সরকারি সা’দত কলেজ

সরকারি সা’দত কলেজ, বাংলাদেশের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়ায় অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ। এটি হল অবিভক্ত বাংলায় মুসলমানদের প্রতিষ্ঠিত প্রথম কলেজ। ঢাকা-টাঙ্গাইল রোডের উপরে ঢাকা থেকে ৯০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং টাঙ্গাইল থেকে ৭ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। ৩৮ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই কলেজ জন্ম লগ্ন থেকেই বাংলাদেশের শিক্ষা উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক অনন্য অবদান রেখে চলেছে। কলেজটি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত।

সরকারি সা’দত কলেজ, টাঙ্গাইল
GSC building.jpg
মূল প্রশাসনিক ভবন
নীতিবাক্য"আলোকিত মানুষ সৃষ্টি করা"[১]
ধরনসরকারি কলেজ
স্থাপিত১৯২৬
আচার্যপ্রফেসর সুব্রত নন্দী
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
১২০[১]
শিক্ষার্থী১৫০০০[১]
অবস্থান,
ঢাকা
,
২৪°১৩′১২″ উত্তর ৮৯°৫৮′৩৪″ পূর্ব / ২৪.২২০° উত্তর ৮৯.৯৭৬° পূর্ব / 24.220; 89.976
শিক্ষাঙ্গনউপশহুরে, ৩৮ একর (0.15km2)[১]
ওয়েবসাইটwww.saadatcollege.gov.bd
মানচিত্র

ইতিহাসসম্পাদনা

 
কলেজের প্রবেশদ্বার

১৯২৬ সালে আটিয়ার চাঁদ ওয়াজেদ আলী খান পন্নী পিতামহ সাদাত আলী খান পন্নীর নামে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রিন্সিপাল ইবরাহিম খাঁ এই কলেজের প্রথম প্রিন্সিপাল ছিলেন। ১৯২৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ একুশ বছর তিনি এই পদে বহাল ছিলেন। ১৯৩৮ সালে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক যখন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী হন তখন তিনি কলেজটি পরিদর্শন করতে আসেন এবং কলেজের জন্যে মোটা অঙ্কের অনুদান বরাদ্দ করেন। ঐ বছরই কলেজটি ডিগ্রি কলেজে উন্নীত করা হয়। কথিত আছে যে, শেরে বাংলার সফরের সময় করটিয়ার জনসাধারণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে করটিয়াকে একটি আদর্শ গ্রামে পরিণত করার জন্যে আবেদন করেছিল। প্রতি উত্তরে তিনি বলেছিলেন, "করটিয়াকে আর কি করে আদর্শ করবো, এ গ্রামতো আদর্শ গ্রামেরও আদর্শ"।

কার্যক্রমসম্পাদনা

বর্তমানে সরকারি সা’দত কলেজ এ প্রায় ৩০,০০০ জন শিক্ষার্থী অনার্স (সম্মান) ও পাস কোর্স সহ মাষ্টার্স এ অধ্যয়নরত আছে। বর্তমানে ১৮টি বিষয়ে অনার্স ও ১২টি বিষয়ে মাষ্টার্স কোর্স চালু আছে।

সুযোগ-সুবিধাসম্পাদনা

নতুন করে পাঁচতলা বিশিষ্ট দুটি একাডেমিক ভবন, একটি ছাত্র হল ও একটি ছাত্রী হল নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মোট পাঁচটি একাডেমিক ভবন,দুটি হিন্দু হল, তিনটি ছেলেদের হল, দুটি মেয়েদের হল রয়েছে। সমৃদ্ধশালী লাইব্রেরি রয়েছে, যেখানে আছে হাতে লেখা কোরআন শরীফ সহ আর দুর্লভ সব বই। আছে কবি নজরুল এর বিশ্রাম নেওয়া সেই স্মৃতিচারণ নজরুল কুটির। দুটি মনোরম পরিবেশের পুকুর রয়েছে। বর্তমানে চারতলা ভবন বিশিষ্ট মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। এই কলেজে রয়েছে আলাদা মেডিক্যাল হল। যেখানে ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। এছাড়া রয়েছে বিতর্ক ক্লাব ও অন্যান্য ক্লাব, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস, বাঁধন (স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন) সহ আরও অনেক সংগঠন। রয়েছে মাসিক সাহিত্য পত্রিকা।

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. বার্ষিক কলেজ ম্যাগাজিন (১৯৭৭)। "সুবর্ণজয়ন্তী স্মরণিকা"। সাদাত কলেজ।