সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন

আইন প্রয়োগকারী সংস্থা

সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন, আগে যা সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ নামে পরিচিত ছিল, সাইবার ক্রাইম ইউনিট নামে বেশি পরিচিত, বাংলাদেশ পুলিশের একটি শাখা যা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম এর অধীনে পরিচালিত হয়। মহানগরীর সাইবার সন্ত্রাসবাদ এবং সাইবার-অপরাধে টহল, প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ এবং তদন্ত করা এই বিভাগটির মূল কাজ।[১][২]

সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন
সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন
সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন
সংস্থা পরিদর্শন
প্রতিষ্ঠাকাল৩ মে, ২০১৬
কর্মচারী১০০
অঞ্চল কাঠামো
পরিচালনার অঞ্চল বাংলাদেশ
সাধারণ প্রকৃতি
পরিচালনামূলক কাঠামো
প্রধান কার্যালয়৩৬ মিন্টো রোড, রমনা, ঢাকা ১২১৭
সংস্থার কার্যনির্বাহক
  • আ ফ ম আল কিবরিয়া, উপ-পুলিশ কমিশনার
মাতৃ-সংস্থাঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশ
ওয়েবসাইট
cttcdmp.gov.bd

ইতিহাস সম্পাদনা

এই বিভাগটি ২০১৬ সালের ৩ মে এর কার্যক্রম শুরু করে। বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ ও সাইবার হুমকির উত্থানের মধ্যে নীতিনির্ধারকরা মহানগরীর জন্য এই নিবেদিত সাইবার অপরাধ বিভাগ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন যা অনলাইন হয়রানি, হ্যাকিং, আর্থিক জালিয়াতি অপরাধ সহ ডিজিটাল অপরাধকে মোকাবেলা করবে।

লক্ষ্য সম্পাদনা

সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ করে ঢাকা মহানগরীর নেটিজেনদের রক্ষা করা।

মিশন সম্পাদনা

সাইবার ঘটনা তদন্ত করে ঢাকা মহানগরীর নেটিজেনদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখা; সামাজিক মিডিয়া সাইটগুলি, ব্লগগুলি পর্যবেক্ষণ করা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।

সংগঠন সম্পাদনা

এর সদর দফতর ৩৬ মিন্টো রোড, রমনা, ঢাকাতে অবস্থিত। সাইবার বিভাগ একজন উপ পুলিশ কমিশনারের অধীনে কাজ করে। তাকে দু'জন অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার সহযোগিতা করেন। তারা চারটি দল তদারকি করে, যথা:

  1. ইন্টারনেট রেফারেল;
  2. ওয়েবসাইট ও ই-মেইল অপরাধ দল;
  3. ডিজিটাল ফরেনসিক দল এবং
  4. মোবাইল ফিনান্স সার্ভিস।

এই দলগুলির প্রত্যেকের নেতৃত্বে একজন সহকারী কমিশনার আছেন। এই বিভাগের জন্য অনুমোদিত মোট শক্তিটি অত্যন্ত সীমাবদ্ধ এবং মাত্র ১০০

সেবা সম্পাদনা

সাইবার বিভাগ তার হেল্প ডেস্ক, হটলাইন নম্বর, ই-মেইল, হ্যালো সিটি অ্যাপস এবং বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের পরিষেবা দেয়।[৩][৪][৫][৬][৭]

সহায়তা ডেস্ক সম্পাদনা

ঢাকা মহানগরীর সাইবার-অপরাধে ক্ষতিগ্রস্থদের তাৎক্ষণিক সহায়তা করার জন্য সাইবার বিভাগের হেল্প ডেস্ক একটি অনন্য উদ্ভাবন।[৮][৯][১০] প্রতি মাসে এটি প্রায় ২৫০ জনরও বেশি ক্ষতিগ্রস্থদের সেবা করে।

ফরেনসিক্স ল্যাব সম্পাদনা

সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের একটি স্টেট অব আর্ট ফরেনসিক ল্যাব রয়েছে যা কেবলমাত্র অভ্যন্তরীণ মামলার জন্য ফরেনসিক মতামত সরবরাহ করে।

পুরস্কার সম্পাদনা

২০১৭ সালে এডিসি মোঃ নাজমুল ইসলামকে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (সেবা) দিয়ে ভূষিত করা হয়েছিল।[১১]

১২ ডিসেম্বর ২০১৮ এ এই বিভাগটিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০১৮ দিয়ে ভূষিত করা হয়েছিল।[১২]

পুলিশ সপ্তাহে ২০১৯ এ ডিসি মোঃ আলিমুজ্জামানকে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (সার্ভিস) এবং এডিসি এএফএম আল কিবরিয়া, এসি সাঈদ নাসিরুল্লাহ এবং ইশতিয়াক আহমেদকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ মেডেল (সার্ভিস) দিয়ে ভূষিত করা হয়েছিল।[১৩]

২০২০ সালের পুলিশ সপ্তাহে এসপি মিশুক চাকমা, এসি ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ এবং পরিদর্শক মোঃ রফিকুল ইসলামকে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (সেবা) দিয়ে ভূষিত করা হয়।[১৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "চাহিদা থাকলেও সাইবার পুলিশ স্টেশন আটকে আছে যেখানে"বাংলা ট্রিবিউন। ৯ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০২১ 
  2. "সাইবার অপরাধ ঠেকাতে হিমশিম পুলিশ"যাযাদি। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০২১ 
  3. "CYBER SECURITY & CRIME DIVISION, CTTC, DMP"GOVSERV। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১২ 
  4. "অনলাইনে হয়রানির শিকারঃ জেনে নিন করণীয়"Dhaka Metropolitan Police (Bengali ভাষায়)। ২০১৮-১০-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. Shithi, Wahida Zaman (২০১৮-০৫-২৭)। "Concerns growing over sexual harassment of girls on social media"United News of Bangladesh। Dhaka। ২০১৯-০৮-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৩ 
  6. Alimuzzaman (২০১৮-০৩-০৬)। "ফেসবুক হ্যাক হলে ফোনে পাবেন পুলিশের সহায়তা"Daily Jugantor। Dhaka। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৩ 
  7. Ovee, Saddif (২০১৭-০৫-০৪)। "অনলাইনে হয়রানির শিকার হলে যা করবেন"Bangla Tribune। Dhaka। ২০১৯-০৮-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৩ 
  8. "সাইবার অপরাধ দমনে হেল্প ডেস্ক"দেশে বিদেশে। ২০১৫-০৯-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২১ 
  9. "বাংলাদেশে সাইবার অপরাধের প্রধান শিকার নারী"DW.COM। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২১ 
  10. "সাইবার অপরাধ : এক বছরে ৪০ হাজার অভিযোগ"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২১ 
  11. "বিপিএম-পিপিএম পুরস্কার পেলেন যারা"বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২১ 
  12. "Walton receives digital Bangladesh award"Daily Sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২১ 
  13. "পুলিশ সপ্তাহে বিপিএম পিপিএম পদক পাচ্ছেন ৩৪৯ জন"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২১ 
  14. "পুলিশ সপ্তাহ শুরু আজ: বিপিএম পিপিএম পাচ্ছেন ১১৮ জন"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা