শ্বেত প্রদর
শ্বেত প্রদর বা লিউকোরিয়া বা লিউকোরিহিও পুরু, সাদা বা হলুদ যোনী স্রাব।[১][২][৩] যা বাংলায় শ্বেত প্রদর নামে পরিচিত।
শ্বেত প্রদর | |
---|---|
প্রতিশব্দ | ফ্লুর আলবুস, সাদা |
বিশেষত্ব | স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিজ্ঞান |
শ্বেত প্রদর সমস্যার অনেক কারণ আছে। স্বাভাবিক একটি কারণ ইস্ট্রোজেন ভারসাম্যহীনতা।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] যকৃত সংক্রমণ বা এসটিডি কারণে স্রাব পরিমাণ বাড়তে পারে, এবং হটাৎ এটি অদৃশ্য হয়ে যায় এবং সময়ে সময়ে পুনরায় আবির্ভূত হতে পারে। এই স্রাব বছর ধরেও ঘটতে পারে, যার কারণে এটি আরও হলুদ এবং নোংরা-গন্ধ হয়। এটি সাধারণত একটি অ-স্বাভাবিক উপসর্গ যা যোনি বা সার্ভিক্সের প্রদাহজনক অবস্থার অধীন। [৪]
যৌগিক তরল পরীক্ষা করার সময় সাদা রক্ত কণিকাকে একটি মাইক্রোস্কোপের অধীনে ১০ সনাক্ত করে শ্বেত প্রদরকে নিশ্চিত করা যেতে পারে।[৫]
যোনি স্রাব নির্গমন অস্বাভাবিক কোন কারণ নয়, এবং স্রাবের পরিবর্তন বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে যেমন সংক্রমণ, ক্ষতিকারকতা, এবং হরমোন পরিবর্তন। এটি কখনও কখনও একটি মেয়ের প্রথম রজঃস্রাবের আগে ঘটে থাকে, এবং বয়ঃসন্ধির একটি চিহ্ন/ পূর্বাভাস বলে মনে করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
শারীরবৃত্তীয় শ্বেত প্রদর
সম্পাদনাএটি গুরুতর কোন সমস্যা নয় তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুনিশ্চিত সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। এটা একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা প্রক্রিয়া যা যোনি নিজ থেকেই তার রাসায়নিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য কাজ করে, সেইসাথে যোনি টিস্যুর নমনীয়তা সংরক্ষণ করে। ইস্ট্রোজেন উদ্দীপনার কারণে "শারীরবৃত্তীয় শ্বেত প্রদর" শব্দটি শ্বেত প্রদরকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।[৬]
সাধারণত গর্ভধারণের সময় শ্বেত প্রদর হতে পারে। ইস্ট্রোজেন বৃদ্ধির ফলে যোনীতে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। কন্যা শিশু জন্মের পর জরায়ুতে ইস্ট্রোজেন হরমোন ক্ষরণের কারণে জন্মের পর অল্প সময়ের জন্য শ্বেত প্রদর দেখা দিতে পারে।
শ্বেত প্রদর যৌন উত্তেজনারও কারণ হতে পারে।[৭]
প্রদাহজনিত শ্বেত প্রদর
সম্পাদনাএটির ফলে প্রদাহ অথবা যোনী ঝিল্লিতে রক্তজমাটও হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে সেখানে হরিদ্রাভ অথবা একধরনের গন্ধ হয়, এমন কিছু হলে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিৎ কারণ এটা এ ধরনের অন্য কোন রোগেরও কারণ হতে পারে।[৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ডোরল্যান্ডের চিকিৎসাশাস্ত্র অভিধানে "leukorrhea"
- ↑ "Definition of LEUKORRHEA"। www.merriam-webster.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-২০।
- ↑ "Hormonal effects in newborns: MedlinePlus Medical Encyclopedia"। medlineplus.gov (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৭।
- ↑ "leukorrhea | medical disorder"। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-২০।
- ↑ Workowski, Kimberly A., and Stuart Berman. "Sexually Transmitted Diseases Treatment Guidelines, 2010." Centers for Disease Control and Prevention. Centers for Disease Control and Prevention, 17 Dec. 2010. Web. 28 Oct. 2014. <https://www.cdc.gov/mmwr/preview/mmwrhtml/rr5912a1.htm>.
- ↑ Behrman, Richard E.; Kliegman, Robert; Karen Marcdante; Jenson, Hal B. (২০০৬)। Nelson essentials of pediatrics। St. Louis, Mo: Elsevier Saunders। পৃষ্ঠা 348। আইএসবিএন 1-4160-0159-X।
- ↑ Schneider, Max (মে ১৯৪০)। "The Treatment of Leukorrhea"। Medical Clinics of North America। 24 (3): 911–917। ডিওআই:10.1016/S0025-7125(16)36728-1।
- ↑ "leukorrhea"।