হরি কেশব সেন (৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৫[১] ― ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৬), যিনি এইচ. কে. সেন[২] নামেই বেশি পরিচিত, ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী এবং জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী। তিনি সেন-ওয়াইলার চৌম্বকীয় আয়নীয় তত্ত্বের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত, যা চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে দুর্বল আয়নযুক্ত গ্যাসের মাধ্যমে রেডিও তরঙ্গ অগ্রগতির জন্য স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপলটন-হার্ট্রি সূত্রের সাধারণীকরণ। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে হরি কেশব সেন এবং এ. এ. ওয়াইলার সেন-ওয়াইলার চৌম্বকীয় আয়নীয় তত্ত্বটি আবিষ্কার করেছিলেন।[২]

হরি কেশব সেন
জন্ম(১৯০৫-০২-০৯)৯ ফেব্রুয়ারি ১৯০৫
মৃত্যু১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬(1976-09-01) (বয়স ৭১)
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তন
পরিচিতির কারণসেন-ওয়াইলার চৌম্বকীয় আয়নীয় তত্ত্ব (১৯৬০)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্র
প্রতিষ্ঠানসমূহ
  • হার্ভার্ড কলেজ মানমন্দির
  • এয়ারফোর্স কেমব্রিজ রিসার্চ ল্যাবরেটরি
  • হিউজ এয়ারক্রাফ্ট কোম্পানি
  • ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্টান্ডার্ডস এণ্ড টেকনোলজি

জীবনী সম্পাদনা

প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পরে এইচ. কে. সেন ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপরে তিনি ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে আগাসিস রিসার্চ ফেলোশিপ পেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং হার্ভার্ড কলেজ মানমন্দিরে ১৯৪৮-৫৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রভাষক হিসেবে ছিলেন। সেখানে তিনি ডোনাল্ড এইচ. মেনজেলের সঙ্গে বিভিন্ন অ্যাস্ট্রো-ফিজিক্যাল সমস্যা নিয়ে কাজ করেছিলেন। ডক্টর সেন ১৯৫১-৫৪ খ্রিস্টাব্দ অবধি বোল্ডারের ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যান্ডার্ডসে পদার্থবিদ হিসাবে কাজ করেন। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে এয়ারফোর্স কেমব্রিজ রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে যোগদানের পূর্বে ডক্টর সেন ১৯৫৪-৫৫ খ্রিস্টাব্দে হিউজ এয়ারক্রাফ্ট কোম্পানিতে বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি হার্ভার্ড কলেজ মানমন্দিরে সহযোগী গবেষক হিসেবে নিযুক্ত হন।[২]

গবেষণা সম্পাদনা

এয়ারফোর্স কেমব্রিজ রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে এ. এ. ওয়াইলারের সঙ্গে প্রফেসর সেন ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে সেন-ওয়াইলার চৌম্বকীয় আয়নীয় তত্ত্বটি আবিষ্কার করেন।[৩] তাঁর এই তত্ত্বের দ্বারা আয়নোস্ফেরিক ডি স্তরগুলি থেকে বেতার তরঙ্গগুলির পরিমাপক প্রতিসরণ, শোষণ এবং প্রতিফলন ধর্মগুলোর বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করা যায়। অধ্যাপক সেন ম্যাসাচুসেট্‌সের ব্র্যান্ডেডেইন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদীপ এম. বক্সীর সঙ্গে ম্যাক্সওয়েলিয়ান প্লাজমার অরৈখিক দোলন নিয়ে গবেষণা করেছিলেন।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Hari Sen"www.myheritage.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৮ 
  2. "Hari Keshab Sen"Physics Today (ইংরেজি ভাষায়)। 30 (6): 68। ২০০৮-১২-২৯। আইএসএসএন 0031-9228ডিওআই:10.1063/1.3037610  
  3. Bremer, J.; Singer, W. (১৯৮৮)। "Relations between classical and Sen-Wyller magneto-ionic theories in view of their application at checking of IRI electron density models"Advances in Space Research (ইংরেজি ভাষায়)। 8 (4): 225–228। আইএসএসএন 0273-1177ডিওআই:10.1016/0273-1177(88)90246-3। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২০ 
  4. Sen, Hari K. (১৯৭০)। Nonlinear Oscillations of a Maxwellian Plasma (ইংরেজি ভাষায়)। Air Force Cambridge Research Laboratories, Office of Aerospace Research, United States Air Force।