সুদর্শন দাশ একজন বাংলাদেশি তবলা বিশারদ। তিনি মোট চারটি গিনেজ রেকর্ড লাভ করেন। টানা ২৫ দিন ৫৫৭ ঘণ্টা ১১ মিনিট তবলা বাজিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছিলেন এই লন্ডন প্রবাসী পণ্ডিত তবলা বাদক।

সুদর্শন দাশ
জন্ম
ফিরিঙ্গীবাজার, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
পেশাযন্ত্রশিল্পী
পরিচিতির কারণগিনেস বিশ্ব রেকর্ডকারী বাংলাদেশী

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

চট্টগ্রাম নগরের ফিরিঙ্গীবাজার এলাকায় অমূল্য রঞ্জন দাশ ও বুলবুল রানী দাশের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সুদর্শন। জন্ম চট্টগ্রাম মহানগরে হলেও পৈত্রিক নিবাস চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়ায়। ১৯৯০ সালে তিনি মিউনিসিপ্যাল মডেল উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন এবং ১৯৯২ সালে সরকারি সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।[১] তারপর কলকাতায় শান্তিনিকেতনে তবলা নিয়ে পড়তে চলে যান সুদর্শন। ১৯৯৯ এ তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন।[২]

চট্টগ্রামের আলাউদ্দিন ললিত কলা একাডেমিতে তবলায় তার হাতেকড়ি শুরু হয়। ১৯৯০ সালে ফুলকুঁড়ির প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন তিনি। তার প্রথম গুরু শ্যামল দত্ত, তারপর বিজন চৌধুরী। আইন পড়ার উদ্দেশে লন্ডন গেলেও তবলার নেশা তিনি ছাড়েননি। ২০০৪ সালে নিউহ্যাম এলাকায় তবলা অ্যান্ড ঢোল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন সুদর্শন।[৩]

গিনেস বিশ্ব রেকর্ড সম্পাদনা

প্রথম রেকর্ড সম্পাদনা

২০১২ সালে সুদর্শন তবলা, ঢোল, ড্রাম রোল ও ড্রাম সেট বিভাগে চারটি আবেদন করেন গিনেস কর্তৃপক্ষ বরাবর। গিনেস কর্তৃপক্ষের অনুমতি ক্রমে তিনি ১৫ দিনের বাজানোর একটা ডেমো পাঠান। এটা দেখেই গিনেস কর্তৃপক্ষ তাকে বাছাই করেন। সারা পৃথিবী থেকে ১১ জন আবেদনকারীর মধ্যে তিনি নির্বাচিত হন। ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ তে তিনি ৫৫৭ ঘণ্টা ১১ মিনিট বাজিয়ে গিনেস বিশ্ব রেকর্ড।[৪]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "গিনেসের ওয়ার্ল্ড মিউজিক ট্যুরে বাংলাদেশের সুদর্শন"। মতিউর রহমান। দৈনিক প্রথম আলো। ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২০  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. "চার গিনেজ রেকর্ড ও একজন সুদর্শন দাশ"। বদরুল আলম খান। sarabangla.net। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২০ 
  3. "২৭ ঘণ্টা ঢোল বাজিয়ে গিনেস বুকে চট্টগ্রামের সুদর্শন"। বিডিনিউজ২৪। ২৫ জুলাই ২০১৭। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২০ 
  4. "ঢোল বাজিয়ে গিনেস বুকে চট্টগ্রামের সুদর্শন"। আনন্দ বাজার পত্রিকা। ২৫ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২০