সুচিত্রা ভট্টাচার্য
সুচিত্রা ভট্টাচার্য (১০ই জানুয়ারি, ১৯৫০- ১২ই মে, ২০১৫) একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক ছিলেন।[১]
সুচিত্রা ভট্টাচার্য | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১২ মে ২০১৫ | (বয়স ৬৫)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | যোগমায়া দেবী কলেজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | লেখিকা |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | কাছের মানুষ, আমি রাইকিশোরী, যখন যুদ্ধ, কাচের দেয়াল, দহন, ভাঙ্গন কাল, হেমন্তের পাখি, গভীর অসুখ ইত্যাদি |
পুরস্কার |
|
সংক্ষিপ্ত জীবনী
সম্পাদনাসুচিত্রা ভট্টাচার্য ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই জানুয়ারি ভারতের বিহারের ভাগলপুরে মামারবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও তার পিত্রালয় ছিল মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরে, তবে কলকাতা শহরে তার স্কুল ও কলেজ জীবন কাটে। তিনি কলকাতা শহরের যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে স্নাতক হন।[২]কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের সময় তিনি বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। বিভিন্ন স্থানে চাকরি করার পর তিনি সরকারী চাকরিতে যোগদান করেন। লেখিকা হিসেবে সম্পূ্র্ণ রূপে সময় দেওয়ার জন্য তিনি ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে তার চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন। ২০১৫ সালের ১২ই মে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে তার বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সুচিত্রা ভট্টাচার্যের জীবনাবসান হয়।[৩][৪]
রচনা
সম্পাদনাতিনি বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশকের শেষের দিকে ছোট গল্প ও আশির দশকের মধ্যভাগ থেকে উপন্যাস রচনায় মনোনিবেশ করেন। সমকালীন সামাজিক ঘটনাগুলির ওপর ভিত্তি করে তার কাহিনীগুলি রচিত হয়। শহুরে মধ্যবিত্তদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন, বর্তমান যুগের পরিবর্তনশীল নীতিবোধ, বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে নৈতিক অবক্ষয়, নারীদের দুঃখ-যন্ত্রণা তার রচনাগুলির মূল উপজীব্য ছিল। তিনি বাংলা সাহত্যে মিতিন মাসি নামক মহিলা গোয়েন্দা চরিত্রের স্রষ্টা, এবং এই সিরিজে তিনি অনেকগুলি কিশোর উপন্যাস রচনা করেন। প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে তিনি বহু ছোট গল্প ছাড়াও চব্বিশটি উপন্যাস রচনা করেছেন। দহন নামক তার একটি বিখ্যাত উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষ ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে একই নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলি হল-
- কাছের মানুষ
- দহন
- কাচের দেওয়াল
- হেমন্তের পাখি
- নীল ঘূর্ণি
- অলীক সুখ
- গভীর অসুখ
- উড়ো মেঘ
- ছেঁড়া তার
- আলোছায়া
- অন্য বসন্ত
- পরবাস
- পালাবার পথ নেই
- আমি রাইকিশোরী
- রঙিন পৃথিবী
- জলছবি
- যখন যুদ্ধ
- ভাঙ্গন কাল
- আয়নামহল
- মারণ বাতাস
- তৃষ্ণা মারা গেছে
- সহেলী
পুরস্কার
সম্পাদনা- নঞ্জাগুডু থিরুমালাম্বা জাতীয় পুরস্কার, ব্যাঙ্গালোর (১৯৯৬)
- কথা পুরস্কার (১৯৯৭)
- ত্রিবৃত্ত পুরস্কার (১৯৯৮)
- সাহিত্যসেতু পুরস্কার (১৯৯৯)
- তারাশংকর পুরস্কার (২০০০)
- দ্বিজেন্দ্রলাল পুরস্কার (২০০১)
- শরৎ পুরস্কার (২০০২)
- ভুবনমোহিনী মেডেল (২০০৪)
- ভারত নির্মাণ পুরস্কার (২০০৪)
- সাহিত্য সেতু পুরস্কার (২০০৪)
- শৈলজানন্দ স্মৃতি পুরস্কার (২০০৪)
- মতি নন্দী স্মৃতি পুরস্কার (২০০৯)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Suchitra Bhattacharya, 1950-"। loc.gov। ৬ই অক্টৈবর, ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৩ই মে, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "History of the College"। jogamayadevicollege.org। ২৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ই মে, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "চলে গেলেন সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্য"। প্রথম আলো। http://www.prothom-alo.com। ১৩ই মে, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ই মে, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য);|প্রকাশক=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "প্রয়াত সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্য"। আনন্দবাজার পত্রিকা। anandabazar.com। ১৩ই মে, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ই মে, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]