স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ
স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ হল কবি বিষ্ণু দে (১৯০৯ - ১৯৮২) রচিত কাব্যগ্রন্থ। কবি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বইটির জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার জ্ঞানপীঠ লাভ করেন। কাব্য গ্রন্থটি ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়। স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ নামের কবিতাটি অবশ্য ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্য পত্রিকার বৈশাখ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। বিষ্ণু দের স্বকীয় রচনাভঙ্গি ও চিন্তাদর্শে এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ। [১]
লেখক | বিষ্ণু দে |
---|---|
প্রচ্ছদ শিল্পী | যামিনী রায় |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | কবিতা |
প্রকাশিত | বৈশাখ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ১২০ |
পুরস্কারসমূহ | জ্ঞানপীঠ পুরস্কার (১৯৭১) |
আইএসবিএন | ৯৭৮-৮১-২৯৫-২২৭৪-০ |
কবি কাব্যগ্রন্থটি অন্নদাশঙ্কর রায়কে উৎসর্গ করেন। কাব্যগ্রন্থের কবিতার সংখ্যা ১০২ টি। সমকালীন মানব জীবনের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত নিয়েই "স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ"। দেশের ও কালের বর্তমান যান্ত্রিক জীবনের হতাশা ও বেদনার পাশাপাশি সংগ্রামী চেতনা ও আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি পরিস্ফুট হয়েছে। আধুনিক জীবনকে কবির 'নরক' বলে মনে হয়েছে ---
'বাঁচবার আশা নেই, বাঁচবার ভাষা নেই সেখানে মড়ক অবিরত সেখানে কান্নার সুর একঘেয়ে নির্জলা আকালে মরমে পশে না আর, সেখানে কান্নাই মৃত কারণ কারোর কোনো আশা নেই অথবা তা এত কম যে কোনো নিরাশা নেই। চৈতন্যে মড়ক।'
কবি যেন আত্মসত্তার অন্বেষণ করেছেন তার কাব্যগ্রন্থে। আর তার এই অন্বেষণের প্রেরণায় ছিলেন শতাব্দীর সূর্য - "রবীন্দ্রনাথ"। নিজস্বতা, ছন্দের প্রবাহ আর চিন্তা-মনীষা-আবেগের সমন্বয়ে কাব্যগ্রন্থটি সমুজ্জ্বল।
কাব্যগ্রন্থটি সম্পর্কে প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছেন-
"এটি পরিণত বয়সের শ্রেষ্ঠ রচনা"
কবি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ মৈত্র কাব্যগ্রন্থটির কিছু কবিতায় সুরারোপ করেন। [২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ শিশিরকুমার দাশ (২০১৯)। সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী। সাহিত্য সংসদ, কলকাতা। পৃষ্ঠা ২৩৭। আইএসবিএন 978-81-7955-007-9।
- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ২৫৫, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬