সোমেশচন্দ্র বসু (২ অক্টোবর ১৮৮৮ - ১১ জানুয়ারি ১৯৫৫) ছিলেন একজন বাঙালি গণিতশাস্ত্রবিদ। মানস অঙ্কে তার আন্তর্জাতিক খ্যাতি ছিল। প্রবাসী পত্রিকা একসময় তাকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গণিতবেত্তা আখ্যা দিয়েছিল। [১]

সোমেশচন্দ্র বসু
জন্ম(১৮৮৮-১০-০২)২ অক্টোবর ১৮৮৮
বজ্রযোগিনী ঢাকা জেলা, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে বাংলাদেশ)
মৃত্যু১১ জানুয়ারি ১৯৫৫(1955-01-11) (বয়স ৬৬)
জাতীয়তাভারতীয়
পরিচিতির কারণগণিতবিদ
দাম্পত্য সঙ্গীনাট্যসম্রাজ্ঞী সরযৃবালা

শিক্ষা সম্পাদনা

সোমেশচন্দ্র ১৮৮৮ ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ছিল উমেশচন্দ্র বসু। ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করেন এবং ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা জগন্নাথ কলেজে এফ.এ পর্যন্ত পড়েন। এর পরে একাউন্টেন্টসশীপ পাশ করে মানসিক গণনার চর্চা শুরু করেন নিজে নিজে।[২]

গণিতবিদ সম্পাদনা

মানসিক গননাশক্তির অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল তার। মুখে মুখে অত্যন্ত দ্রুত জটিল অঙ্ক কষে ফেলতে পারতেন তিনি।[৩] ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে (বিশ্ববিদ্যালয়) তার এই বিস্ময়কর গননাশক্তির পরিচয় দেন।[৪] ৩০ মে ১৯২২ এ ইংল্যান্ড, ২১ সেপ্টেম্বর আমেরিকা ও ২৮ সেপ্টেম্বর কানাডার কুইবেক সিটিতে যান। এই সময় তাকে বাঙালি বিপ্লবী সন্দেহে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ও বন্দী রাখে। ৪৫ দিন পরে মুক্তি পেয়ে আমেরিকা ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানসিক গণনার প্রদর্শন করে আন্তর্জাতিক খ্যাতিলাভ করেছিলেন।[২] ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় ফিরে আসেন।[৫]

লেখা সম্পাদনা

গণিতশাস্ত্র বিষয়ে তার রচিত কতগুলি পাঠ্যপুস্তক আছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ৮৩৩,৮৩৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৬০৬। 
  3. দীনেশচন্দ্র সেন। "বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড)"। উইকিসংকলন। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  4. তৃতীয় খন্ড, প্রবীর ঘোষ। অলৌকিক নয় লৌকিক। কলকাতা: দেজ পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ২৫৬। 
  5. Satya Sen (১৯২৬)। Great Mathematical Prodigy Somesh Chandra Bose। Indian Review Volume XXVII, Issue 11,।