তিরুবল্লীকেণি দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই জেলার অন্যতম পুরাতন অঞ্চল৷ এটি বঙ্গোপসাগরের তীরে ও ফোর্ট সেন্ট জর্জ থেকে প্রায় ০.৫ কিমি (০.৩১ মা) দূরে অবস্থিত৷ লোকালয়টির সমুদ্রপৃষ্ঠথেকে গড়ে ১৪ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত৷[১]

তিরুবল্লীকেণি
திருவல்லிக்கேணி
ত্রিপ্লিকেন
চেন্নাইয়ের অঞ্চল
তিরুবল্লীকেণি জলাশয় ও পার্থসারথি মন্দিরের গোপুরম
তিরুবল্লীকেণি জলাশয় ও পার্থসারথি মন্দিরের গোপুরম
তিরুবল্লীকেণি চেন্নাই-এ অবস্থিত
তিরুবল্লীকেণি
তিরুবল্লীকেণি
তিরুবল্লীকেণি তামিলনাড়ু-এ অবস্থিত
তিরুবল্লীকেণি
তিরুবল্লীকেণি
স্থানাঙ্ক: ১৩°০৩′১৯″ উত্তর ৮০°১৬′৫১″ পূর্ব / ১৩.০৫৫৩° উত্তর ৮০.২৮০৭° পূর্ব / 13.0553; 80.2807
রাষ্ট্র ভারত
রাজ্যতামিলনাড়ু
জেলাচেন্নাই
মহানগরচেন্নাই
তালুকময়িলাপুর-ত্রিপ্লিকেন
সরকার
 • শাসকচেন্নাই নগরনিগম
ভাষা
 • দাপ্তরিকতামিল
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন৬০০০০৫
যানবাহন নিবন্ধনTN-08 (টিএন-০৮)
লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্রচেন্নাই মধ্য
নগর পরিকল্পনাসিএমডিএ
সিভিক এজেন্সিচেন্নাই নগরনিগম
ওয়েবসাইটwww.chennai.tn.nic.in

ময়িলাপুর সহ চেন্নাই শহরের এই অঞ্চলগুলি ঐতিহাসিকভাবে মূল চেন্নাই শহরের থেকেও প্রাচীন, পল্লব সাম্রাজ্যের বেশ কিছু নথিপত্রে এই স্থানগুলির উল্লেখ রয়েছে৷[২][৩] ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণাধীন নতুন মাদ্রাজঅশহরের আয়তন ও পরিষেবা বৃদ্ধি করতে প্রথম যেই চারটি ছোট শহরকে ব্রিটিশরা নির্বাচিত করেছিলেন তার মধ্যে ত্রিপ্লিকেন একটি৷ তারা বর্তমান ফোর্ট সেন্ট জর্জ ও হোয়াইট হাউজ পর্যন্ত নগরীয় সীমানা বিস্তার করেন৷[৪] প্রাথমিকভাবে আবাসিক অঞ্চল হলেও এখানে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেমন, মেরিনা সমুদ্র সৈকত, পার্থসারথি মন্দির এবং আরো কিছু অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান৷ তিরুবল্লীকেণি চিরাচরিত রীতি নীতি তথা পার্থসারথি মন্দিরে অনুষ্ঠিত "মাদ বীথি"-এর জন্য পরিচিত৷[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

নামকরণ সম্পাদনা

ত্রিপ্লিকেন হলো মূল তামিল শব্দ তিরুবল্লীকেণির ইঙ্গকৃৃৃত বিকৃত রূপ৷ তামিল তিরুবল্লীকেণি শব্দটি এসেছে তিরু-অল্লি-কেণি শব্দ তিনটির সংযোগে, যার অর্থ পবিত্র শাপলা পুকুর৷ এখানে যেই পুকুর বা জলাশয়ের উল্লেখ রয়েছে সেটি মূলত পার্থসারথি মন্দিরের তুলসীবন বেষ্টিত জলাশয়ই৷[২][৫] তুলসী গাছের প্রাচুর্য থাকার কারণে ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে এই স্থানটিকে বৃৃৃৃৃৃন্দারণ্যম বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷[৬] আবার এটি বৃন্দারণ্য ক্ষেত্র নামেও পরিচিত[৭] আবার অনেকে এঅ স্থানটিকে 'দক্ষিণের বৃন্দাবন' বলেও অভিহিত করে থাকেন৷[৮]

 
তিরুবল্লীকেণি জলাশয়

ইতিহাস সম্পাদনা

গ্রন্থে উল্লেখ সম্পাদনা

এই শহরের সবচেয়ে পুরাতন উল্লেখ শাসক রাজার ঐতিহাসিক কোনো নির্দেশাবলী নয় বরং মহাকাব্য থেকে পাওয়া যায়৷ নালায়ির দিব্য প্রবন্ধ গ্রন্থে তিরুবল্লীকেণির বহু উল্লেখ রয়েছে৷ এই গ্রন্থটি ছিল বেশ কিছু পুরাতন মুনি ঋষির একাধিক মূল্যবান বাণীর সংগ্রহ, যা লিখিত হয়েছিল খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে৷ প্রখ্যাত তামিল কবি তিরুমঙ্গাই আলবার-এর মতে তিরুবল্লীকেণি ছিল ময়ূর ও কোকিলের বাসসমৃৃৃদ্ধ ঘন জঙ্গল যেখানে সূর্যরশ্মিও ভূমি স্পর্শ করতে পারত না৷[৬] অপর এক কবি পেয়লবার-এর মতে তিরুবল্লীকেণি এমন একটি স্থান যেখানে সন্ধ্যাকালীন আলোকছটা বা কুয়াশাচ্ছন্ন স্থানে হঠাৎ আলৌকরশ্মির মতো মুক্তা ও প্রবাল এর সমুদ্রতীর শোভিত করে৷[৯]

মধ্যযুগীয় সময়কাল সম্পাদনা

শিলালেখ থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে তিরুবল্লীকেণির পার্থসারথি মন্দিরটি খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে পল্লব রাজাদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।[১০][১১][১২] পরে অন্যান্য পল্লব রাজা এবং চোল ও বিজয়নগর সাম্রাজ্যের রাজারাও এই মন্দিরটি প্রবৃদ্ধ করতে নিয়োজিত হন।[৮][১১][১৩] নথিভুক্ত রয়েছে যে তিরুবল্লীকেণি‌ ও ময়িলাপুর অঞ্চল থেকে পূর্বে কাবরেনী নামে একটি ছোট নদী প্রবাহিত হতো।[১৪] জনশ্রুতি অনুযায়ী এই ক্ষীণধারাটি পার্থসারথি মন্দির প্রাঙ্গণে অবস্থিত জলাশয়ে জলের সঙ্গে আদিকেশব পেরুমাল মন্দিরের পবিত্র কুয়ো মণি কৈরবানীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন‌ করত।[১৪] বিশ্বাস করা হয় বারো জন আলবারের একজন তথা পেয়ালবার ঐ কুয়োর এক পদ্মে জন্মগ্রহণ করেন এবং নদীর জলে প্রবাহিত হয় তা পার্থসারথি মন্দিরের কৃষ্ণ মূর্তির পায়ের সামনে পতিত হয়।[১৫][১৬][১৭] এই পৌরাণিক ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে প্রত্যেক বছর সেপ্টেম্বর মাসে নির্দিষ্ট তিথিতে পেয়ালবারের মূর্তিকে শোভাযাত্রা করে পার্থসারথি মন্দিরে আনা হয়।[১৮] খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয় পেয়ালবার মন্দির।[১৯]

ব্রিটিশ শাসন সম্পাদনা

 
১৮৫৫ চিত্রিত তিরুবল্লীকেণি বাজার
 
তিরুবল্লীকেণি পাইক্রফট রোড, ১৯০৬

খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে তিরুবল্লীকেণি একটি পৃথক গ্রাম ছিল। প্রায় ১০০ বছর পর ব্রিটিশ কোম্পানি এই স্থানে এলে তারা এটিকে উন্নতিকামী আবাসিক অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করলে আশে পাশের অঞ্চল থেকে বহু মানুষ এখানে বসবাস করতে আসেন। ১৬৬৮ খ্রিস্টাব্দে মূল মাদ্রাজ শহরের সঙ্গে সর্বপ্রথম শহরতলীর তিরুবল্লীকেণিকে একত্রিত করা হয়।[৪][২০] ১৬৭৬ খ্রিস্টাব্দে গোলকুণ্ডা সুলতানের থেকে ব্রিটিশরা এই লোকালয়টি নির্দিষ্ট মূল্যের বিনিময়ে পেয়েছিলেন।[৪][২১] আর্কটের নবাবের উপস্থিতি অঞ্চলের অর্থনৈতিক বৃৃদ্ধি করার সাথে সাথে বহু মুসলিম অধিবাসীর আগমন ঘটায়৷ ১৭৯৫ খ্রিস্টাব্দে ওয়ালাজা মসজিদ নির্মাণ হয়৷[২২] ঐ একই সময়কালের মধ্যে চেপবক্কম প্রাসাদ ও আমির মহল নির্মাণ কাজও সম্পন্ন হয়৷[২০]

১৮৪১ খ্রিস্টাব্দে আমেরাকাাাগামী জাহাজে বরফের চাঁই বিক্রির জন্য একটি বরফ কল বা আইস হাউজ নির্মাণ হয়৷ জাহাজে বরফ ব্যবহার করা হতো জাহাজের অত্যধিক গরম থেকে ব্রাটিশ বিপণনকারীদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য৷[১১] স্বামী বিবেকানন্দ তার ভারত ভ্রমণের পথে এই বাড়িতে বেশ কিছু দিন অতিবাহিত করেন, পরে তার সম্মানে এর নাম রাখা হয় বিবেকানন্দর ইল্লম৷

ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে এখানে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা হয়৷ ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়,[২৩] ১৯৬৪-৬৫ এর মধ্যে স্থাপিত হয় প্রেসাডেন্সি কলেজ৷ ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে কলেজটি স্থানান্তরিত করে বিচ রোডে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে মেরিনা সমুদ্র সৈকতের ভার বরাবর পদচারনার রাস্তা নির্মিত হয়৷[২৪][২৫] ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে বিগ স্ট্রিটের ওপর হিন্দু হাই স্কুল চেন্নাইয়ের সবচেয়ে পুরাতন সভা, শ্রী পার্থসারথি স্বামী সভা অনুষ্ঠিত করে৷[২৬]

১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজপত্তনমকে সুরক্ষিত করার জন্য একটি স্টেশন বিল্ডিং নির্মাণ করা হিয়, এটি বর্তমানে তিরুপল্লীকেণি পুলিশ থানাতে পরিণত হয়েছে৷[২৭] এটি শহরের সবচেয়ে পুরাতন পুলিশ থানা৷[২৭] একমাত্র ত্রিপ্লিকেন মহা সড়কের ওপরই রয়েছে ব্রিটিশ আমলে তৈরি চেন্নাইয়ের একমাত্র কার্যকরী ট্রাম লাইন৷[২৮][২৯][৩০]

১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় ত্রিপ্লিকেন আর্বান কো-অপারেটিভ সোসাইটি বা টিইউসিএস৷[৩১] ১৯০৪ এর প্রথম কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটিস এক্ট শুরু হওয়ার থেকেও এই সংগঠনটি সামান্য বেশি পুরাতন৷[৩২] তবে আইন প্রণয়নের পর ভারতের সমবায় ভিত্তিক স্বদেশি আন্দোলন ত্বরান্বিত হয়৷ এর আওতায় রয়েছে সুপার মার্কেট, স্বনির্ভর দপ্তর, অটোমোবাইল, রান্নার গ্যাস এবং ২০০ টির মতো রেশন দোকান৷[৩২]

১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপ্লিকেন হাইওয়ের ঔপর প্রতিষ্ঠিত হয় স্টার থিয়েটার৷ ২০১২ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ঐই ইতিহাস বহনকারী অট্টালিকা ভেঙে ফেলা হয়৷[৩৩] ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে মহাত্মা গান্ধী তিরুবল্লীকেণি এলে বহু লোক সমাগম হয়৷[৩৪][৩৫][৩৬] ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি পুনরায় এই স্থান পরিদর্শনে আসেন৷ ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে চিপক স্টেডিয়ামৈ প্রথম ক্রিকেট খেলা আয়োজিত হয়৷[৩৭]

স্বাধীনতোত্তর সম্পাদনা

১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে আইস হাউজের নাম দেওয়া হয় বিবেকানন্দ হাউজ৷[২০][৩৮] ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয়ার হাউজকে যাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়৷[৩৮] ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে তিরুবল্লীকেণি এমআরটি রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে প্রথম ট্রেন ছোটে, এটি ছিলো চেন্নাই বিচ থেকে তিরুময়িলাই গামী ট্রেন৷[৩৯][৪০][৪১][৪২][৪৩] ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে ডিসেম্বর তারিখে তিরুবল্লীকেণিতে সুনামি আঘাত হানে৷[৪৪]

অবস্থান সম্পাদনা

চেন্নাইকে উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্তকারী বাকিংহাম খালের তীরে অবস্থিত তিরুবল্লীকেণি। এই লোকালয়ের পূর্ব দিকে রয়েছে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী মেরিনা সমুদ্র সৈকত, দক্ষিণ দিকে সেন্টথম, দক্ষিণ পশ্চিম দিকে ময়িলাপুর, পশ্চিম দিকে রায়পেট্টা, উত্তর দিকে চেপবক্কম ও‌ উত্তর পশ্চিম দিকে রয়েছে চিন্তাদ্রিপেট

ভূগোল সম্পাদনা

প্রাকৃতিক দুর্যোগ
দুর্যোগ শতাংশ
ভূমিকম্প
  
৬০%
বন্যা
  
৯০%
খরা
  
১০০%
ভূমিস্খলন
  
০%
অগ্ন্যুৎপাত
  
০%
ঘূর্ণাবর্ত
  
১০০%

এই লোকালয়টি ক্রান্তীয় শুষ্ক বনাঞ্চল জীববৈচিত্র অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।[১] উপকূলবর্তী শহর হওয়ার কারণে চেন্নাইতে বেশকিছু বালির ডাল রয়েছে। সৃষ্টির শুরু শতাব্দি থেকে উত্তরোত্তর সমুদ্র জলের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে জনবসতির বেশ খানিকটা অংশ প্রতিবছর প্লাবিত হয়।[২১] আবার সমুদ্রের জল পশ্চাৎবর্তী হলে ছোট ছোট লবণাক্ত উপহ্রদ‌ ও বালুকাময় শৈলশিরা তৈরি হয়। কূবম নদীর মোহনায় তথা বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাঙ্গণে এরকম বালুকাময় শৈলশিরার উদাহরণ রয়েছে।

শহরতলী অঞ্চল সম্পাদনা

 
পার্থসারথি মন্দিরের নিকট আবাসিক উন্নয়ন

প্রায় পাঁচ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত তিরুবল্লীকেণি এক লক্ষের অধিক স্থায়ী বাসিন্দার বাসভূমি, এছাড়া‌ এই লোকালয়ের প্লব জনসংখ্যা ৫০-৭০,০০০।[৫] গড় জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ২১,৩৫০ জন।[১] চেন্নাই শহরের অন্যতম পুরাতন লোকালয় হওয়ার কারণে এই অঞ্চলের রাস্তা যথেষ্ট সরু‌ ও গলিসদৃশ।[৪৫]

হাউসিং সম্পাদনা

চেন্নাই শহরের মোট ৭০০ ম্যানশনের মধ্যে তিরুবল্লীকেণিতেই রয়েছে ২০০ টি। এই ম্যানশন প্রাপ্তবয়স্ক ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার জন্য হোস্টেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়, বলে এই স্থান 'ব্যাচেলর'স প্যারাডাইস', নামে পরিচিতি পেয়েছে।[৪৬] স্থান বিশেষে এই ম্যানশন গুলিতে ৩০ থেকে ৬০টি করে ঘর আছে।[৫][৪৭][৪৮] স্বাধীনতা লাভের পর এই স্থানে অবস্থিত বোর্ডিং হাউসগুলো শহর ও রাজ্যের বাইরে থেকে আসা যুবক যুবতীদের স্থান সংকুলানের জন্য ব্যবহৃত হওয়া শুরু হয়। তবে ১৯৫০-এর দশকে প্রথম তৈরি ম্যানশনটি ছিল দক্ষিণ জেলার খরার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অন্তর্গত। এরপর থেকে বাকি ম্যানশন গুলি মূলত রাজ্যের বাইরে থেকে আসা কোনো ব্যবসায়ী সংস্থা অথবা প্রয়োজনীয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত থাকতো। পেরিয়ার, আন্নাদুরাইকরুণানিধির মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও কৈশোর বয়সের কিছু সময় তিরুবল্লীকেণিতে অতিবাহিত করেছেন।[৫]

খুব কম খরচে বাড়ি ভাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্যের প্রাচুর্য জন্য এই ম্যানশনগুলি শুরু থেকেই পৃষ্ঠপোষিত হয়ে এসেছে।[৪৬][৪৯] অতিসম্প্রতি, এই বোর্ডিং হাউসগুলি পরিষেবা উন্নতির মাধ্যমে পরিযায়ীদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করে চলেছে।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Triplicane"। Chinci World Atlas। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  2. Ramanujam, Srinivasa (১৫ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "Temple tales of Triplicane"The Times of India। Chennai: The Times Group। ৪ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; LinkRecaptured নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  4. Muthiah, S. (২০১৪)। Madras Rediscovered। Chennai: EastWest। পৃষ্ঠা 12। আইএসবিএন 978-93-84030-28-5 
  5. Narasimhan, T. E. (৩১ মার্চ ২০১২)। "Chennai central"Business Standard। Chennai। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  6. "The benign radiance of Gitacharyan"The Hindu, Online Edition, Chennai — Entertainment section। ২১ মে ২০০৪। ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১২ 
  7. T. Padmaja (২০০২)। Temples of Kr̥ṣṇa in South India: History, Art, and Traditions in Tamilnāḍu। Abhinav Publications। পৃষ্ঠা 129। আইএসবিএন 8170173981 
  8. K. V. Raman (৭ মে ২০০২)। "Unique temple"The Hindu Metro Plus। Chennai। ১ জুলাই ২০০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  9. "verse 2297 by peyalwar"dravidaveda.org/। ১৩ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১২ 
  10. Lalithasai (১৮ ডিসেম্বর ২০১১)। "Religious facets of Thirumayilai, Thiruvallikeni"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১২ 
  11. Rina Kamath (২০০০)। Chennai। Chennai: Orient Blackswan, 2000। পৃষ্ঠা 275। আইএসবিএন 9788125013785 
  12. Subodh Kapoor। The Indian Encyclopaedia, Volume 1। Genesis Publishing Pvt Ltd, 2002। পৃষ্ঠা 8250। আইএসবিএন 9788177552577 
  13. Narasiah, K. R. A. (২০০৮)। Madras : tracing the growth of the city since 1639। Chennai: Oxygen Books। পৃষ্ঠা 278। আইএসবিএন 9788183687898 
  14. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৮ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২১ 
  15. N.Meera Raghavendra Rao (২৮ মে ২০০১)। "Abounds in Legends"The Hindu, Chennai। ২১ আগস্ট ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২ 
  16. P.V.Jagadisa Ayyar (১৯৮২)। South Indian Shrines। New Delhi - 16, Madras - 14: Asian Educational Services। 
  17. V Subburaj (২০০৬)। Tourist Guide to Chennai Gateway of South India.। Chennai: Gardners Books, Sura Books। আইএসবিএন 9788174780409 
  18. Usha Raja। "Mylai Aadhikesava Perumal temple"chennai online, 4 May 2009। Chennai Online Website। ১৮ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১২ 
  19. Geetha Venkatraman (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "A slice of heritage"The Hindu। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১২ 
  20. "Official website of Chennai District"। ৯ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১২ 
  21. "Structure of Chennai" (পিডিএফ)। ২৬ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২১ 
  22. "1751 A.D. to 1800 A.D."History of Chennai। ChennaiBest.com। ৬ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৩ 
  23. Muthiah, S. (২ ফেব্রুয়ারি ২০০৪)। "Presidency's feeder"The Hindu। Chennai। ২২ এপ্রিল ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  24. Muthiah, S. (২১ আগস্ট ২০০২)। "The second longest beach?"The Hindu। Chennai। ৪ নভেম্বর ২০০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ 
  25. Tercentenary Madras Staff (১৯৩৯)। Madras Tercentenary Celebration Committee Commemoration Volume। Indian Branch, Oxford Press। পৃষ্ঠা 271–273। 
  26. Aruna V. Iyer (১৮ অক্টোবর ২০১১)। "Survivors of Time - Big name, but no fixed address"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৩ 
  27. Ajitha Karthikeyan (২৩ ডিসেম্বর ২০০৯)। "City's oldest police stn saved from the hammer"Times of india, Chennai। ৩ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১২ 
  28. S.Muthaih (২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭)। "Once the City's lifeline"The Hindu, Metro Plus, Chennai। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২ 
  29. Anusha Parthasarathy (২৩ নভেম্বর ২০১০)। "Heaven on Earth"The Hindu, Metro Plus, Chennai। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২ 
  30. "Military Lorry collides with Tram Car"The Indian Express, Madras। ২৩ মে ১৯৪৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২ 
  31. "Introduction"Government of Tamil Nadu। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৩ 
  32. Balaji, R. (৮ এপ্রিল ২০০৪)। "Triplicane Urban Co-op Society turns 100"Business Line। Chennai: The Hindu। ৩ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  33. Sujatha, R.; Kolappan B. (৬ মার্চ ২০১২)। "It's curtains for Star theatre"The Hindu। Chennai। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৩ 
  34. "What Gandhiji said at Triplicane"The Indian Express, Madras। ২০ ডিসেম্বর ১৯৩৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১২ 
  35. S.Muthaih (৩১ ডিসেম্বর ২০০৯)। "Gandhi and the Tamils"The Hindu, Metro Plus, Chennai। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১২ 
  36. "Gandhi had a deep connection with Chennai"IBN Live website, Taken from The New Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১২ 
  37. "MA Chidambaram Stadium | India | Cricket Grounds | ESPNcricinfo.com"Cricinfo 
  38. Swahilya and K. Lakshmi (২৯ জুলাই ২০০৭)। "A tale of two memorials"The Hindu, Chennai। ১৩ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১২ 
  39. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২১ 
  40. S.Sasidharan (১৫ মার্চ ২০১২)। "Rs 1.97 crore state share to MRTS"Deccan Chronicle, Chennai। ২১ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১২ 
  41. "[IRFCA] Message Archive" 
  42. N. Ramakrishnan (১৮ মার্চ ২০০২)। "Part of MRTS-III may run on single stilts"The Hindu, Chennai। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  43. Raja Simhan T. E (২৯ মে ২০০০)। "Chennai's MRTS: Not on fast track, yet"Business Line, The Hindu Group, Chennai। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১২ 
  44. "Tsunami: Impact & Damage" (পিডিএফ)। Government of Tamil Nadu। পৃষ্ঠা 21। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৩ 
  45. Mithran, Ashoka (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। "The Small lanes of Triplicane"Chennai Online। ChennaiOnline.com। ২৫ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  46. Anand, S. (১১ মার্চ ২০০২)। "Live Life. Mansion-Size."Outlook India। OutlookIndia.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  47. Sudhangan (১৬ আগস্ট ২০০৮)। "Down memory lane: Triplicane revisited"Sify News। SifyNews.com। ২৫ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  48. Ramesh, Niranjana (১ জুলাই ২০১১)। "Rooms without a view"Live Mint। LiveMint.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  49. Iyengar, Pushpa (৮ মার্চ ২০১০)। "Houses On The Beach"Outlook India। OutlookIndia.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১২