সাভার সেনানিবাস

বাংলাদেশের সেনানিবাস

সাভার সেনানিবাস বাংলাদেশের ঢাকা জেলার অন্তর্গত সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানায় অবস্থিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি আবাসিক ঘাঁটি।[১] বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন ও কর্পস অফ মিলিটারি পুলিশ সেন্টার অ্যান্ড স্কুল এই সেনানিবাসে অবস্থিত। এছাড়া সাভার গল্ফ ক্লাবটি এই সেনানিবাসের মধ্যে অবস্থিত।

সাভার সেনানিবাস
সাভার উপজেলা, ঢাকা জেলাবাংলাদেশ
সাইটের তথ্য
নিয়ন্ত্রন করেবাংলাদেশ সেনাবাহিনী
সাইটের ইতিহাস
নির্মিত১৯৭১
রক্ষীসেনা তথ্য
বর্তমান
কমান্ডার
মেজর জেনারেল মোঃ শাহিনুল হক
রক্ষীসেনা৯ম পদাতিক ডিভিশন

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯৭১ সালের আগে, এলাকাটি 'আনসার ক্যাম্প' নামে পরিচিত ছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যাম্পটি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও রাজাকাররা ব্যবহার করত। স্বাধীনতার পর এটিকে নবগঠিত জাতীয় রক্ষীবাহিনীর প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়, জাতীয় রক্ষীবাহিনীকে পরে ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৭৬ সালে এলাকাটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে তাদের সেনানিবাস হিসেবে ব্যবহার করার জন্য দেওয়া হয়।

১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টার সময় সাভার সেনানিবাসে অবস্থানরত সৈন্যরা রাষ্ট্রপতিকে সমর্থন করে অভ্যুত্থানকে সফল হতে বাধা দেয়। তারা ঢাকার চারপাশে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান গ্রহণ করে এবং ময়মনসিংহ সেনানিবাস থেকে অভ্যুত্থান সমর্থকদের আগমনে বাধা দেয়।

২০০১ সালে, এখানে ৬৮.৮ একর জায়গার উপর সাভার গল্ফ ক্লাব নির্মাণ করা হয়। গল্ফ ক্লাব ছাড়াও এখানে সাভার সেনানিবাস শুটিং ক্লাব রয়েছে।

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার সময় আহতদের এখানে অবস্থিত সাভার সিএমএইচে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর সাভার সেনানিবাসে অবস্থিত কোর অব মিলিটারি পুলিশ সেন্টার অ্যান্ড স্কুলকে জাতীয় মান প্রদান করেন।

প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সম্পাদনা

  • সাভার স্মল আর্মস ফায়ারিং রেঞ্জ
  • ফর্মেশন ড্রাইভিং ট্র্যাক (সাঁজোয়া কর্প এবং সামরিক ড্রাইভার জন্য প্রশিক্ষণ সুবিধা)
  • ট্রাস্ট টেকনিকাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট

পরিচালিত প্রতিষ্ঠান সম্পাদনা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "এক নজরে সাভার উপজেলা"dhaka.gov.bd। আগস্ট ১৬, ২০১৫। অক্টোবর ২৩, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৬, ২০১৬