শুটার
শুটার, ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি আমেরিকান থ্রিলার চলচ্চিত্র। স্টিফেন হান্টারের পয়েন্ট অফ ইমপেক্ট উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি পরিচালনা করেছেন, এনন্টোইনি ফকা। এতে মার্ক ওয়ালবার্গ একজন সাবেক ইউএস মেরিন শুটারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।[২]
শুটার | |
---|---|
পরিচালক | এনন্টোইনি ফকা |
প্রযোজক | লোরেনজো ডি বোনাভেনটোরা |
চিত্রনাট্যকার | জনাথন লেমকিন |
উৎস | স্টিফেন হান্টার কর্তৃক পয়েন্ট অফ ইমপেক্ট |
শ্রেষ্ঠাংশে | মার্ক ওয়ালবার্গ ডেনি গ্লোভার নেড বিতে মাইকেল পিনা টেটি দোনোভেন কেট মারা ইলিয়াস কোটিয়াস রেডি সেরবেডজিজা জাস্টিন লুইস রোনা মিত্র |
সুরকার | মার্ক ম্যানচিনা |
চিত্রগ্রাহক | পিটার মেনজিস জে. আর |
সম্পাদক | কনরাড বাফ এরিক সিয়ারস |
প্রযোজনা কোম্পানি | ডি বোনাভেনটোরা পিকচার্স |
পরিবেশক | প্যারামাউন্ট পিকচার্স |
মুক্তি | ২৩ মার্চ ২০০৭ |
স্থিতিকাল | ১২৫ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $৬১ মিলিয়ন |
আয় | $৯৫,৫৯৬,৯৯৬[১] |
কাহিনী
সম্পাদনাইথোওপিয়ার কোন এক পাহাড়ের চূড়ায় দুজন স্নাইপার অপেক্ষা করছে। শত্রুর গতিবিধি সম্পর্কে জানার পর তারা ইথোওপিয়ার আমেরিকান আর্মি কমান্ডে যোগাযোগ করে গুলি করার অনুমতি চায়। অনুমতি পাওয়ার পর তারা শত্রুর উপর গুলি বর্ষন শুরু করে। কিন্তু তারা জানত না শত্রুর হেলিকাপ্টার সাপোর্ট আছে। এ অবস্থায় মিশন ফাঁস হয়ে যাবার ভয়ে কমান্ড পোস্ট তাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সেখানে একজন স্নাইপারের গায়ে গুলি লাগলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। অপরজন হেলিকাপ্টার ধংস্ব করে।
এ ঘটনার ৩৬ মাস পর আমেরিকান আর্মির সাবেক স্নাইপার সার্জেন্ট বব লি সয়ইগারকে (মার্ক ওয়ালবার্গ) পাহাড়ের পাদদেশে একটি বাড়িতে একাকী বসবাস করতে দেখা যায়। এদিকে ভার্জেনিয়ার ল্যাংলিতে গোয়েন্দাদের এক অফিসে আলোচনায় তার সম্পর্কে বলা হয় তিনি ইথোওপিয়ায় ছিলেন ও সর্বশেষ অপারেশনে ডনি নামে তার একজন ভালো বন্ধু মারা যায় ও কমান্ড পোস্ট তাদের রেখে চলে আসে। কর্নেল আইজাক জনসনের সাথে আরো কিছু লোক সয়ইগারের বাড়িতে যায়। তারা বব লিকে জানায় আগামী তিন সপ্তাহে আমেরিকার রাষ্ট্রপতির বাল্টিমোর, ফিলাডেলফিয়া ও ওয়াশিংটনে তিনটি জনসংযোগ রয়েছে কিন্তু তারা খবর পেয়েছে কেউ রাষ্ট্রপতির উপর হামলা করতে পারে। ববের কাছে তারা কীভাবে হামলা হতে পারে তার একটা পরিকল্পনা চায় যাতে তারা তা প্রতিহত করতে পারে। প্রথমে সয়ইগার আপত্তি জানালেও পরে রাজি হয়ে যায়। এরপর একে একে সে তিনটি স্থানই পরিদর্শন করে ও আইজাককে জানায় ওয়াশিংটন ও বাল্টিমোর হামলার জন্য উপযুক্ত নয়। হামলাকারী যদি হামলা চালায় তবে সে ফিলাডেলফিয়াই চালাবে।
ফিলাডেলফিয়ায় রাষ্ট্রপতির ইথওপিয়ার আর্চ বিশপ ডেসমন্ড মোতোম্বোকে পুরস্কার দিচ্ছেন ও তিনি তারপর জনগনের উদ্দেশ্যে ভাষন দেবেন। পুলিশের সকল দল তাদের নিজ নিজ অবস্থানে থেকে যা যার রিপোর্ট দিচ্ছেন। হঠাৎ রাষ্ট্রপতিকে গুলি করা হয় এবং প্রায় একই সাথে সয়ইগারকেও পুলিসের অফিসার টিমনস গুলি করে অহত করে। অহত অবস্থায় সয়ইগার জন নামে এফবিআই এর এক এজেন্টকে হ্যান্ডকাফ পারিয়ে তার গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থাতেই সয়ইগার তার সাবেক বন্ধু ডনির স্ত্রীর কাছে গিয়ে সাহায্য চায় ও সেখানেই জানতে পারে রাষ্ট্রপতি সুস্থ আছেন কিন্তু আর্চ বিশপ মারা গেছেন। পরে সয়ইগার ডনির স্ত্রীর সাহায্যে জনের সাথে যোগাযোগ করে। জনও এর মধ্যে তদন্ত করে জেনে যায় সয়ইগার রাষ্ট্রপতিকে গুলি করে নি এবং গুলি করাই হয়েছিল আর্চ বিশপকে হত্যার জন্য। জনকে সাথে নিয়ে সয়ইগার তদন্ত শুরু করে ও জানতে পারে এর সাথে কর্নেল আইজাক সহ আমেরিকার এক সিনেটর ও এক সাবেক স্নাইপার জড়িত।
একপর্যায়ে সয়ইগার পুলিশের কাছে ধরা পরে ও জুড়ি তার পক্ষে তাকে যুক্তি দেখানোর সুযোগ দেয়। তখনই সয়ইগার প্রমাণ করতে সমর্থ হয় এর সাথে সে জড়িত নয়। অবশেষে সয়ইগার এর সাথে জড়িত সকলকে হত্যা করে।
শ্রেষ্ঠাংশে
সম্পাদনা- মার্ক ওয়ালবার্গ - গানরি সার্জেন্ট বব লি সয়েইগার হিসেবে।
- ডেনি গ্লোভার - কর্ণেল অইজাক জনসন।
- নেড বিতে - সিনেটর চার্লস এফ. ম্যাকাম
- মাইকেল পিনা - স্পেশাল এজেন্ট নাইক মেমফিস
- টেটি দোনোভেন - রাজ টার্নার
- কেট মারা - সারা ফিন
- ইলিয়াস কোটিয়াস - জেক পাইন
- রেডি সেরবেডজিজা - মিখাইলো সাজারবিক
- জাস্টিন লুইস - স্পেশাল এজেন্ট হাওয়ার্ড পার্নাল
- রোনা মিত্র - স্পেশাল এজেন্ট গালিন্ডো
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Shooter (2007)". Box Office Mojo. IMDb. Retrieved 2011-11-25.
- ↑ "Shooter"। Rotten Tomatoes। Flixter।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে শুটার (ইংরেজি)
- অলমুভিতে Shooter (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে Shooter (ইংরেজি)
- মেটাক্রিটিকে Shooter (ইংরেজি)
- বক্স অফিস মোজোতে Shooter (ইংরেজি)