হাইতিতে ইসলাম মুসলমানদের একটি ছোট সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যারা মোট জনসংখ্যার ১% এরও কম এবং স্থানীয় ও বিদেশী অভিবাসীদের সমন্বয়ে গঠিত। দেশটিতে বেশ কয়েকটি মসজিদ ও ইসলামী সংগঠন উপস্থিত রয়েছে।

দাস ব্যবসায়ের সময়কালে (ষোড়শ শতকের শুরু) আফ্রিকা থেকে ইসলামের সূচনা হয়েছিল, তবে পরবর্তী বছরগুলিতে হাইতিতে গোঁড়া ধর্মাবলম্বী ধর্মীয় বিশ্বাস হ্রাস পেয়েছিল। এরপরে এটি মরোক্কার অভিবাসীদের দ্বারা পুনঃবর্তিত হয় এবং তখন[কখন?] থেকেই বর্তমান অবধি এটি বিদ্যমান রয়েছে । মুসলমানরা তাদের ধর্ম নির্দ্বিধায় অনুশীলন করতে পারে এবং ইসলামিক অধ্যয়ন উপলব্ধ রয়েছে।

সংস্থাসমূহ সম্পাদনা

হাইতিতে ইসলামী সংগঠনের মধ্যে রয়েছে বিলাল মসজিদ[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এবং ক্যাপ-হাইতিয়েনের ইসলামিক সেন্টার,[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] যা ইসলামী শিক্ষার অনুষ্ঠান সুযোগ আছে[কীভাবে?] এবং প্রতিদিনের প্রার্থনা করা যায় । অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে মসজিদ শহীদ হাইতি মিরাগোয়েন মসজিদ[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] মিরাগোয়েনে এবং পোর্ট-অ-প্রিন্সের সেন্টার স্পিরিচুয়েল আল্লাহু আকবর[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] । মসজিদ তাওহিদ হাইতি স্থাপন করা হয়েছে এবং কাজ সমাপ্তির কাছাকাছি। গোনাইভেসে, মসজিদ-আল-মুনাওয়ার হল প্রথম মসজিদ যা পাকিস্তানি সেনা অফিসার মেজর সাইফুল্লাহ মিনুস্তায় দায়িত্ব পালন করার সময় তৈরি করেছিলেন এবং ২০০৮ সালে তাঁর পিতা মুনওয়ার সুলতান রন্ধাওয়াকের (একজন অভিজ্ঞ পাকিস্তানি অ্যাথলেট) নামে নামকরণ করেছিলেন। এই মসজিদটি তখন থেকে দাতব্য কাজের কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে আসছে এবং নতুন রূপান্তরিত মুসলিম স্থানীয়দের কাছে হস্তান্তর করছে। ২০১০ সালের ভূমিকম্পের পরে সহায়তা সরবরাহের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি ইসলামিক সংগঠন এবং ত্রাণ গোষ্ঠী দেশটি পরিদর্শন করেছিল । মুফতি শহীদ মোহাম্মদ মিরাগোয়েন অঞ্চলে একটি দারুল উলূম প্রতিষ্ঠা করেছেন[কীভাবে?] যা সমগ্র দেশের মুসলমানদের জন্য খাবারদাবারের যোগান দেয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ইতিহাস সম্পাদনা

হাইতিতে দাসত্বের শুরুর মধ্য দিয়ে হিসপানিওলা দ্বীপে (যা হাইতি ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের অংশ) ইসলামের ইতিহাস শুরু হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] যদিও অনেকে সময়ের সাথে সাথে ইসলাম ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল, কিন্তু তাদের স্বজাতীয় হাইতিয়ানদের সংস্কৃতিতে ইসলামী ঐতিহ্য বজায় আছে[কীভাবে?] । অধিকন্তু, ডুতি বাউকমানের একটি সংশোধনবাদী ইতিহাস, যার মৃত্যুতে মূলত হাইতিয়ান বিপ্লবের সূচনা করে, ধারণা করা হয় যে তিনি মুসলিম ছিলেন।[১] বিশ শতকের গোড়ার দিকে খ্রিস্টান আরব অভিবাসীরা আমেরিকাতে এসেছিল, যাতে আশ্চর্যরূপে লক্ষণীয় পরিমাণ খ্রিস্টান হাইতিতে (এবং অন্যান্য দেশগুলিতে) স্থায়ী বসবাস করা শুরু করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

কথিত আছে যে,একজন লোক মরোক্কার ফেজ গ্রামের বাসিন্দা ১৯ জন পরিবারসহ ১৯০২ সালের দিকে হাইতিতে প্রথম পৌঁছেছিলেন । বর্তমানে, দেশের বেশিরভাগ মুসলমান আদিবাসী হাইতিয়ান এবং তারপরে জাতিগত রয়েছে মরোক্কানরা।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

সীমিত আর্থিক সংস্থার ফলস্বরূপ, একটি আবাসস্থল মসজিদে রূপান্তরিত এবং একটি মিনার নির্মিত হওয়ার আগে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত কোনও মসজিদ বা স্কুল তৈরি করতে তারা অক্ষম ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

2000 সালে, সান রাফায়েলের ফ্যানমি লাভালাসের সদস্য নওন মার্সেলাস হাইতির চেম্বার অফ ডেপুটিসের নির্বাচিত প্রথম মুসলিম হয়েছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

হাইতিতে মুসলমানদের বেশিরভাগই হলেন সুন্নি মুসলমান।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা