আবদুল রহিম (১ আগস্ট ১৯০৯ - ১১ জুন ১৯৬৩) একজন ভারতীয় ফুটবলার। তিনি ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত তার মৃত্যু অবধি ভারতীয় জাতীয় দলের ম্যানেজার ও প্রশিক্ষক ছিলেন। তাকে আধুনিক ভারতীয় ফুটবলের স্থপতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।[১][২] তিনি একজন ভাল অনুপ্রেরক ছিলেন এবং কোচ হিসাবে তার কার্যকালকে ভারতের ফুটবলের "স্বর্ণযুগ" হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে তিনি ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং প্রথম কোন এশীয় দেশ হিসাবে ভারত এই স্থান অর্জন করে।[৩][৪]

সৈয়দ আবদুল রহিম
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম (১৯০৯-০৮-১৭)১৭ আগস্ট ১৯০৯
জন্ম স্থান হায়দ্রাবাদ, হায়দ্রাবাদ রাজ্য
মৃত্যু ১১ জুন ১৯৬৩(1963-06-11) (বয়স ৫৩)
মৃত্যুর স্থান হায়দ্রাবাদ, অন্ধ্র প্রদেশ
যুব পর্যায়
১৯২৭-১৯৩১ ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৪৩ কামার ক্লাব
১৯৫০ এইচএসভি হোয়েক
পরিচালিত দল
১৯৪৩-১৯৫০ হায়দ্রাবাদ সিটি পুলিশ (প্রধান প্রশিক্ষক ও সেক্রেটারী)
১৯৫০-১৯৫৩ হায়দ্রাবাদ সিটি পুলিশ (সেক্রেটারী)
১৯৫০-১৯৬৩ ভারত
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

পেশা সম্পাদনা

১৯৫০ সালের ১৭ আগস্ট ভারতের হায়দরাবাদে আবদুল রহিম জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৩ সালে হায়দরাবাদ সিটি পুলিশের প্রশিক্ষক ও সেক্রেটারি হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।[৫][৬] পরে তিনি জাতীয় দলের সাথে যুক্ত হন। রহিমের আমলে ভারতীয় ফুটবল দল প্রচুর সাফল্য অর্জন করে। ১৯৫১ এবং ১৯৬২ সালে এশীয় গেমসের জয় ছাড়াও, ভারত ১৯৫৬ সালের মেলবোর্ন অলিম্পিকের সেমিফাইনালেও পৌঁছেছিল, যেটি এখনও ফুটবলে ভারতের সর্বকালের সেরা সাফল্য হিসাবে বিবেচিত।[৭]

তিনি ১৯৬০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক টুর্নামেন্টের জন্য তার ছেলে সৈয়দ শহীদ হাকিমকে বেছে নিয়েছিলেন।[৮]

রহিমের সর্বশেষ সাফল্য ছিল ১৯৬২ সালের জাকার্তার এশীয় গেমসে, যেখানে ভারত ফাইনালে ১,০০,০০০ দর্শকের সামনে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে দিয়ে স্বর্ণ জয় করে।

মৃত্যু সম্পাদনা

সৈয়দ আবদুল রহিম ১৯৬৩ সালের ১১ জুন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

উত্তরাধিকার সম্পাদনা

১৯৬৪ সালে যখন ভারতীয় জাতীয় কোচ আলবার্তো ফার্নান্দো ব্রাজিলের একটি কর্মশালায় যান, তখন তিনি বলেছিলেন:

১৯৫৬ সালে রহিমের কাছ থেকে আমি যা শিখেছিলাম তা এখন ব্রাজিলে শেখানো হচ্ছে। নিশ্চয় তিনি একজন ফুটবল ভবিষ্যদ্বক্তা ছিলেন।[৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Basu, Jaydeep (১৭ আগস্ট ২০০৯)। "Forgotten on birth centenary- Legendary coach rahim" (ইংরেজি ভাষায়)। কলকাতা, ভারত: telegraphindia.com। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১২ 
  2. "India's football heroes of Rome Olympics felicitated" (ইংরেজি ভাষায়)। in.news.yahoo.com। ১৩ এপ্রিল ২০১১। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১২ 
  3. "Legends Of Indian Football" (ইংরেজি ভাষায়)। goal.com। ১০ জুলাই ২০১১। ১৫ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১২ 
  4. "1956 Olympics team members to return monetary grant" (ইংরেজি ভাষায়)। চেন্নাই, ভারত: hindu.com। ৫ আগস্ট ২০০৯। ১১ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১২ 
  5. novy kapadia (২০০০)। "triumphs and disaster: the story of indian football, 1889-2000" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা ১৯। ১৩ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১২ 
  6. Paul Dimeo, James Mills (২০০১)। Soccer in South Asia: empire, nation, diaspora (ইংরেজি ভাষায়)। Antony Rowe Ltd। পৃষ্ঠা ২০। আইএসবিএন 0-7146-8170-9। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১২ 
  7. "Olympians want Padma Bhushan for Rahim" (ইংরেজি ভাষায়)। timesofindia.indiatimes.com। ১৭ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১২ 
  8. http://www.sportskeeda.com/football/hakims-tribute-to-his-father
  9. "The wonder that was Rahim"দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ জুলাই ২০১২। ৩ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা