সৈয়দ মর্তুজা (১৫৯০-১৬৬২) সুফি ভাবধারার কবি। ১৬ শতকের শেষদিকে তার আবির্ভাব। ১৭ শতকের দ্বিতীয় ভাগে তিরোধান। ছিলেন সুফি সাধক। আধ্যাত্মিক সাধনায় তার ভূমিকা স্মরণ করে তাকে ‘মর্তুজানন্দ’ বলে ডাকা হতো।[১]

সৈয়দ মর্তুজা
জন্মআনু. ১৫৯০
ছাপঘাটি গ্রাম,সুতি থানা, মুর্শিদাবাদ জেলা, ভারত
মৃত্যুআনু. ১৬৬২
পেশাসুফি ভাবধারার কবি

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

সৈয়দ মর্তুজা জন্মগ্রহণ করেন আনু. ১৫৯০ সালে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার সুতী থানার অন্তর্গত ছাপঘাটি গ্রামে। তার পিতার নাম সৈয়দ হাসান, যিনি ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরেলির অধিবাসী ছিলেন।[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

সৈয়দ মর্তুজার পীর ছিলেন জঙ্গিপুর নিবাসী সৈয়দ শাহ আবদুর রাজ্জাক। তার একজন সাধনসঙ্গিনী ছিলেন যার নাম আনন্দময়ী। ফিরোজপুরের গৌড়ের শাহ্ নিয়ামতুল্লাহ (মৃত্যু. ১৬৬৪) সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। শাহ্ নিয়ামতুল্লাহর মৃত্যুর পর ছাপঘাটিতে তার মাজারে প্রতিবছর তিনদিন উরুস হতো। বর্তমানে ও বার্ষিক উরুস অনুষ্ঠিত হয়। তিনি অসাম্প্রদায়িক সাধক ছিলেন। হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ তার ভক্ত ছিলেন। তার বংশধররা খাদেম হিসেবে মাজারের তত্ত্বাবধানে আছেন। তিনি অনেকগুলি সুফিপদ ও যোগকলন্দর নামে একটি কাব্য রচনা করেন। এ ছাড়াও ফারসি ভাষায় তার কিছু গজল আছে। ১৮শতকের বৈষ্ণবপদ সংকলনে তার একটি পদ অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলো।[১] এই কবি রচিত একটি পদ 'পদকল্পতরু'গ্রন্থে সংকলিত আছে। তার রচিত রাধাকৃষ্ণলীলা বিষয়ক প্রায় ২৮ টি গীতি গাওয়া হয়। নিখিলনাথ রায় এই ফকিরের জীবনী প্রকাশ করেন। [২]

মৃত্যু সম্পাদনা

সৈয়দ মর্তুজা আনু. ১৬৬২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। [১] মর্তুজা নামের এক সমাধি মুর্শিদাবাদে বর্তমান।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সৈয়দ মর্তুজা - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৭ 
  2. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ৫৫১,৫৫২, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা