সাইপ্রাসের স্বাধীনতা দিবস
সাইপ্রাসের স্বাধীনতা দিবস (গ্রিক: Ημέρα Ανεξαρτησίας της Κύπρου) প্রতিবছর ১ অক্টোবর তারিখে সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রে পালিত হয়। এটি সাইপ্রাসের জাতীয় ছুটির দিন। এই দিনটি ব্রিটিশ শাসনাধীন হতে ১৯৬০ সালের ১৬ আগস্ট সাইপ্রাসের স্বাধীনতা লাভের স্মারক হিসেবে পালিত হয়ে থাকে যা গ্রীস, তুরস্ক এবং যুক্তরাজ্য কর্তৃক লন্ডন এবং জুরিখ চুক্তির আলোকে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] দিনটি বিদ্যালয় বিশেষ বার্ষিক ছুটি এবং নিকোসিয়াতে একটি বড় সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়।[২][৩][৪]
স্বাধীনতা দিবস | |
---|---|
পালনকারী | সাইপ্রাস |
তাৎপর্য | যুক্তরাজ্যের নিকট হতে স্বাধীনতা লাভের স্মারক হিসেবে |
উদযাপন | উৎসব ও সামরিক কুচকাওয়াজ |
তারিখ | ১ অক্টোবর |
পরবর্তী আয়োজন | ১ অক্টোবর ২০২৫ |
সংঘটন | বার্ষিক |
প্রথম বার | ১৯৭৯ সালের ১ অক্টোবর |
পটভূমি
সম্পাদনাসাইপ্রাস মূলত ১৮৭৮ সাল থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের একটি উপনিবেশ ছিল। ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে সাইপ্রাসে বসবাসকারী গ্রিক জনগণ সাইপ্রাসকে গ্রিসের সাথে একীভূত করার জন্য সাইপ্রিটো যোদ্ধাদের জাতীয় সংঘ (Ethniki Organosis Kyprion Agoniston - EOKA; /eɪˈoʊkə/; Greek: Εθνική Οργάνωσις Κυπρίων Αγωνιστών, lit. 'National Organisation of Cypriot Fighters') গড়ে তোলে। ১৯৫৫ সাল থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত এই সংঘটির অধীনে ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে চলে লড়াই।[৫] চার বছর স্থায়ী এই সংঘাতের অবসান-কল্পে ১৯৫৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দুই দফায় গ্রীস, তুরস্ক এবং যুক্তরাজ্যের সাথে তুর্কি-সাইপ্রিটো ও গ্রিক-সাইপ্রিটো কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয় এবং সকল পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ল্যাংকাস্টার হাউসে স্বাক্ষরিত হয় লন্ডন এবং জুরিখ চুক্তিটি এবং এই চুক্তির আলোকে ১৯৬০ সালের ১৬ আগস্ট ব্রিটিশ গভর্নর স্যার হিউ ফুট সাইপ্রাসের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।[৫] মূলতঃ তুর্কি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলি গ্রিসের শাসনের অধীনে আবারও ছোট সংখ্যালঘু গোষ্ঠীতে পরিণত হতে না-চাওয়ার কারণে সাইপ্রাসকে গ্রিসের সাথে একত্রিত করার পরিবর্তে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[৬]
অনুষ্ঠানমালা
সম্পাদনাএই ছুটির দিনটি উৎসব আমেজে পালিত হয় এবং একই সাথে রাজধানী নিকোসিয়ায় সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। কুচকাওয়াজ শুরুর আগে রাষ্ট্রপতিকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেয়া হয় এবং তারপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত বাজানো এবং ২১ বার তপোধ্বনির মাধ্যমে অভিবাদন জানানো হয়ে থাকে।[৭] সামরিক কুচকাওয়াজটি জাতীয় রক্ষীবাহিনী, সাইপ্রাসে অবস্থানরত গ্রিক সামরিক বাহিনী, পুলিশ এবং অগ্নিনির্বাপক দলের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত দলের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। জাতীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের পর প্রচলিত রীতি অনুসারে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিয়ে থাকেন। সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ এই দিনটিতে বন্ধ থাকে।[৮] উৎসব উদযাপনের জন্য এদিনটিতে দেশের সকল দোকান ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সাধারণত বন্ধ থাকে।[৯]
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
স্বাধীনতা দিবস উদয়াপন উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজ।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "A Brief History of Cyprus - Independence"। www.whatson-northcyprus.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-১৮।
- ↑ "Στρατιωτική παρέλαση 1ης Οκτωβρίου 2021"। www.pio.gov.cy। Γραφείο Τύπου και Πληροφοριών। ২০২২-০৭-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-৩০। অজানা প্যারামিটার
|ημερομηνία=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ "Σχολικοί εορτασμοί"। www.moec.gov.cy। ২০২২-০৭-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-৩০।
- ↑ "Κανονισμοί Μέσης Εκπαίδευσης"। www.moec.gov.cy। ২০২২-০৭-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-৩০।
- ↑ ক খ Καυκαλιάς, Γιώργος (২০১৬-০১-১০)। "1η Οκτωβρίου 1960: Η Ημέρα Ανεξαρτησίας της Κύπρου"। www.sigmalive.com। ২০২২-০৭-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-৩০।
- ↑ "On This Day: Cyprus officially declares independence from the British" (ইংরেজি ভাষায়)। Greek Herald। ২০২০-১০-০১। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "Στρατιωτική παρέλαση 1ης Οκτωβρίου 2021"। www.pio.gov.cy। Γραφείο Τύπου και Πληροφοριών। ২০২১-০৯-২১। ২০২২-০৭-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-৩০।
- ↑ "School holidays"। Cyprus Ministry of Education, Sport and Youth। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ "Independence day of Cyprus – 25th March". ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ আগস্ট ২০০৯ তারিখে