সুপর্শ্বনাথ

৭ম জৈন তীর্থঙ্কর
(সুপার্শ্বনাথ থেকে পুনর্নির্দেশিত)

সুপর্শ্বনাথ (সংস্কৃত: सुपर्श्वनाथ Suparśvanātha) জৈনধর্মের বর্তমান যুগের সপ্তম তীর্থঙ্কর[১] জৈন ধর্মবিশ্বাস অনুসারে, তিনি সিদ্ধ (মুক্ত আত্মা) হয়েছিলেন। এর ফলে তাঁর কর্মের বন্ধন ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছিল। ১২ জেষ্ঠ শুক্লা তিথিতে ইক্ষবাকু বংশে রাজা প্রতিষ্ঠা ও রানি পৃথ্বীর পুত্র রূপে বারাণসীতে তাঁর জন্ম হয়েছিল।[১]

সুপর্শ্বনাথ
সপ্তম জৈন তীর্থঙ্কর
সুপর্শ্বনাথের মূর্তি
পূর্বসূরিপদ্মপ্রভ
উত্তরসূরিচন্দ্রপ্রভ
রাজপরিবার
রাজবংশ/বংশইক্ষবাকু
পরিবার
পিতামাতাপ্রতিষ্ঠা (পিতা)
পৃথ্বী (মাতা)
্কল্যাণক / গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি
জন্ম১০২২০ বছর আগে (জৈন কিংবদন্তি অনুসারে)
বারাণসী
মোক্ষের স্থানশিখরজি
বৈশিষ্ট্য
বর্ণGolden
প্রতীকস্বস্তিকা
উচ্চতা২২০ ধনুষ (৬০০ মিটার) (জৈন কিংবদন্তি অনুসারে)
বয়স২,০০০,০০০ পূর্ব (১৪১.১২ কুইন্টিলন বছর)
কেবলকাল
যক্ষমাতঙ্গ
যক্ষিণীশান্তা

ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব রূপে সুপর্শ্বনাথ সম্পাদনা

কথিত আছে যে, যজুর্বেদে সুপর্শ্বনাথের নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে উক্ত গ্রন্থে এই নামের অর্থ ভিন্ন। সেখানে এটি ঈশ্বরের একটি উপাধি-মাত্র, যার অর্থ "সর্ব-পবিত্র প্রভু"।

বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ খন্ধকের মহাবগ্‌গ (১। ২২। ১৩) অংশে বলা হয়েছে, গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক যুগে রাজগিরে সুপর্শ্বনাথের একটি মন্দির ছিল।

মথুরায় একটি প্রাচীন স্তুপে ১৫৭ খ্রিস্টাব্দের একটি শিলালিপি পাওয়া গিয়েছে। এই লিপিতে বলা হয়েছে, দেবতাদের নির্মিত এই স্তুপে তীর্থঙ্কর অরনাথের একটি মূর্তি আছে। জিনপ্রভ সুরির তীর্থকল্প (খ্রিস্টীয় ১৪শ শতাব্দী) গ্রন্থে প্রাচীন উপাদানের ভিত্তিতে সুপর্শ্বনাথের একটি স্তুপের উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত গ্রন্থ মতে, কুবের এই সোনার স্তুপটি সুপর্শ্বনাথের সম্মানে এবং আচার্য ধর্মরুচি ও আচার্য ধর্মঘোষের জন্য নির্মাণ করে দেন। ২৩শ তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের সময় এই সোনার স্তুপটি ইঁট দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় এবং বাইরে একটি পাথরের মন্দির নির্মাণ করা হয়।যশতিলক গ্রন্থের রচয়িতা সোমদেব জিনপ্রভ সুরির প্রায় চারশো বছর পূর্বে বর্তমান ছিলেন। তিনি এই স্তুপটিকে দেবনির্মিত স্তুপ বলে উল্লেখ করেন।

আরও দেখুন সম্পাদনা

টীকা সম্পাদনা

  1. Tukol, T. K. (১৯৮০)। Compendium of Jainism। Dharwad: University of Karnataka।  p.31

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  • Tukol, T. K. (১৯৮০)। Compendium of Jainism। Dharwad: University of Karnataka।