সুশান্ত ঘোষ

ভারতীয় রাজনীতিবিদ

সুশান্ত ঘোষ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) দলের একজন ভারতীয় বাঙালি নেতা। তিনি ১৯৮৭ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত টানা ২৯ বছর গড়বেতা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন।[] সুশান্ত ঘোষ ষষ্ঠ বামফ্রন্ট সরকারে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ, ইএসআই এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৬ সালে গঠিত সপ্তম বামফ্রন্ট সরকারে সুশান্ত ঘোষ পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী হন। বর্তমানে তিনি দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির একজন সদস্য।

সুশান্ত ঘোষ
বিধায়ক, গড়বেতা
কাজের মেয়াদ
১৯৮৭ – ২০১৬
পূর্বসূরীঅনাদি মল্ল
উত্তরসূরীআশীষ চক্রবর্তী
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
কাজের মেয়াদ
২০০৬ - ২০১১
প্রতিমন্ত্রী, শ্রম, এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ এবং ইএসআই দপ্তর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
কাজের মেয়াদ
২০০১ - ২০০৬
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাভারতীয়
রাজনৈতিক দলভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)

বিতর্ক

সম্পাদনা

২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেঁড়াচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে সুশান্ত ঘোষের নাম জড়ায়।

গ্রেফতার

সম্পাদনা

২০১১ সালের আগস্ট মাসে সুশান্ত ঘোষ কে একাধিক খুনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। [] খুনগুলি হয়েছিল নয় বছর আগে। ২০১১ সালের তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেঁড়াচাপড়া অঞ্চলে সাতজনের কঙ্কাল উদ্ধার হয় এবং সরকার সেই ঘটনার জন্য সুশান্ত ঘোষকে অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করে। নিম্ন আদালতে এবং হাইকোর্টে একাধিকবার জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর শেষমেশ ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সুশান্ত ঘোষ সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে জামিন পান।[]

সিপিআই(এম)এর মুখপত্র গনশক্তি দাবি করে যে তৃণমূল সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসাজনিত কারণে সুশান্ত ঘোষকে কালিমালিপ্ত করছে।[] শ্যামল আচার্য্য যিনি এফআইআর করেছিলেন তিনি নিজেই ঘরে বেআইনি অস্ত্র মজুত করার জন্য ২০০৯ সালে গ্রেফতার হন।[]

জেলায় প্রত্যাবর্তন

সম্পাদনা

সুপ্রিমকোর্টে জামিন মঞ্জুর হলেও সুশান্ত ঘোষ দীর্ঘদিন তাঁর নিজের এলাকায় ফিরতে পারেননি। এপ্রসঙ্গে সরকারের যুক্তি ছিল যে সুশান্ত ঘোষের মতো প্রভাবশালী নেতা এলাকায় ফিরলে এলাকায় আবার নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি হবে। ২০২০ সালের শেষের দিকে কোর্ট সুশান্ত ঘোষ কে তাঁর নিজের জেলায় ফেরার অনুমতি দেয়। সেই মতো ৬ই ডিসেম্বর, ২০২০ সুশান্ত ঘোষ এলাকায় ফেরেন।[]

জনমানসে প্রভাব

সম্পাদনা

২০২০ সালের ৬ই ডিসেম্বর সুশান্ত ঘোষ মিছিল করে তাঁর নিজের জেলায় ফেরেন। সেই মিছিলে সুশান্ত ঘোষ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী এবং সিপিআই(এম) এর যুবনেতা শতরুপ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। সুশান্ত ঘোষের এলাকায় ফেরাকে কেন্দ্র করে জনমানসে বিরাট উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়। কোনো পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছাড়াই সুশান্ত ঘোষের এলাকায় ফেরাকে কেন্দ্র করে মানুষজন জড়ো হতে শুরু করে। এবং ক্রমেই তা জনসমাবেশে পর্যবসিত হয়। সেই জনসমাবেশে সুশান্ত ঘোষ বক্তব্যও রাখেন এবং সেই সমাবেশ থেকে ভবিষ্যতে তৃণমূলের যাবতীয় ষড়যন্ত্র ফাঁস করবেন বলে হুঁশিয়ারিও দেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "220 - Garhbeta East Assembly Constituency"Partywise Comparison Since 1977। Election Commission of India। ২০১২-০৯-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-২০ 
  2. PTI (১১ আগস্ট ২০১১)। "Former CPI(M) minister accused in a murder case arrested"। Chennai, India: The Hindu। ২ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. http://www.thehindu.com/news/national/other-states/article2347593.ece
  4. "Midnapore skeleton case complainant himself an offender: CPI-M"। Sify.com। ২০১১-০৮-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-০৩ 
  5. Ganashakti ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে shows photo of Shyamal Acharya with a recovered firearm.
  6. {{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল= https://m.sangbadpratidin.in/article/cpm-leader-susanta-ghosh-comes-back-to-west-midnapore-after-9-years-like-a-hero/494230#aoh=16096079005634&referrer=https%3A%2F%2Fwww.google.com&amp_tf=From%20%251%24s