হরনাথ ঠাকুর (১ জুলাই, ১৮৬৫ - ২৫ মে, ১৯২৭) একজন ঊনবিংশ শতকের বাঙালি অধ্যাত্মবাদী ও ভক্তিবাদী ব্যক্তিত্ব। তার আসল নাম ছিল হরনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি 'পাগল হরনাথ' নামে খ্যাত ছিলেন।

সাধক

হরনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম১ জুলাই ১৮৬৫
সোনামুখী, বাঁকুড়া জেলা
মৃত্যু২৫ মে ১৯২৭
জাতীয়তাভারতীয়
অন্যান্য নামপাগল হরনাথ
পেশারাজকর্মচারী

জীবনী সম্পাদনা

হরনাথ ঠাকুর বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীতে জন্মগ্রহণ করেন।[১] ১৮৯৩ সালে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের ধর্মদপ্তরের রাজকর্মচারী রূপে কাজে যোগ দেন। সেখানে নানা সাধু সন্ন্যাসীদের সংস্পর্শে আসার পর সাধক জীবন গ্রহণ করে স্ত্রী কুসুমকুমারী কে নিয়ে ভারত প্রদক্ষিণ করেন। দক্ষিণ ভারত বিশেষত অন্ধ্রপ্রদেশে বিপুল সম্বর্ধনা লাভ করেন হরনাথ। তাকে নিয়ে সাংবাদিক শিশির কুমার ঘোষের লেখা স্পিরিচুয়াল ম্যাগাজিন ও অমৃতবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তার খ্যাতি দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তার পত্রাবলী ইংরেজি ছাড়াও বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়। বৈষ্ণবধর্ম সাধক হরনাথ তথাকথিত আধ্যাত্মিক গুরুদের মত কাউকে দীক্ষা দিতেননা কিন্তু বহু মানুষ তার ভক্ত ছিলেন। হরনাথ পুরীতে অনাথ আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেন। সোনামুখির আনন্দ আশ্রমে তিনি বাস করতেন।[২][৩]

মৃত্যু সম্পাদনা

২৫ মে ১৯২৭ সালে মারা যান সাধক হরনাথ ঠাকুর।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ""পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২০৬"। উইকিসংকলন। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৭ 
  2. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৬১২। 
  3. June McDaniel (১৯৮৯)। The Madness of the Saints: Ecstatic Religion in Bengal। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা ৫৭।