শ্রমের বিজয়
শ্রমের বিজয় বা শ্রমের মূর্তি ভারতের চেন্নাইয়ের মেরিনা সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত একটি ভাস্কর্য।[১] মেরিনা সমুদ্র উত্তর প্রান্তে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে আন্না স্কোয়ারে নির্মিত এই ভাস্কর্য চেন্নাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ডমার্ক। ভাস্কর্যটিতে দেখা যায় যে, চারজন পুরুষ একটি ভারী পাথর তথা বোল্ডার সরানোর জন্য পরিশ্রম করছেন। শ্রমিক শ্রেণীর কঠোর পরিশ্রমকে শিল্প-ভাবনায় পরিস্ফুট করতে উপস্থাপন করা হয়েছে এই শ্রমমূর্তিটি। খ্যাতনামা বাঙালি ভাস্কর দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী হলেন এটির সার্থক রূপকার এবং সমুদ্র সৈকতে স্থাপন করা সবচেয়ে প্রাচীন ও প্রথম মূর্তি। দেশে প্রথম যেখানে মে দিবস তথা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উদযাপন করা হয়েছিল, সেই স্থানের খুব কাছে স্থাপন করা হয়েছে মূর্তিটি। তৎকালীন কামরাজ নেতৃত্বাধীন তামিলনাড়ু সরকারের সমুদ্র সৈকত সৌন্দর্যায়ন পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে মূর্তিটি স্থাপন করা হয়। তবে ভাস্কর্যটি শহরের মে দিবস উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে রয়ে গেছে। [২]
| শ্রমের বিজয় Triumph of Labour உழைப்பாளர் சிலை | |
|---|---|
 | |
| শিল্পী | দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী |
| বছর | ১৯৫৯ |
| ধরন | মূর্তি |
| অবস্থান | মেরিনা সমুদ্র সৈকত, চেন্নাই |
ইতিহাস
সম্পাদনা
১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের মে মাসের এক গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় শ্রমিক নেতা মালয়পুরম সিঙ্গারাভেলু তিরুবল্লীকেণির কাছে মেরিনা সমুদ্র সৈকতে শ্রমিকের অধিকারের স্বীকৃতি এবং শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একটি রাজনৈতিক দল গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথম সভা করেন। এটি ছিল ভারতে প্রথম শ্রমিক সমাবেশের সভা। [৩] এটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য তৎকালীন মাদ্রাজ স্কুল অফ আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটসের (বর্তমানে গভর্নমেন্ট কলেজ অব ফাইন আর্টস-এর) প্রথম ভারতীয় অধ্যক্ষ দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী কঠিন কাজে নিমগ্ন এক শ্রমিক দলের অনুপ্রেরণামূলক ভঙ্গিতে চিত্রিত শ্রম মূর্তি-টি ভাস্কর্যে রূপায়িত করেন। [৪] এবং তৎকালীন মাদ্রাজ রাজ্যের রাজ্যপাল বিষ্ণুরাম মেধি ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি নির্মিত ভাস্কর্যের আবরণ উন্মোচন করেন।
ভাস্কর্যটি তৈরির সময় স্কুল অফ আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটসের নৈশপ্রহরী এ পি শ্রীনিবাসন, বাম দিক থেকে দ্বিতীয় এবং চতুর্থ পুরুষ শ্রমিকের মডেল এবং রামু নামে এক ছাত্র অন্য দুজন পুরুষ শ্রমিকের জন্য মডেল হয়েছিলেন। [৫]
নতুন দিল্লিতে ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট ভবনের বাইরেও একই ধরনের একটি ভাস্কর্য রয়েছে ।[৬]
আরও দেখুন
সম্পাদনা
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Srikanth , R. (৩০ অক্টোবর ২০১১)। "A stroll could be a learning experience too"। The Hindu । Chennai । সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ Krishnan , Ananth (2 May 2008 )। "Even after 85 years, the demands remain the same"। The Hindu । Chennai । 5 May 2008 তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 1 Feb 2012।
|url-status=deadঅবৈধ (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|তারিখ=, |আর্কাইভের-তারিখ=(সাহায্য) - ↑ Krishnan, Ananth (২ মে ২০০৮)। "Even after 85 years, the demands remain the same"। The Hindu। Chennai। ৫ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রু ২০১২।
- ↑ <Sriram , V. (16–30 April 2009 )। "Historic Residences in Chennai – 16"। Madras Musings । XVIII (25 )। সংগ্রহের তারিখ 1 Feb 2012। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=(সাহায্য) - ↑ Kannadasan, Akila (২৫ আগস্ট ২০১৩)। "Work of Labour"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ "Public Art: Sculptures by Deviprasad Roy Chowdhury capture key moments in Indian History"। The Heritage Lab (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-১৫।