হাঁটুনি দারাক

মাছের প্রজাতি

হাঁটুনি দারাক (বৈজ্ঞানিক নাম: Scartelaos histophorus), (ইংরেজি: Walking Goby) হচ্ছে Gobiidae পরিবারের Scartelaos গণের একটি স্বাদুপানির মাছ

হাঁটুনি দারাক
Scartelaos histophorus
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Chordata
উপপর্ব: Vertebrata
মহাশ্রেণী: Osteichthyes
শ্রেণী: Actinopterygii
বর্গ: Perciformes
পরিবার: Gobiidae
গণ: Scartelaos
প্রজাতি: Scartelaos histophorus
দ্বিপদী নাম
Scartelaos histophorus
(Valenciennes, 1837)
প্রতিশব্দ

Boleophthalmus novaeguineae Hase, 1914[১]
Boleophthalmus novaeguinea Hase, 1914[১]
Gobiosoma punctularum De Vis, 1884[১]
Gobiosoma guttulatum Macleay, 1878[১]
Apocryptes macrophthalmus Castelnau, 1873[১]
Boleophthalmus campylostomus Richardson, 1846[১]
Boleophthalmus aucupatorius Richardson, 1845[১]
Boleophthalmus sinicus Valenciennes, 1837[১]
Boleophthalmus chinensis Valenciennes, 1837[১]
Boleophthalmus histophorus Valenciennes, 1837[১]
Scartelaos viridis (Hamilton, 1822)[২]
Boleophthalmus viridis (Hamilton, 1822)[১]
Gobius viridis Hamilton, 1822[১]

বর্ণনা সম্পাদনা

হাঁটুনি দারাক মাছের দেহ খুব লম্বা হয়; এদের সম্মুখে প্রায় চোঙাকৃতির, তবে পশ্চাতে চাপা। মাথা সামান্য অবনমিত এবং আঁচিলযুক্ত ত্বক দ্বারা দেহ আবৃত থাকে। মাছটির চোখ দুইটি পরস্পরের খুব নিকটে অবস্থিত; যা মাথার পৃষ্ঠদেশের উপরে ঘুরতে থাকে। নিচের চোখের পাতা মুক্ত ও সুগঠিত। মুখের চিরটি প্রায় অনুভূমিকভাবে অবস্থিত। এই মাছের এক জোড়া ছেদনাকৃতির দাঁত আছে। সমস্ত দেহ ছােট ছােট লুপ্তপ্রায় আঁইশ দ্বারা আবৃত। তবে পেছনের আঁইশগুলাে অপেক্ষাকৃত বড় ও সুস্পষ্ট। প্রথম পৃষ্ঠপাখনা দেহের তুলনায় অধিক উঁচু। এদের দেহের রং সবুজাভ, তবে নিচের দিকে ক্রমান্বয়ে উজ্জ্বল বর্ণের হয়। আবার মাথা, দেহ এবং পৃষ্ঠপাখনায় কিছু কালাে দাগ থাকে। পুচ্ছপাখনা কালাে রেখাযুক্ত।[৩]

বিস্তৃতি সম্পাদনা

এই মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, চীন, ফিলিপাইন এবং অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত।[৩]

আবাসস্থল সম্পাদনা

হাঁটুনি দারাক জলের তলদেশে এবং স্বাদু ও লােনা উভয় পানিতেই অভিপ্রায়ন করে; এছাড়া মােহনা এবং সমুদ্রে উপকূল ও মােহনা অঞ্চলে কাদাযুক্ত বাস করে। মাঠ যেখানে জোয়ার-ভাটার প্রভাব থাকে সেখানে বাস করে। বঙ্গোপসাগরের তীরে জোয়ার-ভাটার হয় এমন কাদা মাটিতে দেখতে পাওয়া যায়। অধিকাংশই মােহনা, তীরবর্তী জলাধার, কাদাযুক্ত মাঠ যেখানে জোয়ারের সময় পানি আসে সেখানে বাস করে। এছাড়াও জোয়ার-ভাটার প্রভাব থাকে এমন স্বাদুপানির নদীতেও দেখা যায়। এরা কীটপতঙ্গ এবং অন্যান্য অমেরুদন্ডী প্রাণী খায়।[৩]

বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ সম্পাদনা

এই মাছ সচরাচর পাওয়া যায়। আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি এখনও হুমকির সম্মুখীন নয়। উপকূলে জেলেদের জালে প্রায় ধরা পড়ে। বাংলাদেশে এর সর্ব্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১৩.৩ সেমি পর্যন্ত পাওয়া যায়।[৩]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Murdy, E.O. (1989) A taxonomic revision and cladistic analysis of the Oxudercine gobies (Gobiidae: Oxudercinae)., Records of the Australian Museum Supplement 11:93 p.
  2. Masuda, H., K. Amaoka, C. Araga, T. Uyeno and T. Yoshino (1984) The fishes of the Japanese Archipelago. Vol. 1., Tokai University Press, Tokyo, Japan. 437 p. (text).
  3. এ কে আতাউর রহমান, শামীমা আকতার (অক্টোবর ২০০৯)। "স্বাদুপানির মাছ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৬৭–২৬৮। আইএসবিএন 984-30000-0286-0 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)