটা গ্রন্থাগারের খুব পরিচিত দৃশ্য। দুই দেশের ভেতরে সম্প্রীতি বাড়িয়ে তুলতে হাসকেল পরিবার এক শতক আগে ঠিক বর্ডারের মাঝখানে লাইব্রেরি আর অপেরা হাউজ নির্মাণ করেছিল। তবে ব্যাপারটা খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। এমনকি পুরো ব্যাপারটি টিকিয়ে রাখাটাও যথেষ্ট জটিল। মোট দু’রকমের মুদ্রা গ্রহণ করতে হয় এখানে, নিরাপত্তার দিক দিয়েও দু’দিকেই বেশ কড়া নজর রাখতে হয়। শুধু তা-ই নয়, খাবার খাওয়ার জন্যও বর্ডার পার করতে হয় মানুষকে।
হাসকেল লাইব্রেরির এই বর্ডার নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রচুর ঝামেলা। শুরুটা হয় ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার হামলার মধ্য দিয়ে। বর্ডারের রেখা পড়েছে রাস্তার যে অংশে সেটাকে বন্ধ করে দেওয়া হয়, গাছপালা এনে রাখা হয়। এখনো অব্দি লাইব্রেরির সদর দরজার সামনে ২৪ ঘণ্টা যুক্তরাষ্ট্রের একটু আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার গাড়ি নিয়োজিত থাকে।
অপেরা হাউজ
সম্পাদনাহাসকেল অপেরা হাউজের সাবেক পরিচালক হাল নিউম্যান বলেছেন “মানচিত্রের একটা রেখা আমাদের বিভক্ত করবে, আলাদা করে দেবে- এটাই নিয়ম। কিন্তু এই ব্যাপারটিই হাসকেল লাইব্রেরিকে আরো অনন্য করে তুলেছে। হ্যাঁ, এর মধ্য দিয়ে একটি সীমারেখা চলে গিয়েছে। তবে সেটা মানুষকে আরো কাছাকাছি এনেছে। কী অদ্ভুত ব্যাপার, তাই না"। তিনি কানাডার নাগরিক। অপেরা হাউজটির মধ্য দিয়েও চলে গিয়েছে দুই দেশের সীমারেখা। অপেরা হাউজের ঘরটিকে “দ্যা ইম্পসিবল রুম” নামে ডাকেন তিনি। হাউজের মঞ্চ কানাডায় আর বেশিরভাগ আসন আমেরিকায়। অপেরা হাউজে বর্ডার রেখাটি কিছু আসনের মাঝ দিয়ে চলে গিয়েছে। তাই এই আসনে বসলে আক্ষরিকভাবেই মাথাকে দুই দেশে রাখা যাবে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "National Register of Historical Places – VERMONT (VT), Orleans County"। National Register of Historic Places। National Park Service। ২০০৭-০২-০৭।
- ↑ Ministère de la Culture et des Communications। "Édifice Haskell Free Library and Opera House"। Répertoire du patrimoine culturel du Québec (ফরাসি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩।