মুহতেশেম ইউযিয়েলঃ কোসেম (তুর্কি উচ্চারণ: [muhteˈʃɛmˈjyzjɯlcøˈsem], ইংরেজি: The Magnificent Century: Kösem) হল ২০১১ সালের পিরিয়ড ড্রামা মুহতেশেম ইউযিয়েল-এর একটি টেলিভিশন সিকুয়েল। ইয়িল্মায শাহিন, নিউকেত বিচাকচি ও সেভগি ইয়িল্মায রচিত এ ধারাবাহিকটিতে কোসেম সুলতানের জীবনীকে তুলে ধরা হয়েছে, একজন দাসী যিনি বন্দী হয়ে সুলতান প্রথম আহমেদের হারেমে প্রেরিত হওয়ার পর উসমানীয় সাম্রাজ্যের ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী নারীদের একজন হয়ে উঠেছিলেন।[১]
সিরিজের প্রথম পর্বটির চিত্রগ্রহণ গ্রিসের চিয়োস-এ ধারণ করা হয়।[২] ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর স্টার টিভিতে এর সূচনা সম্প্রচারের পূর্বে ফ্রান্সের ক্যানেসে মিপকম বার্ষিক আন্তর্জাতিক টেলিভিশন উৎসবে এর কিয়দাংশ প্রদর্শিত হয়।[৩][৪]
বাংলাদেশের বেসরকারি চ্যানেল দীপ্ত টিভি ২০১৮-র ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিকটি বাংলা ভাষায় সম্প্রচার শুরু করে।
আনাস্তাসিয়া (নাসিয়া নামেও সম্বোধন করা হয়ে থাকে), এক ১৩ বছরের গ্রিক বালিকা যে টিনোস-এর এক আদর্শ আনন্দময় জীবনে অভ্যস্ত। পূর্বে, তার কোলে একটি মেষশাবকসহ আঁকা তার একটি ছবি তোপকাপি প্রাসাদে পাঠানো হয় যা সম্প্রতি রাজ্যাভিষিক্ত সুলতান আহমেদের নজরে পড়ে। সুলতান ওই চিত্রকর্মে প্রভাবিত হয়ে পড়ায় সাফিয়া সুলতান সেই মেয়েটিকে তোপকাপি প্রাসাদে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। প্রথমবারের মত বাস্তব সমস্যার মুখোমুখি হয়ে নাসিয়া তার অস্থির, উষ্ণ-মেজাজী ও শিশুসুলভ ব্যক্তিত্ব প্রদর্শন করতে থাকে এবং সে তার বাড়ি ফিরে যাবার প্রতিজ্ঞা করে। সে প্রাসাদে পৌছুলে আহমেদ নিয়মিত তার সাক্ষাৎ করতে লাগলো। পূর্বে ভালোবাসার অভিজ্ঞতা না থাকায় সে আহমেদের প্রেম প্রত্যাখ্যান করে, কিন্তু পরবর্তীতে বয়োবৃদ্ধির সাথে সাথে সে ভালোবাসার অর্থ আবিষ্কার করতে শুরু করে। একসময় সে আহমেদের প্রেমে পড়ে যায়, এমনকি তার জন্য নিজের জীবনও বাজি রাখে। তার সাহস ও বাহ্যিক বিশ্বস্ততার কারণে দিন দিন সে ক্ষমতাবান হয়ে উঠতে থাকে। সে তার নিজ নাম বদলে কোসেম রাখে, এবং অবশেষে অটোম্যান সাম্রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে ক্ষমতাধর সুলতানা হয়ে ওঠে।
↑"Kösem Sultan da Star'da!" (Turkish ভাষায়)। Star TV। ১৬ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৫।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (link)