সুনেহরি মসজিদ (লালকেল্লা)
সোনালী মসজিদ বা সুনেহরি মসজিদ পুরান দিল্লির চাঁদনি চকের একটি মসজিদ। এটি নেতাজি সুভাষ পার্কের বিপরীতে লালকেল্লার দিল্লি গেটের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত।
সোনালী মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
জেলা | পুরান দিল্লি |
যাজকীয় বা সাংগঠনিক অবস্থা | মসজিদ |
অবস্থান | |
অবস্থান | দিল্লি |
দেশ | ভারত |
এলাকা | দিল্লি |
স্থানাঙ্ক | ২৮°৩৯′০২″ উত্তর ৭৭°১৪′২২″ পূর্ব / ২৮.৬৫০৪৫২° উত্তর ৭৭.২৩৯৫৩৭° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইন্দো-ইসলামি স্থাপত্য |
ইতিহাস
সম্পাদনামসজিদটি ১৭৪৭ থেকে ১৭৫১ সালের মধ্যে কুদসিয়া বেগমের আদেশে, সম্রাট আহমেদ শাহ বাহাদুর-এর আমলে, নবাব বাহাদুর জাভেদ খান নামক একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির নামে নির্মিত হয়।[১] কুদসিয়া বেগম ছিলেন সম্রাট আহমদ শাহ বাহাদুরের মা। জাভেদ খান হারেমের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন এবং বেগমের পক্ষে ছিলেন, তাই অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিলেন। যদিও পরে তাকে হত্যা করা হয়। সুনেহরি মসজিদ বাসি জং দিয়ে তৈরি, এটি এক ধরনের হালকা স্যামন রঙের পাথর যা সাধারণত মসজিদ নির্মাণে ব্যবহৃত হয় না।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ফিরোজপুরের নবাবের পিতা নবাব আহমদ বখশ খান আশপাশের লোকদের সুবিধার জন্য মসজিদটি মেরামত করেন। এর সংস্কারের কিছুদিন পরেই, নবাব আহমদ বখশ খান তার ছেলের সাথে বাইরে যাওয়ার সময় একটি ক্রুদ্ধ হাতি দ্বারা আক্রান্ত হন। আক্রমণে তার ঘোড়াটি নিহত হয় এবং তার যানবাহনটি ধ্বংস হয়ে যায়। নবাব এবং তার পুত্র শুধুমাত্র এই মসজিদের ভিতরে আশ্রয় নিয়ে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন।
স্থাপত্য
সম্পাদনামসজিদটি তিনটি গম্বুজ দ্বারা ঘেরা, যা মূলত তামামণ্ডিত। এটি থেকেই "সোনালী মসজিদ" নামটি প্রচলিত হয়েছে। মসজিদটিতে একটি প্রধান নামাজের হল এবং দুটি মিনার রয়েছে। মসজিদের কেন্দ্রীয় খিলানে, মসজিদের নির্মাতা এবং নির্মাণের তারিখ সম্পর্কে একটি শিলালিপি রয়েছে। ১৮৫২ সালে, দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ মসজিদটি মেরামত করেন এবং তিনি গম্বুজের তামার প্লেটগুলিকে বেলেপাথর দিয়ে প্রতিস্থাপন করেন।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Photo and background of the Sunehri Masjid"। British Library। ১৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৪।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- উইকিমিডিয়া কমন্সে সুনেহরি মসজিদ সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।