সুচরিত চৌধুরী প্রথিতযশা কথাসাহিত্যিক হিসেবে সুপরিচিত। কাব্য ও সঙ্গীত জগতেও তার বিচরণ ছিল। তবে তিনি কথাসাহিত্যিক হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত ও স্বীকৃত হয়েছেন।[১]

সুচরিত চৌধুরী
জন্ম
সুচরিত চৌধুরী

(১৯৩০-০১-২১)২১ জানুয়ারি ১৯৩০
মৃত্যু৫ জানুয়ারি ১৯৯৪(1994-01-05) (বয়স ৬৩)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
অন্যান্য নামসুরাইয়া চৌধুরী, চলন্তিকা রায়, শুধু চৌধুরী
পেশাকথাসাহিত্যিক

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

সুচরিত চৌধুরীর জন্ম ১৯৩০ সালের ২১ জানুৃয়ারি চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালীতে। তার বাবা আশুতোষ চৌধুরী ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর লোকগীতিকা সংগ্রাহক। সুচরিত এর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বলতে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ। মূলত এসব বিষয়ে তার তেমন আগ্রহ ছিল না।

কর্মজীবন সম্পাদনা

সুচরিত চৌধুরী করাচি থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদনা ও প্রকাশনার কাজে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও তিনি জড়িত ছিলেন চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক রেনেসাঁ, মাসিক উদয়নমাসিক সীমান্ত পত্রিকার সাথে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই তিনি চট্টগ্রাম বেতারের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন।

সাহিত্যকর্ম সম্পাদনা

তার বাবার প্রভাব এবং পারিবারিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল তাকে সাহিত্যানুরাগী করে তোলে। বাঁশী, সঙ্গীত আর সাহিত্য এই তিন ভুবনেই নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন তিনি। তবে বাঁশী বাজানেোর প্রতি ছিল প্রবল অনুরাগ। সুচরিতের রচনায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষদের দৈনন্দিন জীবনাচার, বেদনা, অনুরাগ, দ্রোহ ও আর্তি প্রাঞ্জল আর নিরাভরণ ভাষায় জীবন্তরূপ পেয়েছে।

গ্রন্থ সম্পাদনা

  • শুধু চৌধুরীর সেরা কবিতা
  • সুরাইয়া চৌধুরীর শুধু গল্প
  • আকাশে অনেক ঘুড়ি
  • একদিন এক রাত
  • নদী নির্জন নীল
  • সুচরিত চৌধুরীর শ্রেষ্ঠ গল্প
  • সুচরিত চৌধুরীর নির্বাচিত গল্প
  • কিংবদন্তীর গল্প: চট্টগ্রাম

গানের সংকলন সম্পাদনা

  • সুরলেখা

অনুবাদ সম্পাদনা

  • নানা

পুরস্কার সম্পাদনা

মৃত্যু সম্পাদনা

সুচরিত চৌধুরী ১৯৯৪ সালের ৫ জানুয়ারি মারা যান।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা