শেখ হাবিব আল-রায়ি

শেখ হাবিব আল-রায়ি (উর্দু: شیخ حبیب الراعی‎‎) ছিলেন একজন সুফি সাধক। সমস্ত শাইখদের মধ্যে তার একটি অনন্য মর্যাদা বজায় ছিল। তিনি সালমান ফারসির সহচর ছিলেন।[] তার পিতা শেখ সেলিম আল-রায়ি ছিলেন আরায়িন গোত্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান পূর্বপুরুষ। তিনি বর্ণনা করেছেন যে মুহাম্মদ বলেছেন, “মুমিনের উদ্দেশ্য তার কর্মের চেয়েও উত্তম।” তার ভেড়ার পাল ছিল এবং তার বাড়ি ছিল ফোরাত নদীর তীরে। তার ধর্মপথ ছিল এই পার্থিব বিষয় থেকে মুক্তি।

শেখ হাবিব আল-রায়ি
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম
মৃত্যু
ধর্মইসলাম
উদ্ভব৭ম শতাব্দী
সন্তানশেখ হালিম আল-রায়ি (পুত্র)
পিতামাতাশেখ সেলিম আল-রায়ী (বাবা)
আখ্যাসুফিবাদ
মুসলিম নেতা
ভিত্তিকফোরাত, সিরিয়া (আধুনিক ইরাক)
পূর্বসূরীসালমান ফারসি

অলৌকিক ঘটনা

সম্পাদনা

একজন শায়খ নিম্নরূপ বর্ণনা করেন, ‘একবার আমি তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম এবং তাকে প্রার্থনা করতে দেখলাম, কিন্তু তখন একটি নেকড়ে তার ভেড়ার দেখাশোনা করছিলো। যেহেতু আমার কাছে তাকে মহান কেউ মনে হয়েছিলো, তাই আমি তার সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি সালাম বিনিময় করে তাকে বললাম, “হে শায়খ! আমি নেকড়েটিকে ভেড়ার সাথে একত্রে দেখতে পাচ্ছি।” তিনি উত্তর দিলেন, “এর কারণ হলো এদের রাখাল আল্লাহর সাথে আছেন।”[] এই কথাগুলো বলে তিনি একটি পাথরের নিচে একটি কাঠের বাটি ধরলেন এবং পাথর থেকে দুটি ফোয়ারা বের হল: একটি দুধের এবং অন্যটি মধুর। যখন তিনি আমাকে পান করতে বললেন, তখন আমি চিৎকার করে উঠলাম, “হে শায়খ! আপনি কীভাবে এই মর্যাদা অর্জন করলে?” তিনি উত্তর দিলেন, “আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদের আনুগত্যের। হে বৎস! মুসা মুহাম্মদের সমান না হওয়া সত্ত্বেও পাথরটি মূসার লোকদের জল দিয়েছিল, যদিও তার লোকেরা তাকে অমান্য করেছিল। তাহলে কেন এই পাথর আমাকে দুধ এবং মধু দেবে না, যেখানে আমি মুহাম্মদের আনুগত্য করি, যিনি মূসার চেয়ে শ্রেষ্ঠ?” আমি বললাম, “আমাকে একটা পরামর্শ দিন।” তিনি বললেন, “তোমার অন্তরকে লোভের ভাণ্ডার এবং পেটকে হারাম জিনিসের পাত্রে পরিণত করো না।”’[]

আধ্যাত্মিক পরম্পরা

সম্পাদনা

শায়খ হাবিব আল-রায়ী ছিলেন একজন তাবেয়ি; অর্থাৎ তিনি মুহাম্মদের সাহাবিদের অনুসারী ছিলেন।[]

  1. মুহাম্মদ
  2. সালমান ফারসি
  3. শাইখ হাবিব আল-রায়ী

পূর্বপুরুষের বংশধারা

সম্পাদনা

শাইখ হাবিব আল-রায়ীর[] পূর্বপুরুষের বংশধারা নিম্নরূপ:[]

  1. ফেহর কুরাইশ/ ফিহর ইবনে মালিক[]
  2. গালিব (আবু তেম-নাম আমির)[]
  3. লুয়াই
  4. কাইস
  5. উমর
  6. মুগিরা[]
  7. আব্দুল দার[১০]
  8. হারিস
  9. শাইখ সেলিম আল-রায়ী
  10. শাইখ হাবিব আল-রায়ী

শেখ হাবিব আল-রাইয়ের পুত্র শেখ হালিম আল-রায়ীও আরাইন (গোত্র) ছিলেন। তিনি মুহাম্মদ বিন কাসিমের সাথে তার সেনাবাহিনী নিয়ে পাকিস্তানের মুলতানে চলে যান।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Salman The Persian - Biography"। Experiencefestival.com। 
  2. Molvi Mohammad Akbar Ali Sufi, Saleem ul Tareekh (Roze Bazaar Electric Hall Bazaar Amritsar India, Printed by Abdul Aziz Printers Amritsar India, 1919)
  3. Sayyed Ali Hujweri। Kashf Al-Mahjoob। Reynold A. Nicholson। 
  4. "Spiritual Lineage Shaikh Habib Al-Raee"। ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২২ 
  5. Hazrat Ali bin Usman Al-Hujwiri (২০০১)। The Kashf Al-Mahjub:A Persian Treatise on Sufism। Justice Karam Shah। Zia-ul-Quran Publications Lahore Pakistan। 
  6. Tabari; William Montgomery Watt (১৯৮৮)। The History of al-Tabari Vol.6: Mohammad at Mecca। SUNY Press। পৃষ্ঠা 28। আইএসবিএন 978-0-887-06706-8 
  7. "Fihr – The First Quraysh" 
  8. "Ghalib Ibn Fihr"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২২ 
  9. Lings, Martin (১৯৮৩)। Muhammad: His Life Based on the Earliest SourcesGeorge Allen & Unwin। পৃষ্ঠা 6–7। আইএসবিএন 0946621330 
  10. "The History of al-Tabari Vol. 39"। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২২