হাউজান মাহমুদ

ইরাকী রাজনীতিবিদ

হাউজান মাহমুদ (জন্ম ১৯৭৩) একজন কুর্দি নারীবাদী লেখক এবং যুদ্ধবিরোধী কর্মী। তিনি দক্ষিণ কুর্দিস্তানে জন্মগ্রহণ করেছেন। ২০০৩ সালের মার্চে লন্ডনে যুদ্ধবিরোধী সমাবেশে তিনি একজন বক্তা ছিলেন।[১] কুর্দি নারীবাদী লেখক এবং কর্মীদের জন্য তিনি একটি মঞ্চের সহ-প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেটির নাম 'কালচার প্রজেক্ট' বা সংস্কৃতি প্রকল্প।[১] হাউজান কুর্দিস্তানে জন্মগ্রহণ করলেও বর্তমানে লন্ডনে থাকেন এবং কাজ করেন। [২] তিনি ইরাকের নারী স্বাধীনতার সংগঠনের যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি।হাউজান কুর্দি এবং ইরাকি নারীর অধিকার এবং নারীবাদ সম্পর্কে আন্তর্জাতিকভাবে লেখেন এবং বক্তৃতা দেন।[৩]

হাউজান মাহমুদ
Houzan Mahmoud in Paris
প্যারিসে হাউজান মাহমুদ
জন্ম
কুর্দিস্তান
জাতীয়তাকুর্দি

জীবনী সম্পাদনা

ইরাকি স্বৈরশাসক সাদ্দাম হুসাইনের শাসনকালে মাহমুদ বড় হয়ে উঠেছেন, এবং তাঁর প্রথম স্মৃতিই হল ১৯৮০-৮৮ সালের ইরাক–ইরান যুদ্ধ। তিনি বলেছেন "আমার জন্মের দিন থেকে এই মুহূর্ত পর্যন্ত, আমি যা দেখেছি তা হল যুদ্ধ, ইরাকে একটি অবিরাম চলতে থাকা যুদ্ধ"। তিনি নারীবাদী সাহিত্য পড়া শুরু করেছিলেন, এগুলির প্রভাব পরবর্তীকালে তাঁর জীবনে দেখা গিয়েছিল। বিশেষ করে সম্মান রক্ষার উদ্দেশ্যে হত্যা বা 'অনার কিলিং', মহিলা যৌনাঙ্গ বিকৃতি এবং জোরপূর্বক বিবাহের মত পুরুষতান্ত্রিক সহিংসতার বিরুদ্ধে তাঁর সক্রিয়তা অনুপ্রাণিত হয়েছিল।[৪][৫]

মাহমুদ এসওএএস থেকে জেন্ডার বিদ্যায় স্নাতকোত্তর করেছেন। তিনি ইরাকের নারী স্বাধীনতা সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেছেন।[৬][৭] তিনি ২০১৬ সালের এমা হামফ্রে স্মৃতি পুরস্কার বিজয়ী। [২]

মাহমুদ ইরাক ও কুর্দিস্তানে শরিয়ত আইনের বিরুদ্ধে নারীদের অধিকার রক্ষায় অনেক আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে অনেক প্রচারাভিযানের নেতৃত্ব দেন, যার মধ্যে রয়েছে ইরাকের নারীদের ধর্ষণ ও অপহরণের বিরুদ্ধে অভিযান সংগঠন। তিনি মূলত নারী এবং সাধারণভাবে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা সম্পর্কে আন্তর্জাতিকভাবে লেখেন এবং বক্তৃতা দেন। তাঁর প্রবন্ধগুলি দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট, দ্য ট্রিবিউন, দ্য নিউ স্টেটসম্যান, হাফিংটন পোস্ট এবং অন্যান্য নানা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।[২] তিনি ইরাক, কুর্দিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যে নারীদের অবস্থা নিয়ে অনেক প্রবন্ধ লিখেছেন, যা বহু ভাষায় অনূদিত এবং প্রকাশিত হয়েছে।[৮] তিনি কুর্দিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের মহিলাদের আত্মজীবনীমূলক লেখা কুর্দি উইমেন"স স্টোরিজ ("কুর্দি মহিলাদের গল্প") নামক একটি সংকলনের সম্পাদক।[৯] সংস্কৃতি প্রকল্পের মাধ্যমে এই সমস্ত ঘটনাগুলিগুলি সংগ্রহ করতে তাঁর দুই বছর সময় লেগে গিয়েছিল। এই সংকলনে বিশ থেকে সত্তর বছর বয়সী মহিলাদের আত্মজীবনী স্থান পেয়েছে, যাঁদের মধ্যে আছেন ল্যাঞ্জা খাওয়ের মত কর্মী।[৯]

প্রকাশনা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Jacobson, Scott (২৫ জুন ২০১৭)। "An Interview with Houzan Mahmoud, Co-Founder, Culture Project"Medium.com। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  2. "HOUZAN MAHMOUD"। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  3. "Houzan Mahmoud"। ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  4. Jacobsen, Scott Douglas (২০১৭-০৬-২৪)। "An Interview with Houzan Mahmoud — Co-Founder, Culture Project"Medium। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২৫ 
  5. "An Interview with Houzan Mahmoud, M.A. (Part One)"In-Sight Publishing (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১২-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২৫ 
  6. MaryamNamazie। "6 March 2018, Evening with Houzan Mahmoud"One Law for All (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২৫ 
  7. Hamalaw, Ismail; Mahmoud, Houzan (২০১৮-০১-০২)। "The Latin Boom in Iraqi Kurdistan"। NACLA Report on the Americas50 (1): 60–66। আইএসএসএন 1071-4839ডিওআই:10.1080/10714839.2018.1448597 
  8. "Kurdish Women's Movements between Conservatism and Radical Democracy"। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  9. "Kurdish Women's Stories"Pluto Press (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা