হংকং বিজ্ঞান জাদুঘর
হংকং বিজ্ঞান জাদুঘর (চীনা: 香港科學館) হংকংয়ের সিম শ শুই ইস্ট, কোওলুনের অবস্থিত বিজ্ঞান জাদুঘর। এটি হংকং ইতিহাস জাদুঘরের পাশে অবস্থিত।
香港科學館 | |
স্থাপিত | ১৮ এপ্রিল ১৯৯১ |
---|---|
অবস্থান | ২ বিজ্ঞান জাদুঘর সড়ক সিম শ শুই, কোওলুন হংকং |
স্থানাঙ্ক | ২২°১৮′০৪″ উত্তর ১১৪°১০′৩৯″ পূর্ব / ২২.৩০১০২° উত্তর ১১৪.১৭৭৫১° পূর্ব |
ধরন | বিজ্ঞান জাদুঘর |
পরিদর্শক | ১,১২৫,০০০ (২০১৬)[১] |
পরিচালক | কারেন সিট |
তত্ত্বাবধায়ক | পলিনা চান রনে ইউয়েন কেলভিন চুং |
স্থপতি | পামার ও টার্নার |
নিকটতম গণপরিবহন সুবিধা | হুং হম স্টেশন |
ওয়েবসাইট | www |
হংকং বিজ্ঞান জাদুঘর | |||||||||||||
ঐতিহ্যবাহী চীনা | 香港科學館 | ||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সরলীকৃত চীনা | 香港科学馆 | ||||||||||||
|
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৭৬ সালে শহুরে পরিষদ কর্তৃক প্রথম জাদুঘরটির পরিকল্পনা শুরু হয়।[২] ১৯৭৪ সালে উক্ত পরিষদ মার্কিন সংস্থা ই. ভেরমার জনসন এন্ড এসোসিয়েশনকে জাদুঘরের পরিকল্পনা করতে নিয়োগ দেয়। পরবর্তীতে আরও তিনটি নকশা: পশ্চিম অফিস নকশা, তোশিহিকো সাকো অ্যাসোসিয়েটস, এবং লেভি নকশা- কাজ ও প্রদর্শনীর জন্য ব্যবহার করা হয়।[৩] ১৯৮৬ সালে পরিষদটি হংকংয়ের স্থাপত্য ফার্ম পামার ও টার্নারকে জাদুঘরটির নকশা করার জন্য নিয়োগ দেয়।[৪] পরবর্তীতে এশিয়ার লাইটন কন্ট্রাক্টরস দ্বারা জাদুঘরটি নির্মিত হয়।
১৯৮৮ সালের মার্চ মাসে জাদুঘরটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯০ সালে তা শেষ হয়।[৪] এটি নির্মাণে প্রায় ৩৪০ মিলিয়ন হংকং ডলার খরচ হয়।[২] গভর্নর ডেভিড উইলসন এবং শহুরে পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম জি ফররসগেট ১৯৯১ সালে ১৮ই এপ্রিলে জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন।
প্রদর্শনী
সম্পাদনাক্যাথে প্যসিফিক বিমান সংস্থার প্রথম বিমান ডিসি৩ এয়ারলাইনার জাদুঘরটির ছাদ থেকে ঝুলন্ত।
শিশুদের মাঝে জনপ্রিয় হচ্ছে জাদুঘরটির কম্পিউটার অঞ্চল; একটি বাস্তব (কিন্তু নিশ্চল) মডেল গাড়ি জাদুঘরটিতে দর্শনার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে। দর্শনার্থীরা বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে গাড়িটি চালানোর অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পায়। এক্ষেত্রে বিশেষ স্টিমুলেশন ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। একটি বাস্তব ছোট আকৃতির স্থির আকাশযানের রেপ্লিকা রয়েছে যেটির অভ্যন্তরে বিভিন্ন বিমানের ককপিট থেকে উড্ডয়নকালে ধারণকৃত ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়। জাদুঘরের ভেতরে একটি ছোট ক্যাফেতে রয়েছে হালকা বিশ্রাম ও নাস্তা-পাণীয় গ্রহণের সুবিধা।
প্রায় ৫০০টি প্রদর্শনী নিয়মিত স্থায়ী প্রদর্শন অঞ্চলে প্রদর্শিত হয়। এর মাঝে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো ২২ মিটার উচ্চ টুইন-টাওয়ার জ্বালানি যন্ত্র, যা এই ধরনের টাওয়ারের মাঝে বিশ্বের সবচেয়ে বড়। মোট ১৮টি গ্যালারি আলো, শব্দ, গতি, বিদ্যুৎ এবং চুম্বকত্ব, গণিত, জীবন বিজ্ঞান, ভূগোল, আবহাওয়া, কম্পিউটার, পরিবহন, যোগাযোগ, খাদ্য বিজ্ঞান, শক্তি/শক্তি সংরক্ষণ এবং হোম প্রযুক্তিসহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিস্তৃত পরিসরকে আচ্ছাদন করে। অন্তত ৮০ শতাংশ প্রদর্শনী দর্শকদের হাতে কলমে জ্ঞান লাভের সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়।
এছাড়াও জাদুঘরের দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গ দৈনিক বিভিন্ন প্রদর্শনী দেখান, যা মূলতঃ অল্প বয়সী দর্শকদের কথা মাথায় রেখে নকশা করা। শনিবার, রবিবার ও সরকারি ছুটির দিনগুলো ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
জাতিস্ংঘ কর্তৃক ২০১১-২০২০ সাল পর্যন্ত "জাতিসংঘ জীববৈচিত্র্য দশক" ঘোষণার পর হংকং বিজ্ঞান জাদুঘর একটি নতুন স্থায়ী গ্যালারি জীববৈচিত্র্য বিষয়ে প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত করে। [৫]
-
জ্বালানি যন্ত্র
-
ডায়নোসরের কঙ্কাল
যাতায়াত
সম্পাদনাহুং হম স্টেশন এরং গণ ট্রানজিট রেল (এমটিআর) থেকে জাদুঘরটি হাঁটা দুরত্বেই অবস্থিত।
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Statistics Report"। Leisure and Cultural Services Department। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭।
- ↑ ক খ Green, Lisa (১৯ এপ্রিল ১৯৯১)। "Governor opens Science Museum"। South China Morning Post। পৃষ্ঠা 3।
- ↑ Serjeant, John (১৯ এপ্রিল ১৯৯১)। "Discoveries in a hi-tech wonderland"। South China Morning Post। পৃষ্ঠা 57।
- ↑ ক খ "Developing new place of wonder"। South China Morning Post। ১৯ এপ্রিল ১৯৯১। পৃষ্ঠা 59।
- ↑ "Hong Kong Science Museum - Objectives"। hk.science.museum (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১০-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৬।