সেলিমা সুলতান বেগম

সেলিমা সুলতান বেগম (২৩ ফেব্রুয়ারি ১৫৩৯ - ২ জানুয়ারি ১৬১৩)[১] ছিলেন মুঘল সম্রাট আকবরের তৃতীয় স্ত্রী এবং প্রধান সহধর্মিণী এবং বাবরের নাতনি।

সেলিমা সুলতান বেগম
মুঘল সাম্রাজ্য এর শাহজাদী
জন্ম(১৫৩৯-০২-২৩)২৩ ফেব্রুয়ারি ১৫৩৯
মৃত্যুজানুয়ারি ২, ১৬১৩(১৬১৩-০১-০২)
আগ্রা, মুঘল সাম্রাজ্য
দাম্পত্য সঙ্গীআকবর
পূর্ণ নাম
সেলিমা সুলতান বেগম
রাজবংশতিমুরিদ
পিতানুরুদ্দিন মুহাম্মদ মির্জা
মাতাগুলরুখ বেগম

সেলিমা ছিলেন আকবরের ফুফু গুলরুখ বেগম এবং তার স্বামী কনৌজের ভাইসরয় নুরুদ্দিন মুহাম্মদ মির্জার কন্যা। প্রথমে আকবরের সেনাপতি বৈরাম খানের সাথে তাঁর বিয়ে দেন মামা হুমায়ুন। বৈরাম খান ছিলেন হুমায়ুনের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও শ্রদ্ধেয় সভাসদ, যার উপঢৌকণ হিসেবে সম্ভবত বৈরাম খানের সাথে সেলিমার এই বিয়ে দেন। আকবর তৃতীয় মুঘল সম্রাট হিসাবে হুমায়ুনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পরে ১৫৫৭ সালে বিয়ে করেছিলেন সেলিমা-বৈরাম দম্পতি, যাদের বয়সের পার্থক্য ছিল আনুমানিক চল্লিশ বছর। যদিও, ১৫৬১ সালে আফগানদের একটি দল দ্বারা বৈরাম খানকে নিহত হওয়া পর্যন্ত তাঁদের মাত্র তিন বছরের স্বল্প সময়ের দাম্পত্য জীবনে কোন সন্তানের জন্ম হয়নি। বৈরাম খানের মৃত্যুর পর, সেলিমা পরবর্তীকালে তার প্রথম চাচাতো ভাই আকবরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যদিও সেলিমা তাঁর উভয় বিবাহেই কোন সন্তানের জন্ম দেননি, তবে তিনি প্রথম কয়েক বছর আকবরের দ্বিতীয় পুত্র মুরাদ মির্জাকে বড় করেন।

সেলিমা আকবরের তিন প্রধান সহধর্মিনীর একজন ছিলেন এবং তাঁর স্বামী ও আকবরের ছেলে জাহাঙ্গীরের উপর অনেক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। হেনরি বেভারীজের বর্ণনা অনুযায়ী, তাকে আকবরের মুসলিম হারেমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি তাঁর স্বামীর শাসনামলে এবং তাঁর উত্তরসূরির (জাহাঙ্গীর) রাজত্বকালে মুঘল দরবারে ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।

তবে তাঁর নাম ইতিহাসে একজন পাঠক, কবি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যিনি মাখফি ছদ্মনামে লিখেছেন এবং জাহাঙ্গীরের ক্ষমার জন্য আকবরের কাছে আবেদন করেছেন। তিনি তাঁর বুদ্ধিমত্তার জন্য খাদিজা-উজ-জামানি (আলোচিত যুগের 'খাদিজা') নামে পরিচিত ছিলেন।

পরিবার এবং বংশ সম্পাদনা

আকবরের ফুফু গুলরুখ বেগম এবং তাঁর স্বামী কনৌজের ভাইসরয় নুরুদ্দিন মুহাম্মদ মির্জার কন্যা ছিলেন সেলিমা। তার পিতা ছিলেন খাজা হাসান নকশবন্দীর নাতি এবং বিশিষ্ট নকশবন্দী খাজাদের বংশধর। এরা অত্যন্ত সম্মানিত ছিল এবং তিমুরিদ সাম্রাজ্যের সুলতান আবু সাঈদ মির্জার সাথে তার পুত্র সুলতান মাহমুদ মির্জার সাথে বংশীয়ভাবে সম্পর্কযুক্ত ছিল।

শিক্ষা এবং কৃতিত্ব সম্পাদনা

বৈরাম খানের সাথে বিবাহ (১৫৫৭-১৫৬১) সম্পাদনা

আকবরের সাথে বিবাহ (১৫৬১-১৬০৫) সম্পাদনা

মুঘল দরবারে রাজনৈতিক প্রভাব সম্পাদনা

মৃত্যু সম্পাদনা

জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে সম্পাদনা

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Manoharlal, Munshiram (১৯৬৮)। The Tūzuk-i-Jahāngīrī or Memoirs of Jāhāngīr। The University of Virginia। পৃষ্ঠা ২৩২।