শাহলা শেরকাত (জন্ম ৩০শে মার্চ, ১৯৫৬) একজন ইরানি সাংবাদিক, প্রকাশক, লেখক, নারীবাদী, নারী অধিকার কর্মী। তিনি একজন বিশিষ্ট ফারসি নারীবাদী লেখক, এবং ইরানে নারী অধিকার আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।

শাহলা শেরকাত
জন্ম (1956-03-30) ৩০ মার্চ ১৯৫৬ (বয়স ৬৮)
ইস্পাহান, ইরান
জাতীয়তাইরানি
শিক্ষাকিহান ইনস্টিটিউট, আল্লামা তাবাতাবাই বিশ্ববিদ্যালয়
মাতৃশিক্ষায়তনতেহরান বিশ্ববিদ্যালয়
পেশালেখক, প্রকাশক, সাংবাদিক

জীবনী সম্পাদনা

শেরকাতের জন্ম ইরানের ইসফাহান শহরে। তিনি তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি প্রাপ্ত হন এবং তেহরানে কিহান ইনস্টিটিউট থেকে সাংবাদিকতায় একটি শংসাপত্র অর্জন করেন। ২০০২ সাল থেকে, তিনি আল্লামা তাবাতাবাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহিলাদের গবেষণায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য কাজ করছেন।

তিনি অনুভব করেছিলেন যে মূলধারার সাংবাদিকতা ইরানে নারীর অধিকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রচারকে উপেক্ষা করছে। তখন তিনি জানান ম্যাগাজিন (ইংরেজি: "নারী") প্রকাশ করেছিলেন। জনান হয়ে উঠেছিল প্রথম স্বাধীন পত্রিকা, এই পত্রিকা ইরানি মহিলাদের সমস্যার উপর আলোকপাত করেছে এবং সংস্কারের রাজনীতি থেকে শুরু করে গার্হস্থ্য নির্যাতন থেকে যৌনতা পর্যন্ত সবকিছুর ওপর তীক্ষ্ণ আলোকপাত করে রাজনৈতিক জলকে ক্রমাগত পরীক্ষা করেছে। জানানের বিষয়বস্তুর মধ্যে ছিল বিবাহবিচ্ছেদ আইন, পতিতাবৃত্তি, এইচআইভি/এইডস, গার্হস্থ্য নির্যাতন এবং মাতৃ হেফাজতের সমস্যা।[১] ইরানি বিপ্লবের পর জানান ম্যাগাজিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইরানি নারী সম্বন্ধিত পত্রিকা। ১৬ বছর প্রকাশের পর জানান পত্রিকা যখন নিষিদ্ধ হয়ে গেল, তিনি জানান-ই এমরুজ প্রকাশ করা শুরু করলেন।[২]

ইরান সরকারের যখন মনে হয়েছে জানান পত্রিকার বিষয়বস্তু সীমানা লঙ্ঘন করছে, তখন যেহেতু তিনি সম্পাদকীয় পরিচালক, তাই তাঁকে পত্রিকার বিষয়বস্তুর জন্য দায়ী করে নির্দিষ্ট নিবন্ধ রক্ষার জন্য ইরানের প্রেস আদালতে ডাকা হয়েছে।[২] বিতর্কিত প্রবন্ধগুলির মধ্যে ছিল ২০০৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী শিরিন এবাদীর একটি নিবন্ধ এবং ইসলামী আইন ও নারীদের নিয়ে বিতর্কিত ধারাবাহিক নিবন্ধ যেগুলি নারী অধিকার আইনজীবী মেহরঙ্গিজ কর এবং ইসলামিক ধর্মগুরু মোহসেন সাইদজাদে লিখেছিলেন।[১] তিনি বার্লিনে নির্বাচন পরবর্তী ইরান সম্মেলন যোগদান করেছিলেন বলে ২০০১ সালে তাঁকে চার মাসের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এই সম্মেলনে সংসদ নির্বাচনে সংস্কারবাদী প্রার্থীদের সাফল্যের পর ইরানের রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।

সম্মাননা ও পুরস্কার সম্পাদনা

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার জন্য নেইম্যান ফাউন্ডেশন থেকে ২০০৫ লুই লিয়নস পুরস্কার,

২০০৫ ইন্টারন্যাশনাল উইমেন মিডিয়া ফাউন্ডেশন (আইডব্লিউএমএফ) থেকে সাংবাদিকতায় সাহস পুরস্কার

আরও এখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Shahla Sherkat"। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  2. "Iranian Women's Monthly Under Pressure From Hard-Liners"RadioFreeEurope/RadioLiberty (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৬ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা