সিমলা সম্মেলন (ইংরেজি: Simla Conference) ছিল ১৯৪৫ সালের এক ঐতিহাসিক সম্মেলন যা তৎকালীন ভাইসরয় এবং ভারতের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল। ভারতের আত্মশাসনের জন্য করা ওয়াভেল প্রকল্পের সম্মতি ও অনুমোদনের মাধ্যমে আত্মশাসনের রাজনৈতিক চুক্তিপত্র করার জন্যেই এই সম্মেলনের আহ্বান করা হয়েছিল, যা পৃথকভাবে মুসলিমদেরকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেবে এবং যে সম্প্রদায় যেখানে সংখ্যাগুরু, সেখানে তাদের ক্ষমতা সীমিত করা হবে।[১]

খান প্রদীপ সিংহ খিচি, জওহরলাল নেহেরু এবং বল্লভভাই প্যাটেল, সিমলাতে (১৯৪৬)।
সম্মেলনে: রাজেন্দ্র প্রসাদ, মুহম্মদ আলী জিন্নাহ, সি. রাজাগোপালচারী এবং মাওলানা আজাদ

কিন্তু, মুসলিম প্রতিনিধি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আলোচনা স্থগিত করা হল। ভারতীয় মুসলিমদের প্রতিনিধি হবে কেবলমাত্র নিখিল ভারত মুসলিম লীগ - এই উদ্দেশ্যে, তারা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস মুসলিম প্রতিনিধিদের বাছাই করবে এমন ধরনের পরিকল্পনাকে সম্পূর্ণরূপে বাদ দেন।[২] এটি পুরো সম্মেলনকেই অর্থহীন করে তোলে, এবং হয়ত সেই সাথে এক-স্বাধীন ভারত হবার শেষ সুযোগকেও বাতিল করে দেয়। তাই এর পরের বছরে যখন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং নিখিল ভারত মুসলিম লীগ কেবিনেট মিশনে যোগ দেয়, মুসলিম লীগের জিন্নাহর ব্রিটিশ পরিকল্পনার অনুমোদনের প্রতি কংগ্রেস বিরোধপূর্ণ মনোভাব দেখায়।

১৪ই জুন, ১৯৪৫ সালে লর্ড নতুন পরিকল্পনা করেন যা নিম্নোক্ত প্রকল্প নিয়ে গঠিত হয়: কেন্দ্রে এক নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হবে যাতে ভাইসরয় এবং কমান্ডার ইন চিফ বাদে সবাই ভারতীয় থাকবে। নতুন স্থায়ী সংবিধানের সম্মতি ও সেই অনুযায়ী কাজ করার ও আগ পর্যন্ত এই কার্যনির্বাহী পরিষদই দায়িত্বে ছিল। প্রতিরক্ষা ছাড়া সকল পোর্টফোলিও ভারতীয় সদস্য দ্বারা গৃহীত হবে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Wavell Plan and Simla Conference [1945]"স্টোরি অব পাকিস্তান। ১০ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১১ 
  2. "সিমলা সম্মেলন - ১৯৪৫"। ২৬ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৫