সরকারি চারু এবং কারুকলা মহাবিদ্যালয়, আসাম
সরকারী চারু এবং কারুকলা মহাবিদ্যালয়, আসাম সুকুমার কলা বিষয়ক শিক্ষা প্রদান করা ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রথম সরকারী মহাবিদ্যালয়। মহাবিদ্যালয়টি পাঁচ বছরের কলার সংযুক্ত পাঠক্রমের সমাপ্ত করে ‘ব্যাচেলর অব ফাইন আর্টস্’ ডিগ্রী প্রদান করে। শিল্পী জীবেশ্বর বরুয়া এই মহাবিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন এবং এটি গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত।[১]
ধরন | সরকারী |
---|---|
স্থাপিত | ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ |
প্রতিষ্ঠাতা | জীবেশ্বর বরুয়া |
অধ্যক্ষ | ডঃ জবিন ঘোষ দস্তিদার রেহমান (ভারপ্রাপ্ত) |
শিক্ষার্থী | ৩০ (প্রতি বছরে) |
অবস্থান | বশিষ্ঠ, গুয়াহাটি , , ২৬°০৬.০৪′ উত্তর ৯১°৪৭.৮১′ পূর্ব / ২৬.১০০৬৭° উত্তর ৯১.৭৯৬৮৩° পূর্ব |
অধিভুক্তি | গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় |
ওয়েবসাইট | সরকারী ওয়েবসাইট |
ইতিহাস
সম্পাদনাজীবেশ্বর বরুয়া পানবাজার বালিকা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চিত্রকলার শিক্ষক হিসাবে কেরিয়ার আরম্ভ করে৷ সেই বিদ্যালয়ে তিনি একটি আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন যদিও বিদ্যালয়টিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে সংগ্রাম করতে হয়৷
১৯৪৭ সালে বরুয়া পানবাজারের ডন বস্কো বিদ্যালয়ে আর্ট স্কুলের প্রতিষ্ঠা করে৷ ১৯৪৮ সাল থেকে এই বিদ্যালয় আসাম সরকার থেকে মাসিক পুঁজি লাভ করতে সক্ষম হয়৷ [২] ১৯৫৯ সাল থেকে এই পুঁজির বৃদ্ধি হয় এবং লাখটকীয়াতে অবস্থিত ললিত কলা একাডেমীর সাথে একসাথে মাসিক পুঁজির নিয়মিতকরণ হয়৷ এই ললিত কলা একাডেমীর সেক্রেটেরী হিসাবেও বরুয়া কার্য্যনির্বাহ করেন৷ [২] ১৯৫৮ সালে এই প্রতিষ্ঠান প্রথমবার দিল্লীতে অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে৷ এরপর বরুয়ার তত্ত্বাবধানে ললিত কলা একাডেমী গুয়াহাটিতে চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত করে৷
বরুয়ার মৃত্যুর পরে এই ললিত কলা একাদেমী পৃথক হয়ে স্বাধীনভাবে সরকারী চারু এবং কারুকলা মহাবিদ্যালয় নামে প্রসিদ্ধ হয়৷ প্রথমে এই মহাবিদ্যালয় গুয়াহাটির শান্তিপুরের একটি ভাড়াঘরে ছিলেন। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এর বর্তমান চৌহদ্দি গুয়াহাটির বশিষ্ঠতে উদ্বোধন করেন৷[২]
অবস্থান
সম্পাদনাগুয়াহাটি মহানগরের বশিষ্ঠের বশিষ্ঠাশ্রম দেবালয় পথে মহাবিদ্যালয়টি অবস্থিত। ৩৭ নং জাতীয় সড়কের বশিষ্ঠ চারআলি চক থেকে মহাবিদ্যালয়ে ২ কিঃমি, আই.এস.বি.টি. থেকে ১০ কিঃমি এবং গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় ১৮ কি.মি.। লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মহাবিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিঃমি।
পাঠক্রম
সম্পাদনামহাবিদ্যালয়টি পাঁচ বছরের কলার সংযুক্ত পাঠক্রমের সমাপ্ত করে ‘ব্যাচেলর অব ফাইন আর্টস্’ ডিগ্রী দেয়। পাঠক্রমের প্রথম দুবছর হল প্রারম্ভিক পাঠক্রম এবং পরের তিন বছরে নিম্ন উল্লিখিত যেকোনো একটি বিষয়ে বিশেষজ্ঞর প্রশিক্ষণ দেয়,
- চিত্র কলা
- প্রায়োগিক কলা
- ভাস্কর্য্য
- গ্রাফিক আর্ট[৩]
এই পাঠক্রমসমূহ গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ https://govtcollegeofart.assam.gov.in/about-us/detail/about-the-govt-college-of-arts-and-crafts
- ↑ ক খ গ Tiprasatimes (১৩ মে ২০১৭)। "Government College of Art & Crafts: From Glory Towards Oblivion - Tiprasa Times"। tiprasatimes.com। ২৪ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৭।
- ↑ https://eclecticnortheast.in/government-college-of-art-and-crafts-start-fighting-for-their-rights-after-decades/[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]