সানা আল সায়েহ প্যালেস্টাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একজন ডিন।[১] বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সম্মেলনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন।

ধর্মান্তর সম্পাদনা

আল সায়েহ খ্রিস্টান ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর আগস্ট ২০০৭ সালে এই বিষয়টি তীব্র বিতর্কের বিষয়বস্তু হয়ে উঠে। ফাতাহ নামক রাজনৈতিক দল থেকে সরাসরী অভিযোগ করা হয় তাদের বিরোধী পক্ষ হামাস আল সায়েহকে অপহরণ করেছে এবং অপহরণ করার পর জোর করে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করেছে।[২] হামাস তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত এই অভিযোগ প্রত্যাখান করে।

কেন্দ্রীয় ভাবে হামাস থেকে জানানো হয়, তারা আল সায়েহর মায়ের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন এবং আল সায়েহ তার মাকে জানিয়েছে, "আল্লাহই তাকে সঠিক পথ বাছাই করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।" সায়েহর মা পরবর্তীতে জানান, আল-সায়েহকে এই বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হয়েছে।[১] পরিবারের নির্ভরযোগ্য গোপন সূত্র থেকে দাবী করা হয়, সায়েহকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম অধ্যাপককে বিবাহ করতে বাধ্য করা হয়েছে।[৩]

গাজা শহরের প্রবীণ মুসলিম সদস্য আলা আকলুক জানান, তিনি সেই অধ্যাপকের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন এবং তিনি তার বক্তব্যের সমাপ্ত করেন এই বলে যে, আল-সায়েহ তার নিজ ইচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। সায়েহকে মুসলিম পুরুষ বিবাহ করতে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে; এই অভিযোগকে তিনি প্রত্যাখান করেন। তিনি দাবী করেন, সায়েহর ধর্মান্তরের ব্যাপারে পরিবারকে বলতে, সেই পুরুষ অধ্যাপক ভীত বোধ করেছিলেন।[১]

গাজার নারী মানবাধিকার কর্মী হানান মাতার, আল সায়েহর সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, "আল সায়েহ; বিবাহের জন্য তার ধর্ম পরিবর্তন করেছে এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন।", তিনি আরো বলেন, "আল সায়েহর আচার আচরণ ইসলাম ধর্মাবলম্বী নারীর মত।"[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. 'Hamas forced professor to convert'[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] (offline)
  2. "Hamas pressing Gaza Christians to become Muslims"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  3. Officials: Hamas forcibly converted Christian woman to Islam

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা