সৌদি আরবে নারী ফুটবল

সৌদি আরবে নারী ফুটবলের ইতিহাসের সারসংক্ষেপ

জাতীয় ফেডারেশন ১৯৫৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং ফিফা অধিভুক্ত ১৯৫৬ সালে হয়েছিল।[১] [২] তবে দেশের নারী ফুটবল দেশের ফিফা সমন্বিত গোল! প্রকল্প-এ অন্তর্ভুক্ত নয় [২] ২০১১ সালের মধ্যে, সৌদি আরব ফুটবল ফেডারেশনের অভ্যন্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের ফুটবল কর্মসূচি তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। কীভাবে এটি করা যায় সে সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্য সহ অন্যান্য জাতীয় ফেডারেশন থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। [৩] খেলার পুরুষদের দিক থেকে, জাতীয় ফেডারেশন সৌদি আরবের পুরুষদের জাতীয় ফুটবল দলের মান উন্নয়নে প্রচেষ্টাকে অর্থায়ন করেছে। [৪]

সৌদি আরবে নারী ফুটবল
দেশসৌদি আরব
পরিচালনা পরিষদসৌদি আরব ফুটবল ফেডারেশন
জাতীয় দলসৌদি আরব

ইতিহাস সম্পাদনা

২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত, কিংস ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল ক্লাব দেশের প্রথম মহিলা ফুটবল ক্লাব ছিল। [৫] তারা ২০০৯ সালে জেদ্দায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। [৬] দলটি প্রথমে প্রিন্স আলওয়ালীদ বিন তালালের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল, কিন্তু তীব্র মিডিয়া কভারেজের মুখে যাচাই-বাছাইয়ের সম্মুখীন হয়ে তিনি ২০০৯ সালে তার সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন। [৭] ২০১২ সালে, দলটি সপ্তাহে তিনবার পুরুষদের দৃষ্টির বাইরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে, খেলোয়াড়রা ছোট হাতের শার্ট এবং শর্টসের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল কিট পরেছিল। দলের কোচ রীমা আবদুল্লাহ, যিনি দলের স্ট্রাইকার। এটিতে ৩৫ জন খেলোয়াড় রয়েছে, যাদের বয়স ১৩ বছর থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত। [৫] রিয়াদ এবং দাম্মামের মতো শহরে দেশে অন্যান্য মহিলা দল তৈরি করা হয়েছে এবং ২০০৮ সালে একটি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার মধ্যে সাতটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং ইভেন্টটি কিংস ইউনাইটেড জিতেছিল। [৭] [৫] দেশের দুটি মহিলা দলের মধ্যে প্রথম ম্যাচটি ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়, যখন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দল আল-ইয়ামামাহ কলেজকে দাম্মামের ৩৫,০০০ জন দর্শক ধারণক্ষমতা প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন ফাহাদ স্টেডিয়ামে নারী দর্শকদের উপস্থিতিতে একটি ম্যাচে পরাজিত করে। আল-ইয়ামামাহ কলেজের গোলরক্ষক ম্যাচ সেরা হন। [৮] ২০০৯ সালের মার্চ মাসে, একটি মহিলা দাতব্য বা দানশীলতার ফুটবল ম্যাচ "ইউনিভার্সিটি" ও "বার্সেলোনা" নামে দুটি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছি, যেখানে ৪০০ জন মহিলা ভক্ত ছিলেন এবং কোন পুরুষ দর্শক ছিল না। ম্যাচটি ইউনিভার্সিটি ২-১ গোলে জয়ী হয় এবং রাজ্যের পূর্বাঞ্চলের প্রতিবন্ধীদের জন্য এসআর৮১,০০০ ($২১,৫৯৮) উপার্জন করে। [৯]

২০২০ সালের ডিসেম্বরে, সৌদি স্পোর্টস ফর অল ফেডারেশন তিনটি প্রধান শহর: দাম্মাম, রিয়াদ ও জেদ্দায় প্রথম দেশব্যাপী ফুটবল লীগ চালু করে। প্রতিটি শহরের চ্যাম্পিয়ন ছিল জেদ্দা ঈগলস, ইস্টার্ন ফ্লেমস এফসি ও চ্যালেঞ্জ এফসি। [১০]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. FIFA (২০০৬)। "Women's Football Today" (পিডিএফ): 167। ৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১২ 
  2. "Goal! Football: Saudi Arabia" (পিডিএফ)। FIFA। ২১ জানুয়ারি ২০১০। পৃষ্ঠা 1। ১০ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১২ 
  3. Wagner, Rob L. (৮ নভেম্বর ২০১১)। "Women's soccer making headway in Saudi Arabia"Jerusalem Post। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১২ 
  4. Gabriel Kuhn (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। Soccer Vs. the State: Tackling Football and Radical Politics। PM Press। পৃষ্ঠা 28–। আইএসবিএন 978-1-60486-053-5। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১২ 
  5. "Saudi female athletes challenge Muslim norms — Olympics — ESPN"। Sports.espn.go.com। ২০১২-০২-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-১০ 
  6. Jamjoom, Mohammed (ডিসেম্বর ২১, ২০১০)। "Saudi Arabia investigating female sports competition, paper reports"। CNN। ডিসেম্বর ২৩, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-১০ 
  7. Burleigh, Nina (২০১২-০৩-০১)। "Nina Burleigh on Why You Won't See Saudi Women At The Olympics"। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-১৩ 
  8. "First female soccer match played in Saudi Arabia"RIA Novosti। ২৫ জানুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১২ 
  9. Hartley, Joanna (২১ মার্চ ২০০৯)। http://www.arabianbusiness.com/saudi-women-take-part-in-charity-football-game-64850.html। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১২  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  10. "WFL–FAQ"WFL Website। ২ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২০