সিত্রা কজওয়ে বাহরাইনে নির্মিত একাধিক সেতু এবংকজওয়ে নিয়ে গঠিত যোগাযোগ ও সংযোগ পথ।[১] এটি শেখ জাবের আল আহমেদ আল সাবাহ মহাসড়কের অংশ এবং তুবলি উপসাগর জুড়ে রাজধানী শহর মানামার সাথে নাবিহ সালেহ দ্বীপ এবং সিত্রা দ্বীপকে সংযুক্ত করেছে।[২]

উম আল হাসাম জংশনের নবনির্মিত আন্ডারপাস

সিত্রা কজওয়ে মূলত ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে নির্মিত। ২০০৬ সালে এটি সংস্কার উন্নয়ন ও পুনর্গঠনের জন্য একটি ২৬৬ মিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছিল। পরিকল্পনায় ট্রাফিক সহজ করার জন্য দুটি নতুন সেতু নির্মাণের পাশাপাশি উম্ম আল হাসাম ট্রাফিক জংশন পুনর্গঠন অন্তর্ভূক্ত ছিল। প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের এক বছর পরে, ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হয়েছিল।[১] নতুন সেতুগুলিকে ১২০ বছরের স্থায়ীত্ব দিয়ে নকশা করা হয়েছিল।[৩]

২০০৯ সালে উত্তর সেতুর কাছে নির্মাণকার্যের একটি আকাশচিত্র।

গঠন সম্পাদনা

সিত্রা কজওয়ে দুটি সেতু এবং একটি কজওয়ে নিয়ে গঠিত , যার মোট দৈর্ঘ্য ৩.২ কিলোমিটার:

  • উত্তর সেতু ২০০মিটার লম্বা এবং ৫৮ মিটার প্রশস্ত। এটি মানামার দক্ষিণ প্রান্তে উম্ম আল হাসাম থেকে অপর একটি কজওয়ের সাথে সংযুক্ত।[১][২]
  • ২.৭ কিলোমিটার বাঁধ (বা কজওয়ে) যা উত্তর সেতুকে দক্ষিণ সেতুর সাথে সংযুক্ত করে এবং তুবলি উপসাগরের মধ্য দিয়ে নাবিহ সালেহ দ্বীপের পাশ দিয়ে যায়।[১]
  • ৪০০ মিটার লম্বা এবং ৫৫ মিটার প্রশস্ত দক্ষিণ সেতুটি সিত্রা মলের কাছে সিত্রা দ্বীপের সাথে কজওয়েকে সংযুক্ত করেছে।[১][২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Sitra Causeway Project, Bahrain"। Road Traffic Technology। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৩ 
  2. বেবি, সোমন (২ মার্চ ২০০৯)। "Sitra Causeway to cost BD95m"গালফ ডেইলি নিউজ। ১৬ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৩ 
  3. "Much anticipated Sitra Causeway now open to relieved motorists"। Consultancy within Engineering, Environmental Science and Economics। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]